ঢাকা, ২২ ডিসেম্বর রোববার, ২০২৪ || ৮ পৌষ ১৪৩১
good-food
৫৫৮

প্রয়োজন অতীতকে দেখা উজ্জ্বল আলোয়

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০৩:০৫ ১৭ অক্টোবর ২০২৩  

এখন থেকে প্রায় ১৩৫০ কোটি বছর আগে বিগ ব্যাংয়ের মাধ্যমে মহাবিশ্ব  সৃষ্টির  সূচনা। প্রায় ৪৫০ কোটি বছর আগে পৃথিবী সৃষ্টি। প্রায় ৪৩০ কোটি বছর আগে পৃথিবীতে জীবকোষের উন্মেষ। পরবর্তীতে এককোষী থেকে বহুকোষী উদ্ভিদ ও প্রাণীর আবির্ভাব। পৃথিবীতে জীববৈচিত্রের দীর্ঘপথ পরিক্রমায় বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্ন উদ্ভিদ ও প্রাণীর বিদ্যমানতা।

 

বর্তমান পৃথিবীতে বহুল আলোচিত ডাইনোসর (মেসোজয়িক যুগের) বিলুপ্ত হয়েছে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি বছর আগে। উল্লিখিত অতিকায় ডাইনোসর প্রায় ১৭ কোটি বছর পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ও শক্তিশালী প্রাণী ছিলো। আকাশ থেকে ধেয়ে আসা এক গ্রহানুর আঘাতে সৃষ্ট পরিবেশ বিপর্যয়ে ডাইনোসররা বিলুপ্ত হয় পৃথিবী থেকে। ডাইনোসরের পর বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্ন প্রাণী পৃথিবীতে বিচরণ করেছে।

 

এখন থেকে পেছনের প্রায় সোয়া ৬ লাখ বছর আগে থেকে ৮০ হাজার বছর আগের সময়কালে পৃথিবী পার করেছে ৪টি বরফ যুগ। উল্লিখিত বরফ যুগ ও  আন্ত:বরফ যুগে আবির্ভাব ও বিলুপ্তি ঘটেছে অনেক উদ্ভিদ ও প্রাণীর।  বিগত কয়েক লক্ষ বছর পৃথিবীর সবচেয়ে কার্যকর শাসক মানুষ সদৃশ্য কিছু প্রাণী ও মানুষ। 

 

মানুষ সদৃশ্য প্রাণীরা পুরাতন পাথরের যুগে নিজেদের বানানো বিভিন্ন অস্ত্র দিয়ে অন্য প্রাণীদের শিকার করে খাওয়াসহ বিভিন্ন সংগ্রাম করে গেছে। এখন থেকে মাত্র ১০ হাজার থেকে ১২ হাজার বছর আগে সূচনা হয় নতুন পাথরের যুগের। তারপর ধাতব যুগ, কৃষি বিপ্লব, মানুষের অগ্রগতির যুগ, হলোসিন যুগ; পৃথিবীর ইতিহাসের পর্যায়ক্রমিক ভাগের সর্বশেষ যুগ। এই যুগে পৃথিবীকে শাসন করছে মানুষ। কোটি কোটি বছর,  লক্ষ লক্ষ বছর এর জ্ঞাত প্রাণীদের মধ্যে সবচেয়ে বুদ্ধিমান ও সৃজনশীল প্রাণী মানুষ। 

 

বিগত কোটি কোটি বছরে বা লক্ষ লক্ষ বছরে যা হয়নি গত মাত্র ১০ হাজার থেকে ১২ হাজার বছরে মানুষ তা করেছে পৃথিবীতে। আর বিগত প্রায় সাড়ে ৫ হাজার বছরে লেখাপড়াসহ মানুষের অর্জন অপরিমেয়। মাত্র ১০-১২ হাজার বছর আগে থেকে পেছনের সময়কালে প্রাণিদের প্রধান কাজ ছিল খাবার সংগ্রহ করা। বর্তমান হলোসিন যুগের শাসক প্রাণী মানুষ (হোমো সেপিয়েন্স)। মানুষ মানে বুদ্ধিমান ও সৃজনশীল প্রাণী। 

 

বর্তমান পৃথিবীর উন্নতি ও শান্তির জন্য চিন্তা করলে বা কাজ করতে চাইলে শুধু বিগত ১ হাজার, ২ হাজার, ৩ হাজার বছরের পৃথিবীকে বিবেচনায় নিলে চলবে না, নিতে হবে বিগত লক্ষ কোটি বছর আগের পৃথিবীকে। দৃষ্টি প্রসারিত করতে হবে সুদূর অতীতে। বিভিন্ন তথ্যের পারস্পরিক সম্পর্ক খুঁজে বের করতে হবে। খন্ডিত জ্ঞান ও তথ্যকে অভ্রান্ত  ব'লে  রিজিড হয়ে না থেকে মুক্তভাবে চিন্তা করতে হবে।

 

এ পর্যন্ত অমীমাংসিত মৌলিক প্রশ্নের উত্তর পাবার জন্য কাজ করতে হবে, চরম ও পরম সত্যকে করতে হবে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য। জ্ঞানের আলোয় উদ্ভাসিত হোক সারা পৃথিবীর মানব সমাজ।

 

লেখক: খায়রুল আনাম

সাবেক অতিরিক্ত সচিব, বাংলাদেশ সরকার

মুক্তমত বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর