ঢাকা, ২৩ নভেম্বর শনিবার, ২০২৪ || ৯ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৩২৮

বই পড়ুন, সুস্থ থাকুন

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২১:১১ ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

আপনি কি স্মরণ করতে পারেন, সবশেষ কবে একটি বই হাতে তুলে নিয়েছেন এবং পড়ে শেষ করেছেন? পারবেন না নিশ্চয়ই! আজকাল কেন জানি সবাই বই পড়া থেকে সরে যাচ্ছেন! অথচ মন ও শরীরকে সুস্থ রাখতে এ অভ্যাস থাকা খুবই জরুরি। জেনে নিন প্রতিদিন বই পড়ার ১০ উপকারিতা- 

 

১. কল্পনাশক্তি বাড়ায়
প্রতিদিন বই পড়লে কল্পনাশক্তি বাড়ে। এছাড়া বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, অ্যালঝেইমার রোগ এবং স্মৃতিলোপের ঝুঁকি কমায়।

 

২. শব্দভাণ্ডার সমৃদ্ধ হয়
কথায় আছে, যত পড়বে, তত শিখবে। নিয়মিত বই পড়লে প্রচুর শব্দ আয়ত্তে আসে। শব্দভাণ্ডার সমৃদ্ধ হয়।

 

৩. মানসিক চাপ কমায়
প্রতিদিন পড়াশোনা করলে নানা পৃথিবীর সঙ্গে পরিচিত হওয়া যায়। অসংখ্য বাস্তবতার সাক্ষাৎ মেলে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নীরবে ছয় মিনিট বই পড়লে হৃদস্পন্দনের হার ধীর হয় এবং দুঃশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

 

৪. জীবন উন্নত হয়
বই আপনাকে পারিপার্শ্বিকতা সম্পর্কে ভুলিয়ে দেয় এবং নিজের গল্পের ওপর মনোনিবেশ করতে সহায়তা করে। নিজের কাজ নিয়ে ব্যস্ত রাখে। ফলে জীবন উন্নততরের দিকে ধাবিত হয়।

 

৫. ভালো ঘুম হয়

ইদানিং ঘুমাতে যাওয়ার আগে মোবাইল-ল্যাপটপে সবাইকে সময় কম দেয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশ্লেষকরা। পরিবর্তে বিছানায় গা গড়ানোর আগে কিছুক্ষণ বই পড়তে বলছেন তারা। এতে নিশ্চিন্তে ঘুম চলে আসবে। সেটা হবে গভীর ঘুম।

 

৬. জ্ঞান বাড়ে
প্রতিদিন বই পড়লে অনেক তথ্য মাথার মধ্যে গেঁথে যায়। বাস্তবজীবনে যা কাজে লাগে। মন প্রফুল্ল থাকে। বিশ্বকে বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখার সক্ষমতা তৈরি হয়।

 

৭. স্মৃতিশক্তি বাড়ে
বই পড়লে বিভিন্ন চরিত্র, তাদের পটভূমি, ইতিহাস, কৃষ্টি-কালচার মনে করতে হয়। মস্তিষ্ক অনন্য জিনিস। সহজে সেগুলো স্মরণ করতে সহায়তা করে এটি। নিয়মিত অভ্যাসে স্মৃতিশক্তি বাড়ে।

 

৮. সহানুভূতিশীল করে
গবেষণা বলছে, যেসব লোক কল্পকাহিনী পড়ে তারা অন্যান্য মানুষের তুলনায় সহানুভূতিশীল হয়। সেভাবেই গড়ে ওঠে তারা।

 

৯. শিল্প-সাহিত্য বোধ তৈরি হয়
প্রতিদিন বই পড়লে নিজের মধ্যে অন্যরকম ব্যক্তিত্ব তৈরি হয়। শিল্প-সাহিত্যের প্রশংসাসূচক বাণী মুখ দিয়ে বের হয়। এটি কেবল জ্ঞানই বৃদ্ধি করে না, বরং সৃজনশীলতা বাড়ায়। এভাবে সুন্দর পৃথিবী বিনির্মাণে সহায়তা করে।

 

১০. লেখনিশক্তি বাড়ে
পড়াশোনা করলে শুধু শব্দভাণ্ডারই সমৃদ্ধ হয় না, পাশাপাশি লেখনীশক্তি বাড়ে। আপনি যতজন লেখকের বই পড়বেন, ততজনের লেখনির ধরণে প্রভাবিত হবেন। যা আপনার লেখনীশক্তি বৃদ্ধি করবে।