ঢাকা, ২২ নভেম্বর শুক্রবার, ২০২৪ || ৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
১০০৩

বইমেলায় জমে উঠেছে বই বিক্রি

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২০:২৬ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

অমর একুশের বইমেলায় বই বিক্রি জমে উঠেছে। প্যাভিলিয়ন থেকে শুরু করে ছোট বড় স্টলগুলোতে ক্রেতা বইপ্রেমি পাঠক এবং দর্শনাথীদের উপচে পড়া ভিড় থাকছে। বিক্রিও হচ্ছে বেশ।

বিক্রেতা প্রকাশকরা জানান, বইমেলায় জমজমাট কেনাবেচার আশাই আমরা করি। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বড় বড় প্যাভিলিয়নগুলোতে মঙ্গলবার বিকেলে অভাবনীয় ভিড় ছিল। বিক্রির অবস্থাও ছিল ভালো। বিভিন্ন স্টলে নানা বইয়ের সর্বোচ্চ বিক্রির তথ্য পাওয়া গেছে।

বাংলা একাডেমির প্যাভিলিয়নগুলো থেকে বিক্রেতারা জানান, একাডেমির বিভিন্ন অভিধান, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লেখাকারাগারের রোজনামচা। বইটির ইংরেজীতে অনুবাদগ্রন্থপ্রিজন ডায়রিএবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর বিদেশি লেখক মোহসেন আল আরিশি বইশেখ হাসিনা যে রুপকথা শুধু রুপকথা নয়বইগুলো বিক্রির শীর্ষে রয়েছে। এরপরই রয়েছে একাডেমির বিভিন্নবাংলা একাডেমি : জেলার লোকজ সংস্কৃতিসিরিজের বই।

অন্য প্রকাশ থেকে জানানো হয়, হুমায়ুন আহমেদের কালজয়ী উপন্যাসমধ্যাহ্নএবং তার মুক্তিযুদ্ধ উপন্যাস সমগ্রবিক্রির শীর্ষে রয়েছে। এই প্যাভিলিয়ন থেকে মাহমুদ কিরন জানান, এছাড়া হুমায়ুন আহমেদের অন্যান্য উপন্যাসই বেশি বিক্রি হচ্ছে।

মওলা ব্রাদার্সের স্টল থেকে জানানো হয়, সৈয়দ শামসুল হকেরনির্বাচিত রচনাসমগ্রঅনুবাদ রচনাসমগ্র’, সেলিনা হোসেনেরবঙ্গবন্ধু বাংলাদেশবই দুটি বিক্রি ভালো হচ্ছে। অন্বেষার স্টল থেকে জানান হয়শহীদুল জহীরের নির্বাচিত উপন্যাসসমগ্রবিক্রির শীর্ষে রয়েছে।

নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন মঞ্চে এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালপ্রান্ত প্রকাশএর নবীন লেখকদের ৯টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন। পরে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি ভাষা আন্দোলনের সব শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভাষা আন্দোলন হচ্ছে বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রামের পথ প্রদর্শক। বায়ান্নোর শহীদদের পথ বেয়েই আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম এগিয়েছে। ১৯৭১ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে।

এই মঞ্চে ৫৪টি নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচনের তালিকায় থাকলেও ৩৪টির হয় বলে জানান মঞ্চের উপস্থাপক টি মণি।

মেলায় এসেছিলেন সংগীত পরিচালক আজাদ রহমান। তিনি বলেন, আমি কিছুটা হতাশ হলাম। একমাত্র নজরুল ইন্সটিটিউটের স্টল ছাড়া আর কোথাও গানের এবং স্বরলিপির বই পেলাম না। মেলায় সংগীতের বই এতটা কম, আমার জানা ছিল না। এই মেলায় কোটি কোটি টাকার বই বিক্রি হয়। সেখানে শুদ্ধ সংগীতের বই থাকলে অবশ্যই বিক্রি হবে।

মেলার উনিশতম দিন ছিল। একাডেমির মূলমঞ্চেবাংলাদেশে ছড়াসাহিত্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাশীর্ষক আলোচন সভা হয়। এতে মূল প্রবন্ধে ছড়া সাহিত্যিক সুজন বড়ুয়া বলেন, বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন হচ্ছে ছড়া সাহিত্য। আর আধুনিক বাংলা সাহিত্যে ছড়া হচ্ছে শাণিত শিল্পমাধ্যম। বৃটিশ আমল থেকে আমাদের ছড়াশিল্পীরা শোষণের বিরুদ্ধে ছিলেন কলমযোদ্ধা। যেটা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধেও অব্যাহত রেখেছিলেন।

এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক ছড়াশিল্পী সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ। আলোচনায় অংশ নেন ছড়াশিল্পী আলম তালুকদার, আসলাম সানী, লুৎফর রহমান রিটন আনজির লিটন। সন্ধ্যায় ছিল একই মঞ্চে কবিকণ্ঠে কবিতা পাঠ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

শিল্প-সাহিত্য বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর