ঢাকা, ২৪ নভেম্বর রোববার, ২০২৪ || ১০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
২৪১

মাস্ক পরলেই কানে ব্যথা? যা করবেন

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২২:১৭ ১ সেপ্টেম্বর ২০২১  

করোনাভাইরাস মহামারিতে বিশেষজ্ঞরা সবচেয়ে বেশি যে পরামর্শ দিচ্ছেন তা হলো- মাস্ক পরতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাস্ক পরলে মুখ ও নাক দিয়ে নির্গত করোনা ড্রপলেট বেশি দূর ছড়ায় না, তাই সংক্রমণের ঝুঁকি কমে যায়। কিন্তু মাস্ক পরার অভ্যাসটি আমাদের নতুন।

 

তবে ভুলভাবে মাস্ক পরলে তা ভাইরাস থেকে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারে না। আবার কিছু সচেতন ব্যক্তি বেছে নিচ্ছেন একটি নয় দুটি মাস্ক। সারাক্ষণ মাস্ক পরে থাকায় কানে ব্যথা, কান লাল হয়ে যাওয়া, জ্বালা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। তাই বলে মাস্ক পরা বন্ধ করা যাবে না কোনোমতেই। 

 

করোনা সংক্রমণ কমাতে সরকার ইতোমধ্যে ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ নীতি গ্রহণ করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও (ডব্লিউএইচও) ক্রমাগত বলে যাচ্ছে, টিকা নেয়ার পরও সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। এমন কিছু টিপস জানা থাকলে এমন সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। দেখে নিন লাইফস্টাইল ম্যাগাজিন বোল্ডস্কাইডটকম-এ প্রকাশিত টিপসগুলো—

 

নো ইলাস্টিকের মাস্ক
কানে আটকানোর দড়ি হিসেবে যেসব মাস্কে ইলাস্টিক ব্যবহার হয় সেগুলো পরলে কানে ব্যথা হবে। তাই কানে ব্যথা ও জ্বালা থেকে মুক্ত থাকতে নো ইলাস্টিক মাস্ক পরুন।

 

বরফ ব্যবহার করুন
বরফ দিয়ে মাসাজ অনেক ব্যথা দূর করে। অনেকক্ষণ মাস্ক পরা থাকলে বাসা বা অফিসে অন্যদের চেয়ে নিরাপদ দূরত্বে গিয়ে একবার বরফ দিয়ে মাসাজ করে নিন– ব্যথা উপশম হবে। তবে বরফ লাগানোর পর কানে ময়েশ্চারাইজার লাগাবেন।

 

ব্যবহার করুন ক্লিপ মাস্ক
সাধারণত চুলে যেসব ক্লিপের ব্যবহার হয় সেগুলো মাস্ক আটকাতেও ব্যবহার করা যায়। চুল বেঁধে মাস্কের ইলাস্টিক কানে না আটকে ক্লিপ দিয়ে কানের পেছনের চুলের সঙ্গে আটকে দিন। তবে এমনটা করতে পারবেন শুধু যাদের লম্বা চুল তারাই।

 

ঘরে তৈরি মাস্ক পরুন 
ঘরে তৈরি মাস্কেও করোনা সংক্রমণ ঠেকানো যায়। কানের ব্যথা থেকে রক্ষা পেতে ঘরে মাস্ক তৈরি করতে পারেন। বাজারে কেনা মাস্কে যে ইলাস্টিক ব্যবহার করা হয়, তার বদলে ঘরে তৈরি মাস্কে কানে আটকানোর দড়ি হিসেবে ব্যবহার করুন আরামদায়ক নরম কাপড়।   

 

যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি) বহু আগে থেকেই দুটি মাস্ক একসঙ্গে পরার পরামর্শ দিয়ে আসছে। স্বাভাবিকভাবেই একটি মাস্কের পরিবর্তে দুটি মাস্ক আরও শক্তিশালী সুরক্ষা দেয়। দুটি মাস্ক ভেদ করে সংক্রমণ ঘটানো করোনাভাইরাস কিংবা অন্য যেকোনো জীবাণুর জন্যই মুশকিল হয়ে দাঁড়ায়।

 

অপরদিকে দুটি মাস্ক পরিধানকারীর কাছ থেকে করোনাভাইরাস ছড়ানোর সম্ভাবনাও একটি মাস্ক পরে থাকার ব্যক্তি তুলনায় অনেক কম। মাস্ক একটি পরুন কিংবা দুইটি, প্রতিটিতে দুই থেকে তিন পরত কাপড় থাকতে হবে। মুখে আঁটসাট হয়ে আটকে থাকা অত্যন্ত জরুরি।

 

বিশেষজ্ঞদের দাবি, দুটি মাস্ক পরার কারণে সংক্রমনের আশঙ্কা এবং রোগ তীব্রমাত্রা ধারণ করার সম্ভাবনা দুটোই কমে যায় প্রায় ৮৫ থেকে ৯৫ শতাংশ। দুটি মাস্ক পরছেন বলেই যে একটি মাস্ক একটু দুর্বল হলেও সমস্যা নেই এমনটা ভেবে নেয়া যাবে না। দুটো মাস্কই ভালোমানের এবং পরিষ্কার হতে হবে।

 

সিডিসি বলে, “বিভিন্ন ধরনের মাস্কের জোড়ের কার্যকারিতার মাত্রা ভিন্ন। মাথার পেছনে শক্ত করে বাঁধা যায় না এমন একটি মাস্ক পরলে সুরক্ষার মাত্রা প্রায় ৫৬.৬ শতাংশ। অপরদিকে সাধারণ কাপড়ের মাস্কের নিচে কিংবা ওপরে একটি সার্জিকাল মাস্ক কিংবা মাথায় পেছনে নিয়ে বেঁধে রাখার যায় এমন মাস্ক পরলে সুরক্ষার মাত্রা বেড়ে যায় ৮৫.৪ শতাংশ পর্যন্ত। 

 

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) গবেষণায় দেখা গেছে, কাপড় ও সার্জিক্যাল মাস্ক— দুটো একসঙ্গে পরলে তা মুখে ভালোভাবে ফিট হয় এবং বাতাসের লিকেজ রুখতে পারে।