ঢাকা, ২৫ নভেম্বর সোমবার, ২০২৪ || ১১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
১৭৯১

বাংলাদেশে প্রভাব পড়ার আশংকা

পেয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিল ভারত

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২০:১০ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

নিজেদের বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে এবার পেয়াঁজ রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধ করে দিল ভারত।

পাশের দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য শাখা রোববার এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এর প্রভাব বাংলাদেশের বাজারেও পড়বে বলেও ধারনা অনেকের।

চলতি বছর বন্যার কারণে ভারতের মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটকে পেয়াজের উৎপাদন বড় ধাক্কা খেয়েছে। ফলে পেঁয়াজের পাশাপাশি নিত্যপণ্যের দামও বাড়ছে গেল কিছুদিন ধরে।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দিল্লির খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ রুপিতে, যা এক মাস আগেও ২০ থেকে ৩০ রুপি ছিল। ভারতের কোনো কোনো এলাকায় পেয়াজের দাম ৮০ টাকাতেও উঠেছে।

আর ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকার বাজারে রোববার প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ ৭০ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ৭৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৪৯ কোটি ৬৮ লাখ ডলারের পেঁয়াজ রপ্তানি করেছে ভারত। যার একটি বড় অংশ এসেছে বাংলাদেশে।  

সরকারি হিসাবে বাংলাদেশে বছরে পেয়াজের উৎপাদন হয় ১৭ থেকে ১৯ লাখ মেট্রিক টন। তাতে চাহিদা পূরণ না হওয়ায় আমদানি করতে হয় ৭ থেকে ১১ লাখ মেট্রিক টন।  আমদানির বেশিরভাগটা ভারত থেকেই হয়।

ভারতের বাজারে পেয়াজের দাম বাড়তে থাকায় গেল ১৩ সেপ্টেম্বর দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য শাখা প্রতি মেট্রিক টন পেয়াজের ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য ৮৫০ ডলার নির্ধারণ করে দেয়।

আর ওই খবরে বাংলাদেশের বাজারে পেয়াজের দাম এক লাফে বেড়ে যায় ২০ থেকে ২৫ টাকা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ব্যবসায়ীদের নিয়ে কয়েক দফা বৈঠক করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। টিসিবি খোলাবাজারে পেয়াজ বিক্রি শুরু করে।

দেশের চাহিদা পূরণে ভারতের পাশাপাশি মিয়ানমার, মিশর ও তুরস্ক থেকেও পেয়াজ আমদানির এলসি খোলা হচ্ছে জানিয়ে বাণিজ্য সচিব মো. জাফর উদ্দীন এক সপ্তাহ আগেও বলেছিলেন, ভোক্তাদের আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই, দাম দ্রুত কমে আসবে। কিন্তু তার মধ্যেই রোববার ভারতের রপ্তানি বন্ধের এ ঘাষণা এল।

শ্যামবাজারের আমদানিকারক ও পাইকারি বিক্রেতারা বলছেন, এখন পর্যন্ত পেয়াজের একমাত্র আমদানি উৎস ভারত। মিয়ানমার থেকে যে পেয়াজের চালান এসেছিল, তার অধিকাংশই নষ্ট হয়ে গেছে আনার পথে। ফলে ভারত পেয়াজ রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়ায়  দেশের বাজারে বড় রকমের প্রভাব ফেলবে।