ঢাকা, ২৪ নভেম্বর রোববার, ২০২৪ || ১০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৬৪৮

বগুড়ায় পর্যাপ্ত বরাদ্দ থাকলেও তালিকায় নাম নেই কর্মহীনদের

রিপন দাস, বগুড়াঃ

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৮:২৩ ১২ মে ২০২০  

করোনার কারণে কাজ করতে যেতে পারছেন দূরে। বাড়িতে বেশি সময় পার করতে হচ্ছে এসব কর্মহীনদের।

করোনার কারণে কাজ করতে যেতে পারছেন দূরে। বাড়িতে বেশি সময় পার করতে হচ্ছে এসব কর্মহীনদের।

সরকারের পর্যাপ্ত বরাদ্দ থাকার পরেও তালিকায় নাম না থাকায় অনেক মানুষই পাচ্ছেন না এসব ত্রাণ সামগ্রী। অসচ্চল ও দরিদ্র পরিবারের নারী ও পুরুষের অভিযোগ তারা সংশ্লিষ্টদের কাছে গিয়েও পাচ্ছেন না সহযোগীতা।

 

করোনা পরিস্থিতির কারণে অধিকাংশ মানুষ বের হচ্ছেন না বাড়ি থেকে। আর এ অবস্থায় দিনমজুর থেকে শুরু করে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর অবস্থা খুবই নাজুক। সরকারের নানা সহাযোগীতার মধ্যে শিশু খাদ্যের পাশাপাশি অসহায় ও অসচ্ছল পরিবারে খাদ্য নিশ্চিত করতে দেয়া হচ্ছে ত্রাণ সামগ্রী। কিন্তু এসব ত্রাণ কোথায় কেমন করে বিতরণ করা হচ্ছে তা জানতে পারছেন না অসহায় মানুষগুলো।

 

সরকারে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর আওতায় ১০ টাকা কেজি দরে ১০ কেজি চাল কিনে সংসার চালাচ্ছেন বললেন বগুড়া স্টেশন কলোনীর মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী বেবি বেগম। তার এ অবস্থায় এখন পর্যন্ত কোন ধরণের ত্রাণ সহযোগীতা পাননি কোথাও থেকে। শুনেছেন শিশুর জন্যও খাদ্য দেয়া হচ্ছে সরকার থেকে। কিন্তু তা কোথায় গেয়ে পাওয়া যাবে তাও জানেন না তিনি। আমি বেশ কয়েকদিন আগে ১০ টাকা দরে ১০ কেজি চাল কিনেছি ১০০ টাকা দিয়ে। এখন আমার ঘরে কোন খাবার নেই। কিছু চাল ছিল তা পাটায় গুড়ো করে ছোট শিশুর জন্য খাবার করছি। কিন্তু আমরা কী খাবো তা জানি না। বললেন বেবি বেগম। 

 

বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার বড়ইকান্দি গ্রামের দিনমজুর মো: মজিবর ফকিরের স্ত্রী মরিয়ম খাতুন জানান, আমরা জনপ্রতিনিধের কাছে ঘুরে ঘুরে কিছুই পায়নি। একে অন্যের কাছে শুনেছি সরকার থেকে চাল টাকা দেয়া হচ্ছে কিন্তু আমাদের কপালে কিছুই জোটেনি। আমরা যারা বাঁধে ঘর করে থাকি এখানে কেউ খোঁজ নিতেও আসে না। শুধু ভোটের সময় কিছু নেতাদের দেখা যায়। আর কোন দিন তাদের দেখি না। আপনারা (সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে) এসেছেন কিছু দিয়ে যান। আপনারা সাথে থেকে কিছু দিলে তবে আমরা পাব তাছাড়া কোন দিনও পাব না। বললেন মরিয়ম খাতুন।

 

তবে করোনার কারণে বগুড়ায় কর্মহীনদের সরকারিভাবে খাদ্য সামগ্রীর পাশাপাশি অন্যান্য ত্রাণ সামগ্রী দেয়া হয় এপ্রিল মাসের শুরুর প্রথম দিকে।

 

বগুড়া সদরের পাশাপাশি সব উপজেলায় ছিন্নমুল মানুষ ও শিশুসহ ত্রাণের তালিকায় আছে ৩ লাখ ২০ হাজার পরিবার।

 

দুই দফায় ইতোমধ্যে দেয়া হয়েছে ২ হাজার ১৪৮ টন খাদ্য সামগ্রী ও নগদ ১ কোটি টাকার বেশি। এছাড়াও ২৭ লাখ টাকার শিশু খাদ্য দেয়া হয়েছে।

 

বরাদ্দকৃত ত্রাণের মধ্যে এখনো জেলা প্রশাসনের কাছে মজুদ আছে প্রায় ১৬ লাখ টাকার পাশাপাশি ১৭০ টন চাল।

 

বগুড়া জেলা ত্রাণ ও পূর্নবাসন কর্মকর্তা মো: আজাহার আলী মন্ডল জানান, করোনার পরিস্থিরি কারণে ইতোমধ্যেই সরকার প্রচুর ত্রাণ সামগ্রী দিয়েছেন। আমরা জেলা সদরের পাশাপাশি বিভিন্ন উপজেলা পর্যায়ে এসব বরাদ্দকৃত ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, যে পরিমাণ ত্রাণ সরকার বরাদ্দ করেছে তাতে কেউ বাদ পড়বে না। এছাড়াও দ্রুত এ তালিকা করতে অনেকের নাম বাদ পড়েছে তবে পর্যায়ক্রমে তালিকা করে ত্রাণ বিতরণ করা হবে।

 

অনেকের এলাকাবাসীর দাবী রাজনৈতিক প্রভাবসহ নানা কারণে এসব ত্রাণ সামগ্রী বিতরণে সমস্যা হচ্ছে।

জনদুর্ভোগ বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর