ঢাকা, ২৫ নভেম্বর সোমবার, ২০২৪ || ১১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৯২৮

বগুড়ার নন্দীগ্রামে শিলা বৃষ্টিতে পাকা ধানের ব্যাপক ক্ষতি

রিপন দাস, বগুড়াঃ

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৯:৫২ ২২ এপ্রিল ২০২০  

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় কয়েকটি এলাকায় শিলা বৃষ্টির কারণে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ছবিটি উপজেলার কৈডালা এলাকা থেকে তোলা।

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় কয়েকটি এলাকায় শিলা বৃষ্টির কারণে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ছবিটি উপজেলার কৈডালা এলাকা থেকে তোলা।

রিপন দাস, বগুড়া: হঠাৎ শিলা বৃষ্টি হওয়ায় বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার কয়েকটি এলাকায় ব্যাপক বোরো আবাদের পাকা ধান নষ্ট হয়েছে। আজ  বুধবার (২২,এপ্রিল)দুপুর দেড়টার পরপরই শুরু হয় ঘূর্ণিঝড়। ঝড়ের সাথে পড়তে থাকে বড় বড় শিল। প্রায় আধা ঘন্টা শিলা বৃষ্টি হওয়ায় নষ্ট হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৫শ বিঘা জমির পাকা ধান ।

ক্ষতিগ্রস্থ চাষিরা জানান, এ ঝড়ের কারণে আমরা সবাই পথে বসে যাব। জমিতে শুধু খড় ছাড়া আর কিছুই নেই।

নন্দীগ্রাম উপজেলার শহরকুড়ি গ্রামের আলহ্বাজ নবাব আলী মন্ডলের ছেলে মো: মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, ৮ বিঘা জমিতে মিনিকেট ধান চাষ করেছি। কয়েকদিনের মধ্যেই ধান কাটা শুরু করবো এমন সময় এ ক্ষতি হলো আমার।কিন্তু এমন এক শিলা বৃষ্টি হয়ে আমাদের সব কিছু নষ্ট হয়ে গেছে।

আমার চলার মত কোন অবস্থা আর নেই।প্রায় প্রতি বিঘায় ২০ থেকে ২৫ মণ ধান আসতো। কিন্তু এখন শুধুই জমিতে আছে খড়। বললেন মো: মোয়াজ্জেম হোসেন।

একই উপজেলার কৈডালা গ্রামের মৃত সামাদ আলীর ছেলে মো: রফিকুল ইসলাম জানান, ১২ বিঘা কাটারীভোগ ধান পুরোটায় জমিতে পড়ে নষ্ট হয়েছে। এখন আমি কী করবো আর ভেবে কুল পাচ্ছি না। কেমন করে আমার সংসার চলবে আমি জানিনা।

প্রায় প্রতি বিঘায় ২৫ মণের বেশি ধান হতো আমার জমিতে। কিন্তু জমিতে আসার পর দেখি আর কোন ধান নেই শুধু ধানের গাছ রয়েছে। কাঁচা অবস্থায় এবার ধানের দাম আছে ৯শ টাকার বেশি। কিন্তু এখন আমি প্রতি বিঘায় ৩ মণ করেও ধান পাবো না। বললেন রফিকুল ইসলাম।

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আদনান বাবু, জানান, যেসব কৃষকের ক্ষতি হয়েছে তাদের সরকারীভাবে সহযোগীতা করা হবে। এছাড়াও আউশ চাষে কৃষকের যাতে কোন সমস্যা না হয় সে দিকে আমরা সব সময় লক্ষ্য রাখবো।

নন্দীগ্রাম উপজেলার পাশাপাশি নাটোরের সিংড়া থানার কয়েকটি এলাকায় বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।