ঢাকা, ২৫ নভেম্বর সোমবার, ২০২৪ || ১১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৪০০

বিপদ এখনও কাটেনি

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৩:৩১ ৫ মে ২০২০  

করোনাভাইরাস থেকে মুক্তির এখনই কোনো উপায় দেখছেন না বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিওএইচও)। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গেবরিয়াসুস জানান, ‘এখনই লকডাউন ছেড়ে দেয়া কোনো দেশের পক্ষেই উচিত নয়। কারণ বিপদ এখনও কাটেনি।’


করোনার কোনো প্রতিষেধক বা ওষুধ এখনও পর্যন্ত আবিষ্কার হয়নি। তাই সংক্রমণ রোধে একমাত্র উপায় হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও সতর্ক থাকা।

 

এদিকে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর রক্ত রস বা প্লাজমাকে কাজে লাগিয়ে এই ভাইরাসে আক্রান্তদের সারিয়ে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছেন বিশ্বের একাধিক দেশের অসংখ্য চিকিৎসক ও গবেষক।

 

এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে প্লাজমা থেরাপি বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে করোনার এই চিকিৎসা পদ্ধতির ওপর এখনই নির্ভরশীল হওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

 

তারা বলছে, এখনই এ বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাবে না।

 

ডাব্লিওএইচও বলছে, এই চিকিৎসায় রোগী ভালো হলেই শরীরে করোনার অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে গেছে, এমন প্রত্যক্ষ প্রমাণ এখনও মেলেনি। তাই চিকিৎসার উপর এখনই নির্ভরশীল হওয়া যাচ্ছে না।

 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই মতামতের সমর্থন জানিয়েছেন মোহালির ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের অধ্যাপক ও ভাইরাস বিশেষজ্ঞ ড. ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্যায়।

 

তিনি বলেন, কোনো ব্যক্তির করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠলে তিনি আর এই ভাইরাসে আক্রান্ত হবেন না, তা একেবারেই নয়। আর্জেন্টিনা, ইতালি - এমনকি ভারতে একই ব্যক্তি দুবার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

 

ড. বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ১৪ দিন বা ২০ দিন নয়, মানুষের শরীরে এই ভাইরাস ৩৭ দিন পর্যন্ত সক্রিয় থাকতে পারে। সম্প্রতি ফ্রান্সের বিজ্ঞানীরা একটি গবেষণায় এমনই প্রমাণ পেয়েছেন। ফলে এই সময়ের মধ্যে কোনো ব্যক্তি একবার সেরে ওঠার পর কোনো রকম অসতর্কতায় বা দুর্বল শরীরের কারণে ফের করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন।