ঢাকা, ২৫ নভেম্বর সোমবার, ২০২৪ || ১১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৩২৮

পেঁয়াজের অসাধু ব্যবসায়ীদের ক্রসফায়ার দাবি সংসদে

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২১:৫৩ ১৪ নভেম্বর ২০১৯  

পেঁয়াজের দাম অসহনীয় পর্যায়ে বেড়ে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সংসদ সদস্যরা। একই সঙ্গে পেঁয়াজের অসাধু ব্যবসায়ীদের ক্রসফায়ারে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় বক্তব্য দেন সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্ন ও বিএনপির হারুনুর রশিদ।

সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির ব্যাপারে অর্থমন্ত্রীর অনেক কর্তব্য রয়েছে। কয়েক দিন আগে বাংলাদেশে বুলবুল আঘাত হানার কারণে পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেড়েছে। আজ পত্রিকায় দেখলাম, খুব দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আমাকে বলতে হয়, পেঁয়াজের দাম ২০০ টাকা। এটা কোনো দিন আমরা ভাবিনি।

তিনি বলেন, আমিও বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলাম। এজন্য এ ব্যাপারে আমি কিছুই বলতে চাই না। যারা পেঁয়াজ আমদানি করেন, তাদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেন। আমাদের যখন কোনো একটি পণ্যের দাম বেড়ে যায়, তখন আমরা ডিউটি কমিয়ে দেই। এ মুহূর্তে পেঁয়াজ আমদানির জন্য ডিউটি ফ্রি করে দিন। কারণ, আমি যখন ১৯৯৬ পর্যন্ত শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ছিলাম, তখন কয়েক ঘণ্টার জন্য লবণের দাম বেড়েছিল। সেসময় অর্থমন্ত্রী ছিলেন শাহ এএমএস কিবরিয়া। তাকে আমি অনুরোধ করার পর তিনি ডিউটি শূন্য করে দিয়েছিলেন। এই নিউজটা পরিবেশনের সঙ্গে সঙ্গে একটা প্রভাব পড়ে বাজারে।

সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির এমপি মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, সংসদে বাণিজ্যমন্ত্রীর পক্ষে শিল্পমন্ত্রী বলেছিলেন পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। একথা বলার পর দিনই পেঁয়াজের দাম হয়ে গেল ১৫০ টাকা। আবার আজকে পেঁয়াজের দাম ২০০ টাকা। পাশাপাশি আমি গুগলে সার্চ দিয়ে দেখলাম, ভারতের কৃষক কাঁদছেন। কারণ, পেঁয়াজের মূল্য ৮ টাকা কেজি। আমার প্রশ্ন হলো, প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে তো ভালো সম্পর্ক। সরকারের পক্ষ থেকে নিশ্চয়ই আমরা বা প্রধানমন্ত্রী যদি ব্যক্তিগতভাবে পদক্ষেপ নিতেন, তা হলে পেঁয়াজের ক্রাইসিস থাকতো না।

আরেকটি বিষয় হলো, পেঁয়াজ বাজারে নেই -এ রকম তো না, আমরা দোকানে বা মার্কেটে গিয়ে প্রচুর পেঁয়াজ দেখতে পাই। এজন্য আমার মনে হয়, একটা অভিযান চালানো উচিত। কারণ, আমার মনে হয় এটা একটা ষড়যন্ত্র। সরকারের বদনাম করার এটা একটা পথ। এজন্য আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বাণিজ্যমন্ত্রীকে বলব, এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিন।

তিনি বলেন, পাঁচটা ভালো কাজ নষ্ট হয়ে যায় একটা খারাপ কাজের জন্য। আমাদের সরকার ফেনসিডিল ব্যবসায়ীদের ধরার পর, তারা বন্দুকযুদ্ধে মরে যায়। এভাবে পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি যারা করল, তারাও দুজন মরে যাক। এরকম হলে একটা উদাহরণ হয়ে থাকবে।

বিএনপির হারুনুর রশীদ বলেন, ছোটকালে আমরা যেরকম বিস্কুট দৌড় খেলতাম, সেভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এখন পেঁয়াজ নিয়ে রসিকতা চলছে। আশা করি, সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।