ঢাকা, ২৪ নভেম্বর রোববার, ২০২৪ || ১০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৭২০

‘বুলবুল’-এর আঘাতে লণ্ডভণ্ড সাতক্ষীরার উপকূল

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১১:৩৬ ১০ নভেম্বর ২০১৯  

ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ এর আঘাতে লণ্ডভণ্ড সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকা। রোববার ভোররাতে আঘাত হানার পর বৃষ্টি হচ্ছে। সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া। সাতক্ষীরার উপকূলবর্তী শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা, পদ্মপুকুর, বুড়িগোয়ালীনি, মুন্সিগঞ্জ, রমজাননগর ও কাশিমাড়িসহ আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর, আনুলিয়া, খাজরা ও শ্রীউলা এলাকার অধিকাংশ কাঁচা ঘর ভেঙে গেছে। ঝড়ের তাণ্ডবে ক্ষতি হয়েছে মাছের ঘের ও ধান ক্ষেতের। রাস্তায় পড়ে গাছ। কষ্টসাধ্য হয় উদ্ধার কাজ শুরু।  

সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী জানান, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উপকূল হয়ে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল রোববার ভোর ৫টা থেকে ৮১ কিলোমিটার বেগে সাতক্ষীরা উপকূলে আঘাত হানে। এটার পশ্চাৎভাগ সাতক্ষীরা উপকূলে বিরাজ করে। কেন্দ্রভাগ প্রবেশ করে  দেশের মোংলা সুন্দরবন উপকূলে।  ২৪ ঘণ্টায়  সাতক্ষীরায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১৪৭ মিলিমিটার।  

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে বাড়ঘর - গাছপালা ভেঙে গেছে উপকূলের বিভিন্ন এলাকায়। গাবুরা ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম বলেন, আমার ইউনিয়নের ৪ হাজার ঘর ভেঙে গেছে। মাছের ঘের তলিয়ে গেছে এবং  গাছ উপড়ে পড়েছে। মানুষ সাইক্লোন শেল্টারে নিরাপদে আছে।

বুড়িগোয়ালীনি ইউপি চেয়ারম্যান ভবতোষ মন্ডল বলেন, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে আমার ইউনিয়ন লণ্ডভণ্ড  হয়ে গেছে। বাতাসের তীব্রতা এত ছিল যে এখানকার অধিকাংশ গাছ উপড়ে গেছে। কাঁচা ঘর নষ্ট হয়ে গেছে, চালের টিন উড়ে গেছে। চিংড়ি ঘের ও ধানের জমি পানিতে একাকার হয়ে গেছে। নদীর পানি বাগায় আমার এলাকার ঝুঁকিপূর্ণ বেঁড়িবাধ মেরামতের চেষ্টা করছি। এখন জোয়ারের চলছে। তাই সাধারণ মানুষ বাঁধ ভেঙে যাওয়ার আতঙ্কে আছেন। রাস্তার গাছ সরাতে ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনী কাজ করছে।

শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুজ্জামান বলেন, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে প্রাণহানির কোনও খবর এখনও পাওয়া যায়নি। গাছপালা পড়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনী কাজ করছে। 
 

জনদুর্ভোগ বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর