ঢাকা, ২৩ নভেম্বর শনিবার, ২০২৪ || ৯ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৩৯৯

পানি পানের সঠিক নিয়ম

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০০:৩৬ ১৩ অক্টোবর ২০২২  

শরীর সুস্থ রাখতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি দিনে পর্যাপ্ত পানি পান করা অত্যন্ত জরুরি। সঠিক পরিমাণে পানি পানের ফলে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকে, প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সচল রাখে, শরীরের কোষগুলো শক্তিশালী করতেও কাজ করে। তাছাড়া শরীর থেকে বিষাক্ত বর্জ্য পদার্থ বের করে দিতে এবং শরীরে পুষ্টি বহন করতে পানির প্রয়োজন। শরীর সুস্থ রাখতে পানির প্রয়োজনতীয়তা বলে শেষ করা যাবে না।

 

আর পানি ঠিকমতো না পান করলেই শরীর সর্বদা দুর্বল, ক্লান্ত অনুভব হবে। বিভিন্ন রকম রোগ দেখা দেবে। তবে পানি পানেরও বেশ কিছু নিয়ম আছে। যেমন-তেমনভাবে পানি পান করলে স্বাস্থ্যের উপকারের পরিবর্তে অপকারই বেশি হবে। তাহলে জেনে নিন, পানি পান করার সঠিক নিয়ম-

 

১) বেশিরভাগ সময়ই আমরা বোতল বা গ্লাস থেকে ঢকঢক করে পানি পান করি। কিন্তু এটা একেবারেই সঠিক পদ্ধতি নয়। বরং গ্লাসে পানি নিয়ে আস্তে আস্তে চুমুক দিয়ে পান করা উচিত।

 

২) বোতল থেকে গব গব করে পানি পান করলে অনেক সময় পেট ফুলে থাকে। ফলে শরীরে অস্বস্তি হয়, কিছু খেতে ইচ্ছে হয় না। কিন্তু গ্লাসে চুমুক দিয়ে আস্তে আস্তে পানি পান করলে শরীর হাইড্রেট থাকে এবং কোনও অস্বস্তি অনুভব হয় না।

 

৩) বিশেষজ্ঞদের মতে, তাড়াহুড়ো করে কিংবা দাঁড়িয়ে ঢক ঢক করে পানি খাওয়ার অভ্যাস স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। এতে কিডনির সমস্যা হতে পারে, স্নায়ু উত্তেজিত হয়ে পড়ে, এমনকি আর্থ্রাইটিসেও ভুগতে পারেন। তাই এক জায়গায় বসে গ্লাসে পানি নিয়ে ছোট ছোট চুমুকে পান করার পরামর্শ দেয়া হয়। এতে স্বাস্থ্যের অনেক উপকার হয়।

 

৪) অনেকেরই ঠাণ্ডা পানি খাওয়ার অভ্যাস থাকে। বিশেষ করে গরমকালে সরাসরি ফ্রিজের পানি অনেকেই খান। কিন্তু এই অভ্যাস একেবারেই ভালো নয়। ঠাণ্ডা পানি আপনার ইন্দ্রিয়গুলিকে ধাক্কা দিতে পারে এবং পাচক রসকে মেরে ফেলতে পারে। এছাড়া ঠাণ্ডা পানি শরীরে বিভিন্ন অঙ্গে রক্ত চলাচলে বাধা দেয়। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও হতে পারে।

তাই রুম টেম্পারেচরে থাকা পানি পানই ভালো। প্রয়োজনে একেবারে হালকা গরম পানি পান করতে পারেন। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে, হজমশক্তি বাড়াতে এবং ব্যথা দূর করতে গরম পানি দারুণ কার্যকর। আর, যখনই তেষ্টা পাবে তখনই পানি পান করেন। অসুস্থ হলে আরও বেশি করে পানি পান করুন।

 

৫) খাবার খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে পানি পান করুন এবং খাবার খাওয়ার ৩০ মিনিট পর পানি পান করুন। খাওয়ার পাতে পানি না খাওয়াই ভালো।

 

৬) সকালে ঠাণ্ডা পানি একেবারেই পান করবেন না। বরং হালকা গরম পানি খান। আপনি চাইলে লেবু ও মধু মিশিয়ে হালকা গরম পানি পান করতে পারেন। এতে পেটের চর্বি কমে এবং স্থূলতা কমাতে সাহায্য করে। তাছাড়া সকালে উঠেই অনেকটা পানি পান করে নেবেন না। কারণ, রাতের খাবারের পর অনেকক্ষণ পেট খালি থাকে। তাই ঢক ঢক করে একগাদা পানি পানে সমস্যা হতে পারে।

 

৭) একসঙ্গে অনেকটা পানি পান করে ফেলবেন না। এতে গা-গোলানো ভাব হতে পারে। ভরা পেট বা খালি পেট, এই দুই সময়েই একবারে অনেকটা পানি পানে বমি হয়ে যেতে পারে।