ঢাকা, ২৪ নভেম্বর রোববার, ২০২৪ || ১০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
২২০

প্রতিদিন কি পরিমাণ লবণ খেলে সুস্থ থাকবেন?

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২২:৩৮ ১০ মে ২০২১  

লবণন ছাড়া যেকোনও খাবার বিস্বাদ। তাই রান্না ভালো না হলে আমরা মাঝে মাঝেই কাচা লবণ পাতে নিয়ে ফেলি। এই করে সারাদিনে কতটা লবণ বা সোডিয়াম শরীরে গেল, হিসাব থাকে না। বিস্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) অনুযায়ী প্রত্যেক দিনের খাবারে লবণের মাত্রা প্রয়োজনের চেয়ে একটু বেশি হলেও সেটা স্বাস্থ্যের পক্ষে যথেষ্ট ক্ষতিকর। 


তাই ৬০ রকম খাবারের তালিকায় নতুন করে সোডিয়ামের মাত্রা ঠিক করে দিল তারা। পাশাপাশি এ-ও জানানো হয়েছে, প্রত্যেক দিন ৫ গ্রাম লবণের পরিমাণ বেঁধে দেওয়ার পরও বেশির ভাগ মানুষ দ্বিগুণ খেয়ে ফেলেন প্রতিদিনের খাবারের সঙ্গে।


কেন লবণের পরিমাণ কমানো প্রয়োজন
বেশি পরিমাণে সোডিয়াম এবং তুলনায় কম পরিমাণে পটাশিয়াম শরীরে গেলে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দেয়। প্রত্যেক দিনের সোডিয়ামের পরিমাণে ৫ গ্রামে বেঁধে দিলে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং কিডনির সমস্যা কমে যেতে পারে। 


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতিদিনের খাবারে লবণের পরিমাণ কমালে প্রত্যেক বছর প্রায় ২৫ লাখ জীবন বাঁচানো সম্ভব। তাদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রত্যেক বছর ৩০ লাখ মানুষ হৃদরোগে এবং স্ট্রোক হয়ে মারা যান।


নতুন নির্দেশিকার কেন প্রয়োজন
হু'এর মতে, বিশ্বজুড়ে মানুষের লবণ খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে গিয়েছে। বিশেষ করে প্রসেস্ড ফুড খাওয়ার ঝোঁক থেকে। এসব খাদ্যে একেক দেশে একেক রকম পরিমাণে লবণ যোগ করা হয়। তাই বিশ্বজুড়ে সমপরিমাণে লবণ যাতে ব্যবহার হয় বিভিন্ন খাবারে, তারই এক নির্দেশিকা তৈরি করা হয়েছে।


কী লেখা এই নির্দেশিকায়
নোনতা স্ন্যাক্স, প্রসেস্ড ফুড, চিজের মতো খাবারে কতটা সোডিয়াম থাকা উচিত, তার একটা মাপকাঠি তৈরি করেছে হু। যেমন আলুর চিপ্সের মতো খাবারে প্রতি ১০০ গ্রামে শুধু ৫০০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম থাকা বাঞ্ছনীয়। পাই বা পেস্ট্রির ক্ষেত্রে ১২০ মিলিগ্রাম এবং প্রসেস্ড মিটের ক্ষেত্রে ৩৪০ মিলিগ্রাম।


অতিমারিতে কী করণীয়
অতিমারিতে মানুষের স্বাস্থ্যের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ানো এবং কো-মর্বিডিটি কমানোর জন্য জীবনযাপনে কিছু বদল আনা প্রয়োজন মনে করছে প্রত্যেকটা দেশ। তাই হু'এর এই তালিকা মেনে শরীরে সো়ডিয়ামের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা আবশ্যক।