ঢাকা, ২৫ নভেম্বর সোমবার, ২০২৪ || ১১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৩০৫

মাসিকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের লক্ষণ

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০০:৪০ ৭ জানুয়ারি ২০২৪  

cধরে নেন। কিন্তু এই সমস্যাটি দৈনন্দিন জীবনে প্রভাব ফেলে। দীর্ঘদিন ধরে অতিরিক্ত রক্তপাতের চিকিৎসা না নিলে তা স্বাভাবিক জীবনযাপনকে ব্যাহত করতে পারে।

 

এছাড়া এটি অ্যানিমিয়া বা রক্তশূন্যতা সৃষ্টি করতে পারে। রক্তশূন্যতার কারণে দুর্বলতা থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে, যা ভবিষ্যতে জটিল আকার ধারণ করতে পারে। তাই পিরিয়ড চলাকালীন অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের সমস্যা থাকলে সঠিক সময়ে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা জরুরি।

 

মাসিকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের পেছনে সবসময় নির্দিষ্ট কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না। কিন্তু ফাইব্রয়েড বা এন্ডোমেট্রিয়োসিসের মতো জরায়ু ও ডিম্বাশয়ের কিছু রোগের কারণে এই সমস্যা হতে পারে। তাই অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের লক্ষণ থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়ে চিকিৎসা শুরু করা উচিত। চিকিৎসা পদ্ধতির মধ্যে রয়েছে ঔষধ, জন্মনিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত কিছু পদ্ধতি ও বিভিন্ন অপারেশন।

 

মাসিকে কতটুকু রক্তক্ষরণ হলে তা অতিরিক্ত ধরা হয়

অতিরিক্ত রক্তক্ষরণকে নির্দিষ্ট সংজ্ঞা দেওয়া কঠিন, কারণ একেকজনের ক্ষেত্রে একেক রকম লক্ষণ দেখা দেয়। একজনের জন্য যা অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ বলে মনে হয় তা হয়তো আরেকজনের জন্য স্বাভাবিক। মাসিক সাধারণত ২-৭ দিন বা গড়ে ৫ দিন স্থায়ী হয়। বেশিরভাগ নারীর ক্ষেত্রে মাসিক চলাকালে গড়ে ৬-৮ চা চামচের কাছাকাছি রক্তক্ষরণ হয়। ১৬ চা চামচ বা ৮০ মিলিলিটার পর্যন্ত রক্তপাতকে স্বাভাবিক ধরা হয়।

 

মাসিকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের লক্ষণ

প্রতি মাসিকে যদি—

  • ৮০ মিলিলিটার বা এর অধিক রক্তক্ষরণ হয় অথবা
  • মাসিক ৭ দিনের বেশি স্থায়ী হয় অথবা
  • দুটো ঘটনাই ঘটে

তাহলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হচ্ছে বলে ধরে নেওয়া হয়।

 

তবে সাধারণত রক্তপাতের পরিমাণ মেপে দেখার প্রয়োজন পড়ে না। বেশিরভাগ নারীরই মাসিকের সময় কতটুকু রক্তপাত তাদের জন্য স্বাভাবিক সেই বিষয়ে ধারণা থাকে। রক্তক্ষরণের পরিমাণে কোনো পরিবর্তন হলে তারা বিষয়টি খেয়াল করতে পারেন।

 

সহজে বোঝার সুবিধার্থে নিচের চারটি ব্যাপার ঘটছে কি না সেদিকে খেয়াল রাখুন—

  • ১) প্রত্যেক ১-২ ঘণ্টার মধ্যে স্যানিটারি পণ্য (ট্যাম্পন, প্যাড) পরিবর্তনের প্রয়োজন হওয়া
  • ২) ১ ইঞ্চির চেয়ে বড় বা কালচে রক্তের চাকা যাওয়া
  • ৩) রক্ত গড়িয়ে বিছানায় বা কাপড়ে লেগে থাকা, বিশেষ করে রাতে ঘুমের মধ্যে প্যাড ভিজে গিয়ে জামাকাপড় বা বিছানায় দাগ লাগা
  • ৪) দুটি স্যানিটারি পণ্য একত্রে ব্যবহারের প্রয়োজন হওয়া। যেমন: ২টি প্যাড বা ১টি ট্যাম্পন ও ১টি প্যাড।