ঢাকা, ২৩ নভেম্বর শনিবার, ২০২৪ || ৯ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
২২৪

ব্রয়লার মুরগির মাংসের ৭টি মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০০:২৪ ২০ অক্টোবর ২০২২  

আমিষ খাবার সুস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করতে মুরগির মাংসের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ। এ মাংস প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, অ্যামিনো অ্যাসিড, ভিটামিন বি -৩, ভিটামিন বি -৬, ম্যাগনেসিয়াম এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টির সমৃদ্ধ উত্‍স।

 

কিন্তু সবধরনের মুরগির মাংস স্বাস্থ্যের জন্য স্বাস্থ্যকর নয়। বিশেষত, ব্রয়লার মুরগি মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। অনেক ক্ষেত্রেই এ মুরগিকে খাবারের সঙ্গে ক্ষতিকারক রাসায়নিক, অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ানো হয়। যা মাত্র ৪০ দিনের মধ্যেই তাদের দ্রুত বাড়তে সাহায্য করে।

 

নিয়মিত ব্রয়লার মুরগির মাংস খাওয়া স্বাস্থ্যের ওপর বিভিন্ন বিপজ্জনক প্রভাব ফেলতে পারে। এখন দেখে নেওয়া যাক, ব্রয়লার মুরগির মাংসের নেতিবাচক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া-

 

১. ক্যানসার ছড়ায়
এক গবেষণায় (পোল্ট্রি কনজাম্পশন অ্যান্ড প্রস্টেট ক্যানসার রিস্ক) দেখা গেছে, উচ্চ তাপমাত্রায় রান্না করা ব্রয়লার মুরগির মাংস খাওয়ার ফলে ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে। বিশেষত, পুরুষের প্রস্টেট ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আজকাল মানুষ তন্দুরি মুরগির জন্য পাগল। ভাজা বা পোড়ানো মাংস উচ্চ তাপমাত্রায় রান্না করা হয়। এটি স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত বিপজ্জনক।

 

২. ব্যাকটেরিয়া
বেশিরভাগ পোল্ট্রি ফার্মে এবং ব্রয়লার মুরগিতে মারাত্মক ব্যাকটেরিয়া থাকে (তাজা ব্রয়লার মুরগির মাংসে স্পাইলেজ ব্যাকটেরিয়া)। টাটকা ও স্বাস্থ্যকর মাংস পাওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। ব্রয়লার মুরগিতে উপস্থিত এ ধরনের ব্যাকটেরিয়া একাধিক অসুস্থতার কারণ হতে পারে।

 

৩. সিগারেটের চেয়ে ক্ষতিকারক
গ্রিলড ও তন্দুরি ব্রয়লার মুরগির মাংস খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত বিপজ্জনক। এগুলো ধূমপানের চেয়েও বেশি বিপজ্জনক হতে পারে (ব্রয়লারের একটি লেগ রোস্ট ৬০টি সিগারেটের সমান ক্ষতিকারক)। ব্রয়লার মুরগিতে থাকা প্রোটিনের অণুগুলো নিজেদের পরিবর্তন করতে পারে এবং উচ্চ তাপমাত্রায় রান্না করা হলে বিপজ্জনক অসুস্থতার কারণ হতে পারে।

 

৪. অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট
ব্রয়লার মুরগিতে অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকে। স্বভাবতই সেগুলো সুস্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো নয়। ব্রয়লার মুরগির মাংস নিয়মিত খাওয়ার ফলে স্থূলত্ব, উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের সমস্যা ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। যে কারণে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়ে থাকেন, ব্রয়লার মুরগির মাংস খাওয়া বন্ধ করে দেশি মুরগির মাংসের ওপর নির্ভর করুন।

 

৫. ক্ষতিকারক রাসায়নিক উপাদান
উত্‍পাদন ও ওজন বাড়ানোর জন্য ব্রয়লারগুলোকে ক্ষতিকারক রাসায়নিক, অ্যান্টিবায়োটিক ও গ্রোথ হরমোন দিয়ে ইনজেকশন দেয়া হয়। এগুলো খাওয়ার ফলে স্বাস্থ্যের ওপর বিপজ্জনক প্রভাব পড়ে। যা স্থূলত্ব, পুরুষের প্রজনন, মেয়েদের বয়ঃসন্ধি ইত্যাদিতে সমস্যার কারণ হতে পারে।

 

৬. রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা
ব্রয়লারগুলোকে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ সেবন করানো হয়। প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতির কারণে মানুষের শরীরে প্রাকৃতিক রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় বলা হয়েছে, এক সপ্তাহে তিনবার ব্রয়লার মুরগির মাংস খাওয়া তিনটি অ্যান্টিবায়োটিক ইনজেকশন নেওয়ার সমান।

 

৭. পুরুষের বন্ধ্যাত্ব
বর্তমানে পুরুষ বন্ধ্যাত্বের অন্যতম কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে ব্রয়লার মুরগির মাংস। গবেষকদের দাবি, এ মাংসে উপস্থিত রাসায়নিকগুলো পুরুষের শুক্রাণু ধ্বংস করে এবং সেগুলোকে অক্ষম করে তোলে।