ঢাকা, ২৫ নভেম্বর সোমবার, ২০২৪ || ১১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
১৪৭৯

বগুড়ায় সরকারি ধান-চাল কেনা শুরু না হওয়ায় বিপাকে কৃষক

রিপন দাস, বগুড়া

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২০:১০ ৬ ডিসেম্বর ২০১৯  

বগুড়ার নন্দীগ্রামের রণবাঘা হাটে ধান বিক্রি শেষে বস্তায় প্রস্তুত করতে ব্যস্ত শ্রমিকেরা। ছবি- লাইফটিভি২৪.কম।

বগুড়ার নন্দীগ্রামের রণবাঘা হাটে ধান বিক্রি শেষে বস্তায় প্রস্তুত করতে ব্যস্ত শ্রমিকেরা। ছবি- লাইফটিভি২৪.কম।

প্রায় দুই সপ্তাহ আগে উদ্ধোধন করা হলেও সরকারিভাবে ধান-চাল কেনা শুরু হয়নি এখনো। এদিকে বাজারে দাম পাওয়ায় ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। অনেকেই ফিরে নিয়ে যাচ্ছেন বাড়িতে। কৃষক ও চাল কল মালিকরা অভিযোগ করছেন, সরকারি কেনা কাটা শুরু না হওয়ায় বাজারে ধানের দাম নেই। 
অভিযোগ আছে, মিল মালিকরা এখনো কোন বরাদ্ধ না পাওয়ায় বাজার থেকে ধান কিনতে পারছেন না। আর বেশিরভাগ মিলেই আছে গত বছরের ধান ও চাল। তবে মিল মালিকদের ধারণা বরাদ্ধ পেলে বাজারে ধানের দাম বাড়তে পারে। আর চাষিরাও কিছুটা হলে লাভবান হবে।
দাম কম হওয়ায় অনেক কৃষকই ধান বিক্রি না করে রণবাঘা হাট থেকে ধান নিয়ে বাড়ি যান। 
নাটোরের সিংড়ার রামান্দ খাজুরা ইউনিয়নের শোয়াইল গ্রামের আফতাব খন্দকার জানান, ১৮ মণ ধান নিয়ে রণবাঘা হাটে নিয়ে আসি বেশি দামে বিক্রির জন্য। কিন্তু পাইকাররা যে দাম বলে তাতে আমার প্রতি মণ ধানে দেড়শ থেকে দুইশ টাকা ক্ষতি হয়। আর এ কারনেই ধান বিক্রি না করে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছি। 
প্রায় একশ বিশ মণ ধান নিয়ে বাড়ি ফিরে যান নাটোরের সিংড়ার চৌগ্রাম ইউনিয়নের গোয়ালবাড়িয়া গ্রামের মোঃ রফিকুল ইসলাম। পাইকারের কাছ থেকে আশানুরুপ কোন দাম পাননি তিনি। তবে ধানের ন্যায্য মূল্য না পেলে তাকে গুণতে হবে বড় অংকের লোকসান বললেন রফিকুল ইসলাম। 
মিল মালিকেরা বলছেন, সরকার ধান কিনলেও তাতে সঠিক মূল্য পাবেন না চাষিরা। 
বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার রণবাঘা এলাকার মায়া মনির অটো রাইচ মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান মিজান জানান, বরাদ্ধ না পাওয়া পর্যন্ত আমরা যারা মিল মালিকেরা আছি তারা ধান কিনতে পারবো না। কারণ গত বছরের ধান এখনো আমাদের মিলে আছে। তিনি আরো বলেন, সরকার ধান না কিনে মিলারদের কাছ থেকে চাল কিনলে কৃষকেরা বেশি লাভবান হতো। 
সারাদেশে সরকার এবার আমন ধান কিনবে ৬ লাখ মেট্রিক টন। কিন্তু বগুড়াতেই ধান উৎপাদন হয়েছে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ মেট্রিক টন। 
ব্যবসায়িরা বলছেন, সরকার এ বিষয়ে আরো পদক্ষেপ না নিলে প্রান্তিক চাষিরা বড় ধরণের ক্ষতির মুখে পড়বে। 
সরকার এবার ১ হাজার ৪০ টাকা মণ দরে ৬ লাখ মেট্রিক টন আমন ধান কিনবে আর ১ হাজার ৪৪০ টাকা মণ দরে ৪ লাখ মেট্রিক টন চাল কিনবে। এর মধ্যে আতব চাল থাকবে প্রায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন।