ঢাকা, ২৪ নভেম্বর রোববার, ২০২৪ || ১০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
২৪৮

ভারতের সস্তা চালের দিকে ঝুঁকছেন ক্রেতারা

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০০:০৩ ২ জুলাই ২০২২  

চলতি সপ্তাহে বিশ্ববাজারে ভারতের চালের চাহিদা বেড়েছে। দেশটির মুদ্রা রুপি দুর্বল হওয়ায় থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের চেয়ে ভারতীয় চালের দিকে বেশি ঝুঁকছেন ক্রেতারা।

 

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে বিজনেস রেকর্ডারের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে। এতে বলা হয়, দেশের অভ্যন্তরে ক্রমবর্ধমান চালের দামে লাগাম টানতে সম্প্রতি আমদানি শুল্ক ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫% নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ। পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা বলছেন, এবার প্রতিবেশী ভারত থেকে বিপুল পরিমাণ চাল আসবে। 

 

বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ চাল উৎপাদক দেশ বাংলাদেশ। ঝড় ও বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ে ঘাটতি পূরণে দেশটিকে প্রায়ই খাদ্যপণ্যটি আমদানি করতে হয়।

 

বিশ্বের শীর্ষ চাল রপ্তানিকারক দেশ ভারত। বর্তমানে দেশটিতে প্রতি টন খাদ্যশস্যটি বিক্রি হচ্ছে ৩৫৫ থেকে ৩৬০ ডলারে। 

 

অন্ধ্রপ্রদেশের কাকিনাদাভিত্তিক এক রপ্তানিকারক বলেন, সস্তা পাওয়ায় ক্রেতারা ভারতীয় চালের প্রতি ঝুঁকছেন। সবমিলিয়ে প্রায় ২৫ শতাংশ চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু ভাঙা সাদা চালের চাহিদা শতভাগ বেড়েছে।  

 

থাইল্যান্ডের ভাঙা চালের মূল্য ৫ শতাংশ কমেছে। চলতি সপ্তাহে দেশটিতে প্রতি টন খাদ্যপণ্যটির দর ৪১২ থেকে ৪১৫ ডলারে দাঁড়িয়েছে। গত সপ্তাহে যা ছিল ৪২০ থেকে ৪২৫ ডলার।

 

ব্যাংককভিত্তিক এক ব্যবসায়ী বলেন, থাইল্যান্ডে চালের চাহিদা আসছে। তবে বড় আকারে নয়। বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। বর্তমানে থাই চালের চেয়ে ভারতীয় খাদ্যপণ্যটির দর কম আছে।   

 

ভিয়েতনামের ভাঙা চালের মূল্য ৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। চলতি সপ্তাহে দেশটিতে প্রতি টন খাদ্যপণ্যটির দাম ৪১৫ থেকে ৪২০ ডলারে পৌঁছেছে। গত সপ্তাহে যা ছিল ৪১৮ থেকে ৪২৩ ডলার।

 

হো চি মিন সিটিভিত্তিক এক ব্যবসায়ী বলেন, চলমান মৌসুমে ভিয়েতনামে চালের ব্যাপক উৎপাদন হয়েছে। ফলে দেশের অভ্যন্তরে সরবরাহ বেড়েছে।