ঢাকা, ৩১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার, ২০২৪ || ১৬ কার্তিক ১৪৩১
good-food
১০৫

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব কর্মসূচি প্রত্যাহার

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০১:১৯ ২৯ জুলাই ২০২৪  

সরকার মূল দাবি মেনে নেয়ায় সব কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। রবিবার (২৮ জুলাই) রাজধানীর ডিবি কার্যালয়ে আলোচনা শেষে এক ভিডিও বার্তায় এ ঘোষণা দেন আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।

 

নাহিদ সহিংসতায় আহত-নিহত হওয়ার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়েছেন। একই সঙ্গে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন। এসময় আন্দোলনের আরও পাঁচ সমন্বয়ক উপস্থিত ছিলেন।

 

আন্দোলনের অন্যতম এই সমন্বয়ক বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন ও তার প্রেক্ষিতে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনেকে অপ্রত্যাশিতভাবে আহত এবং নিহত হয়েছেন। তাছাড়া রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় অগ্নিসংযোগসহ নানা সহিংস ঘটনা ঘটেছে। আমরা এসকল ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত বিচারের দাবি জানাচ্ছি।

 

নাহিদ বলেন, আমাদের প্রধান দাবি ছিলো কোটার যৌক্তিক সংস্কার যা ইতিমধ্যে সরকার পূরণ করেছে। এখন শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর আহ্বান জানাই। সার্বিক স্বার্থে আমরা এই মুহূর্ত থেকে আমরা আমাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করছি।

 

২০১৮ সালে সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে কোটা বাতিল করে জারি করা পরিপত্র হাই কোর্ট অবৈধ ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় শিক্ষার্থীদের এই প্ল্যাটফর্ম টানা আন্দোলন চালিয়ে আসছিলো। এক পর্যাযয়ে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও আন্দোলনে যোগ দেয়। তাদের সঙ্গে স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদেরও দেখা যায়।

 

কর্মসূচির অংশ হিসেবে তারা ‘বাংলা ব্লকেড’ নামের অবরোধও দেয়। এক পর্যায়ে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। কর্মসূচিতে চলাকালে রাজধানীসহ সারা দেশে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও সরকর সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ক্লাস পরীক্ষা স্থগিত করে হল খালি করার নির্দেশ দেয়। অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ করে সরকার।

 

গত ১৮ জুলাই আন্দোলনকারীরা সরকারি বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন দেয়। ব্যাপক ভাঙচুর হয় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ১৯ জুলাই রাতে কারফিউ জারি করে সরকার। বেসামরিক প্রশানসকে সহায়তায় মোতায়েন করা হয় সেনাবাহিনী।

 

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে নাশকতা-সহিংসতায় ১৪৭ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে সরকার। এদের মধ্যে সাধারণ মানুষ, শিক্ষার্থী, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী, সাংবাদিক এবং পুলিশের কয়েকজন সদস্য রয়েছেন।

 

এর আগে শুক্রবার (২৬ জুলাই) বিকেলে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকেরকে নিয়ে যাওয়া হয় গোয়েন্দা হেফাজতে। এরপর শনিবার (২৭ জুলাই) সন্ধ্যায় আরো দুই সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহকে হেফাজতে নেয় ডিবি। পরে রবিবার (২৮ জুলাই) আরেক সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুমকে হেফাজতে নেয়ার কথা জানায় ডিবি।