ঢাকা, ২৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার, ২০২৪ || ১৩ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৬৪৯

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, শিক্ষকদের দায়ী করেছেন বোন 

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৩:৪১ ১৫ জানুয়ারি ২০১৯  

ছবি সংগৃহীত

ছবি সংগৃহীত

মোঃ সাইফুল রহমান প্রতীক নামের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের  (শাবি) এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে।


তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রতিক শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইন্জিনিয়ার অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি (জিইবি) বিভাগের ২০১১-১২ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন। নগরীর কাজলশাহ'র একটি বাসা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। 

তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিশের প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে। তবে তার বোন 


কোতোয়ালি থানার এসআই  আকবর হোসেন ভূইয়া জানান,বিকালে তার রুমের দরজা ভেঙে তার মরদেহ উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী  মেডিকেল  কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।এটি একটি আত্মহত্যা বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে।

এদিকে প্রতীকের আত্মহত্যার জন্য শাবির জিইবি বিভাগের শিক্ষকদের দায়ী করেছেন তার বড় বোন। বড় বোন শাস্তা তাওহিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগের শিক্ষক।

সাইফুর রহমান প্রতিকের আত্মহত্যার খবর পেয়ে শান্তা তাওহিদ ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘আমার কলিজার টুকরা আমার আদরের একমাত্র ভাই আমার প্রতীক আর নাই... শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগকে আমি ছাড়ব না, অনার্সে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হওয়া ছেলেটাকে বিভিন্ন ইস্যু বানিয়ে মাস্টার্সে সুপারভাইজার দেয় নাই। বিভিন্ন কোর্সে নম্বর কম দিয়েছে! আমার ভাইটা টিচার হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিল এটাই তার অপরাধ... গত ছয় মাস ধরে ডিপার্টমেন্ট তিলে তিলে মেরে ফেলেছে আমার ভাইকে...আমার কলিজার টুকরা কষ্ট সহ্য করতে না পেরে কাল সুইসাইড করেছে...

আমার কলিজার টুকরা ছাড়া আমি কীভাবে বাঁচব? ভাইরে আমি আসতেছি তোর কাছে ভাই...’

আরেকটি স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘আমার ভাইটারে গত মাসেও আমি জিজ্ঞেস করেছি আমি কি তোর বিভাগের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে মামলা করব? আমার ভাই বলছে- আপু আমি জিআরআই দিয়েছি আপু, আমি ইউকে চলে যাব, আমার তো রেফারেন্স লাগবে! শিক্ষকরা ভয় দেখাইছে কিছু করলে রেফারেন্স লেটার দেবে না... আমার ভাইরে মেরে ফেলছে ওরা... আমি কই পাব আমার টুকরারে আমি কই পাব?’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদ বলেন, ঢাকা বা দেশের বাইরে থেকে এখানে লাশ রেখে পরিবারের লোকজনের এ রকম দাবি করা উচিত বলে আমি মনে করি না।

‘তার (প্রতীক) পরিবারকে জানানো হয়েছে। সবার সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

জিইবি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান শামসুল আলম প্রধানেরর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন দু-আড়াই মাস হয়েছে দায়িত্ব নিয়েছি। তেমন কিছুই আমার জানা নেই।এই মুহূর্তে তার জন্য দোয়া করা ছাড়া আর কিছুই বলার নেই। তবে আশা করি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হবে।

শাবির ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দীন আহমদ বলেন, বিষয়টি পুলিশ দেখছে। তাই না জেনে এখনই কিছুই বলা যাচ্ছে না।

বাংলাদেশ বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর