ঢাকা, ২৪ নভেম্বর রোববার, ২০২৪ || ৯ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৭৪০

বিদ্যুৎ সাশ্রয় করার উপায়

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৫:০১ ২১ জুলাই ২০২২  

প্রতিদিনের জীবনযাপনে আমরা অনেকাংশে বিদ্যুতের ওপর নির্ভরশীল। যে কারণে বেড়েই চলেছে বিদ্যুৎ খরচের পরিমাণ। বিদ্যুতের ঘাটতি থেকে বাঁচতে তাই সতর্ক হতে হবে আমাদেরই। সহজ কিছু বিষয় মেনে চললে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা সম্ভব হবে। বিনা প্রয়োজনে ইলেকট্রিক যন্ত্র চালিয়ে রাখা থেকে বিরত থাকতে হবে। এতে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের পাশাপাশি মাস শেষে বিদ্যুৎ বিলও কম আসবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক বিদ্যুৎ সাশ্রয় করার কিছু উপায়-

 

এনার্জি সেভিং বাল্ব ব্যবহার

এনার্জি সেভিং বাল্ব ব্যবহার করলে তা ৭৫% পর্যন্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে সাহায্য করে। এগুলো সাধারণ বাল্বের তুলনায় ছয়গুণ বেশি চলে। বাড়ি বা অফিসের পুরানো বাল্ব বদলে এনার্জি সেভিং বাল্ব ব্যবহার করুন। পুরনো বাল্ব হলে তা বিদ্যুৎ বেশি খরচ করে।

 

আনপ্লাগ করে রাখা

কিছু যন্ত্র আছে যেগুলো সুইচ বা রিমোট টিপে বন্ধ করার পরও বৈদ্যুতিক পাওয়ার চালু থাকে। তাই রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে বা কোথাও বেড়াতে যাওয়ার আগে অবশ্যই এ ধরনের যন্ত্র আনপ্লাগ করে রাখবেন।

 

 

কম্পিউটার বন্ধ রাখা

একটি ফ্রিজ সারাদিন চালু থাকার পর যতটা বিদ্যুৎ খরচ হয়, একটি কম্পিউটার সারাদিন চালু থাকলে তার থেকে অনেক বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয়। তাই অপ্রয়োজনে কম্পিউটার চালু রাখবেন না। ব্যবহারের পরই বন্ধ করে রাখুন। সব সময় কম্পিউটার খুলে না রেখে যখন এর সামনে থাকবেন না কিন্তু খোলা রাখা দরকার তখন স্লিপিং মুডে রাখুন। এতে ৪০% বিদ্যুৎ খরচ কম হবে।

 

আয়রন ব্যবহারের সময় লক্ষণীয়

কাপড় সোজা করার জন্য আমরা আয়রন ব্যবহার করে থাকি। প্রায় সব বাড়িতেই রয়েছে আয়রন মেশিন। এই মেশিন বিদ্যুৎ টানে অনেকটাই। তাই কাপড় আয়রন করার ঠিক আগে আয়রন গরম করে নিন। অধিক সময় হিট দিয়ে রাখবেন না।

 

এসি ব্যবহারে করণীয়

শহরের বেশিরভাগ বাসা ও অফিসে এসি ব্যবহার করা হয়। এক্ষেত্রে এসি দীর্ঘ সময় চালু না রেখে রুম ঠান্ডা করে এসি বন্ধ করে দিলে বিদ্যুৎ খরচ কমবে অনেকটাই।

 

ফ্রিজ ব্যবহারে সতর্কতা

বাড়িতে ফ্রিজ আছে নিশ্চয়ই? বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য ফ্রিজ ব্যবহারের সময় কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। যেমন রেফ্রিজারেটরের তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে এবং ফ্রিজারের তাপমাত্রা -১৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে রাখুন।

 

বিদ্যুৎ সংযোগ পরীক্ষা

অনেক সময় বিদ্যুৎ সংযোগ যদি কোনো কারণে ত্রুটিপূর্ণ হয় তাহলে বিদ্যুৎ খরচ বেশি হতে পারে। তাই বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়মিত পরীক্ষা করাতে হবে। নিজেই পরীক্ষা করতে যাবেন না, বরং এক্সপার্ট কারও সাহায্য নিন।