ঢাকা, ২৫ নভেম্বর সোমবার, ২০২৪ || ১১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
২৯৯

ভ্যাকসিনের পর করোনার ওষুধ আনছে ফাইজার

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০২:৩৬ ২৯ এপ্রিল ২০২১  

গতবছর থেকে গোটা বিশ্বে আতঙ্কের নাম করোনা। মারণ এই ভাইরাসকে ঠেকাতে জার্মান সংস্থা বায়োনটেকের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে ইতিমধ্যে ভ্যাকসিন এনেছে মার্কিন সংস্থা ফাইজার। 


তবে ভ্যাকসিনেই থেমে নেয় তারা। এবার করোনার দুটি ওষুধ তৈরি করতে চলেছে প্রতিষ্ঠানটি। এর মধ্যে একটি ইঞ্জেকশন এবং আরেকটি আর পাঁচটি সাধারণ ওষুধের মতো 'ওরাল ট্যাবলেট'। যার ফলে ভ্যাকসিনের জন্য ছোটাছুটি করতে হবে না।


জার্মান সংস্থা বায়োনটেকের সঙ্গে এনে গাঁটছড়া বেঁধে এর আগে করোনার টিকা বাজারে এনেছিল ফাইজার। সংস্থার দাবি, তাঁদের এই টিকা করোনার বিরুদ্ধে ৯৫ শতাংশ কার্যকরী। আমেরিকা, ব্রিটেনসহ একাধিক দেশ ইতিমধ্যে এই টিকায় ছাড়পত্র দিয়েছে। এর মধ্যে ব্রিটেন সবার আগে ছাড়পত্র দিয়েছিল। 

 

এরপরই মার্কিন মুলুকেও করোনার টিকা হিসেবে ব্যবহারের ছাড়পত্র পায় ফাইজারের টিকা। ইতিমধ্যে সেদেশের অনেকেই টিকাও নিয়ে ফেলেছেন। আর এবার তারা গবেষণা চালাচ্ছে করোনার ওষুধের উপর। 


সেই ওষুধ চলতি বছরের শেষ কিংবা আগামী বছরের শুরুতেই ছাড়পত্রও পেয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশও করেছে সংস্থাটি। ইতিমধ্যে সেটির প্রথম পর্যায়ের পরীক্ষা-নিরীক্ষাও শুরু হয়েছে।

 

এই প্রসঙ্গে একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফাইজারের সিইও অ্যালবার্ট জানিয়েছেন, করোনা মোকাবিলায় আমরা এখন দুটো ওষুধের ওপর গবেষণা চালাচ্ছি। এর মধ্যে একটি ইঞ্জেকশনের সাহায্যে নিতে হবে। অপরটি ওরাল ট্যাবলেট। অর্থাৎ আর পাঁচটি ওষুধের মতোই ট্যাবলেট আকারে পাওয়া যাবে এটি। 


তিনি বলেন, সবকিছু ঠিকঠাক চললে আগামী বছরের শুরুতেই হয়তো বাজারে এই ওষুধ চলে আসবে। আমাদের নজরও ওরাল ট্যাবলেটের দিকেই। কারণ এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, এটা সরবরাহ করা এবং পাওয়া দুটোই খুব সহজ। পাশাপাশি রোগী কিংবা আত্মীয়দের হাসপাতালে ছোটাছুটিও করতে হবে না। ওষুধের দোকান থেকে কিনে নিলেই হবে।' আশা প্রকাশ করেন, এই ওষুধ করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তেও কার্যকরী হবে।

বিশ্ব বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর