ঢাকা, ২৫ নভেম্বর সোমবার, ২০২৪ || ১১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৮১৭

বিনিয়োগকারীদের ‘গণঅনশন’ ভাঙালেন মেনন

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৬:৩২ ২৯ এপ্রিল ২০১৯  

সাবেক মন্ত্রী ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের ডাকা  গণঅনশনে সংহতি প্রকাশ করেছেন । সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুর দু’টার দিকে তিনি মতিঝিলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সামনে এসে উপস্থিত হন। এরপর সংহতি প্রকাশ করে আড়াইটার দিকে বিনিয়োগকারীদের ডাকা ‘গণঅনশন’ভাঙান  মেনন।

পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল ও চলমান দরপতনের প্রতিবাদে ১২ দফা দাবিতে সোমবার সকাল ১১টা থেকে প্রতীকী এ গণঅনশন শুরু করেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। গণঅনশন থেকে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান খায়রুল হোসেনের পদত্যাগ দাবি করেন বিনিয়োগকারীরা। একইসঙ্গে সম্প্রতি পুঁজিবাজার নিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের মন্তব্যের সমালোচনা করেন তারা।

 ঐক্য পরিষদের সভাপতি মিজানুর-উর-রশিদ চৌধুরী বলেন, ‘অব্যাহত দরপতনে আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। প্রতিদিন আমরা পুঁজি হারাচ্ছি। বাজার বাঁচাতে আমরা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’ তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে জায়গা করে নিয়েছে, সেখানে দেশের পুঁজিবাজারের আজ  করুণ অবস্থা। এ সমস্যা কাটিয়ে উঠতে বাজারের প্রতি দৃষ্টি দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি।’

বিনিয়োগকারীদের দাবিগুলোর মধ্যে মধ্যে রয়েছে, বিএসইসি চেয়ারম্যান খায়রুল হোসেনসহ সব দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের পদত্যাগ।
 যে সব কোম্পানি পুঁজিবাজার থেকে মূলধন সংগ্রহ করেছে এবং করবে,ওই সব কোম্পানিকে বাধ্যতামূলকভাবে ন্যূনতম ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিতে হবে। জেড গ্রুপের এবং ওটিসি (ওভার দ্য কাউন্টার) মার্কেট বলতে কোনও মার্কেট থাকতে পারবে না। দুর্বল কোম্পানির আইপিও প্লেসমেন্ট শেয়ারের অবৈধ বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে।
 খন্দকার ইব্রাহিম খালেদের তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী দোষীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে।
 যে সব কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের ব্যক্তিগত ২ শতাংশ এবং সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার নেই, সেসব উদ্যোক্তা পরিচালকদের ও কোম্পানিগুলোকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
 পুঁজিবাজারে অর্থের জোগান বাড়ানোর জন্য সহজ শর্তে ৩ শতাংশ সুদে ১০ হাজার কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্দ দিতে হবে, যা আইসিবি, বিভিন্ন মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকার হাউজের মাধ্যমে ৫ শতাংশ হারে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা লোন হিসেবে বিনিয়োগের সুযোগ পারবে।
 ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের বিপরীতে বাংলাদেশ স্টক এক্সচেঞ্জ নামে বিকল্প স্টক এক্সচেঞ্জ করতে হবে। এর ফলে কারসাজি বন্ধ করা যাবে।