ঢাকা, ১৯ জানুয়ারি রোববার, ২০২৫ || ৬ মাঘ ১৪৩১
good-food
১১৫৯

মন্ত্রিপরিষদে নতুনদের ওপর নজর থাকবে প্রধানমন্ত্রীর

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০২:০৪ ৯ জানুয়ারি ২০১৯  

সংগৃহীত

সংগৃহীত

কাজের ক্ষেত্রে যেন কোনো গাফিলতি না হয়, মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যদের হুঁশিয়ার করার সঙ্গে তাদের ওপর নজর রাখবেন  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


পুরনো মন্ত্রীদের বাদ দেয়া নিয়ে তিনি বলেছেন, আগের মন্ত্রীদের কোনো ব্যর্থতা ছিল না, বরং ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে পরিবর্তন এনেছেন।

একাদশ সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় নিয়ে টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের একদিন পর মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে সোমবার বৈঠকে বসেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।

চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠনের ক্ষেত্রে আগের মন্ত্রিসভার অধিকাংশসহ দলের প্রবীণ নেতাদের বাদ দিয়েছেন শেখ হাসিনা। পাশাপাশি এই প্রথম তার সরকারে স্থান দেয়া হয়নি জোট শরিক দলগুলোর কাউকে।

সভায় শেখ হাসিনা বলেন, যাদের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী বানিয়েছি তাদের একটা কথাই বলব, একটা কথা মনে রাখতে হবে। যারা মন্ত্রী ছিলেন, তাদের কিন্তু ব্যাপক সফলতা আছে। এমন কোনো কথা উচ্চারণ করা যাবে না যে কেউ ব্যর্থ বলে আপনাদের বানিয়েছি, তা কিন্তু না।

আগের মন্ত্রীদের পরিশ্রমের কথা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, যারা দায়িত্ব পেয়েছেন এই জায়গা থেকে আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এই সফলতা যেন নষ্ট না হয়, সেটা মাথায় রাখতে হবে।

নতুন মন্ত্রীদের কাজে ‘সব সময় নজরদারি রাখা হবে’ বলেও মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।

মন্ত্রিসভায় ব্যাপক পরিবর্তনের ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ১০ বছর যারা একটানা মন্ত্রী ছিলেন, আমি নতুন কিছু নিয়ে আসতে চাচ্ছিলাম। এই জন্য কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। একটা নতুন সেট, একটু ট্রেইনিং করা বা তাদেরকে আনা বা তাদেরকে একটু দেখানো, তারা যেন শিখতে পারে।
মন্ত্রিসভা গঠনের ক্ষেত্রে আঞ্চলিকতার বিষয়টির দিকে নজর রাখার কথাও বলেন শেখ হাসিনা।

“যেসব জেলায় কোনোদিন মন্ত্রী হয় নাই, আমি হিসেব করে দেখেছি, ১৯৯৬, ২০০৮ এমনকি ২০১৪তেও হয়নি, সেসব জেলা থেকে মন্ত্রী করার চেষ্টা করেছি।”

একাদশ সংসদ নির্বাচনকে ‘বিরাট চ্যালেঞ্জ’ হিসেবে নেয়ার কথা জানিয়ে ভোটের লড়াইয়ে উৎরে যাওয়ায় দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানান আওয়ামী লীগ সভানেত্রী।
তিনি বলেন, আমি দুশ্চিন্তায় ছিলাম। আমরা যদি না আসতে পারতাম, আর যদি ওই বিএনপি-জামাত আসত, মানুষের মধ্যে শান্তি থাকত না। তারা একেবারে গণহত্যা শুরু করে দিত।

“তাদের সেই চরিত্র আমরা দেখেছি একানব্বই সালে ক্ষমতায় আসার পর, ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পর ৭১ সালের মতো মেয়েদের রেপ করা থেকে শুরু করে সব ধরনের অত্যাচার তারা করেছে। এবারও আসলে তারা হত্যাসহ নানা ধরনের অন্যায়-অবিচার করত।”

ভোটের পর বিএনপি-জামায়াত জোটের অপপ্রচারের দিকে নজর রাখতেও দলের নেতাদের পরামর্শ দেন শেখ হাসিনা।
“বিএনপি-জামাত জোট নির্বাচন নিয়ে অপপ্রচার অব্যাহত রেখেছে। তারা অ্যাম্বাসিতে বলছে, আমাদের কোনো সামর্থ্য নেই।”

বিএনপির নির্বাচনী কৌশলের ‘দুর্বলতা’ তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, “৩/৪ জনকে একই সিটে নমিনেশন দিয়ে সেটা আবার পরিবর্তন করেছে। যেসব সিটে যারা শিওর জিতবে, সে সব সিটে তাদের নমিনেশন দেওয়া হয়নি। এমন বহু ঘটনা ঘটিয়ে তারা নিজেদের কপাল নিজেরা পুড়িয়েছে।

“তাদের আরেকটা দুর্বলতা ছিল নির্বাচনে জয়ী হলে কে সরকার প্রধান হবে বা কে তাদের নেতা। তাদের চেয়ারপারসন একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি, যাকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপাসন করল সে সাজার আদেশ নিয়ে দেশের বাইরে পলাতক রয়েছে। এখানে যারা আছে তাদের কোনো গুরুত্ব নেই। দেশের ভেতরে কাউকে দলের দায়িত্ব দিলে এত বড় ডিজাস্টারটা হত না।”

“আমরা নির্বাচনে নমিনেশন খুব চিন্তা-ভাবনা করে দিয়েছি। যার ফলে আওয়ামী লীগ বিপুলভাবে জয়লাভ করেছে,” বলেন শেখ হাসিনা।

পাশাপাশি ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপির ‘দুঃশাসন’ দেখে জনগণ বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।