ঢাকা, ২৪ নভেম্বর রোববার, ২০২৪ || ১০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৬১৭

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন

ভারতের ট্রাক চললে বাংলাদেশের আয় বাড়বে ১৭%

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৯:০৮ ১০ মার্চ ২০২১  

বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে উঠলে দুই দেশেরই জাতীয় আয় বাড়বে। বাংলাদেশের ওপর দিয়ে প্রতিবেশি দেশটির পণ্যবাহী ট্রাক চললে দেশের এ আয় ১৭% বৃদ্ধি পাবে। আর ভারতের বাড়বে ৮%।

 

মঙ্গলবার ‘কানেক্টিং টু থ্রাইভ: চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড অপরচুনিটি অব ট্রান্সপোর্ট ইন্টেগ্রেশন ইন ইস্টার্ন সাউথ এশিয়া’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপালের (বিবিআইএন) মোটর যানবাহনের তথ্য বিশ্লেষণ করে এটি তৈরি করা হয়েছে।

 

বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর (বাংলাদেশ-ভুটান) মার্সি টেম্বন বলেন, ‘ভৌগোলিকভাবে ভারত, নেপাল, ভুটান ও পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর গেটওয়ে বাংলাদেশ। আঞ্চলিক বাণিজ্য, ট্রানজিট ও লজিস্টিক নেটওয়ার্ক উন্নয়নের মাধ্যমে এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক পাওয়ার হাউস হতে পারে দেশটি। নিরবচ্ছিন্ন পরিবহন ব্যবস্থায় বেশি লাভবান হবে তারা।’

 

তিনি বলেন, ‘গত দশকে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে বাণিজ্য যথেষ্ট বেড়েছে। তবে এটি বর্তমান সম্ভাবনার চেয়ে প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার কম। আঞ্চলিক ও বাণিজ্য ট্রানজিট শক্তিশালী করতে সড়ক, জলপথ করিডোর, স্থলবন্দর এবং বাণিজ্যের জন্য ডিজিটাল ও স্বয়ংক্রিয় সিস্টেম উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকারকে সহযোগিতা করছে বিশ্বব্যাংক।’

 

ভারতে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর জুনায়েদ আহমেদ বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর উন্নয়নে যোগাযোগব্যবস্থায় (রেল, অভ্যন্তরীণ পানিপথ ও সড়ক) বিনিয়োগ প্রয়োজন। বিশেষ করে এ অঞ্চলের অর্থনীতি করোনার প্রভাব কাটিয়ে উঠছে। এখন দীর্ঘমেয়াদি অন্তর্বর্তী এবং টেকসই উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ।’

 

প্রতিবেদনে বলা হয়, এ দুই দেশের মধ্যে মুক্তবাণিজ্য চুক্তি আছে। সবকিছু ঠিকঠাক হলে ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়বে ১৮২%। আর এদেশে তাদের রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে ১২৬%। বাংলাদেশে বর্তমানে পড়শী দেশটির ট্রাক চলাচলের অনুমোদন নেই। ফলে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল দেশটির মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন। মূলত উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলো শিলিগুড়ি করিডোরের মাধ্যমে সেদেশের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত। এ রুট দীর্ঘ ও ব্যয়সাপেক্ষ।  

 

উদাহরণ তুলে ধরে এতে উল্লেখ করা হয়, ভারতের আগরতলার পণ্য ১৬শ’ কিলোমিটার ঘুরে শিলিগুড়ি করিডোর দিয়ে কলকাতা বন্দরে পৌঁছে। বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করতে পারলে সেখান থেকে তা এখানে পৌঁছতে মাত্র ৪৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হবে। এমনটি হলে আগরতলা-কলকাতা পণ্য পরিবহনে খরচ কমবে ৮০%।