ঢাকা, ২৫ নভেম্বর সোমবার, ২০২৪ || ১১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
১০১৫

মুঝে মালুম নেহি, কিউ আপনে পেঁয়াজ বন্ধ কর দিয়া!

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৮:৫১ ৪ অক্টোবর ২০১৯  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পেঁয়াজ খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন। কোনো ধরনের পূর্ব নোটিশ ছাড়া প্রতিবেশী দেশ ভারত পেঁয়াজ রফতানি করা বন্ধ করে দেয়ায় রন্ধনশালার কর্মীদের তরকারিতে পেঁয়াজ না দেয়ার জন্য নির্দেশ দেন তিনি। 

শুক্রবার ভারতের নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ-ভারত বিজনেস ফোরামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে একথা জানান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
নয়াদিল্লির আইটিসি মাইয়্যুরা হোটেলে এ অনুষ্ঠান হয়।  

ভারত সরকারের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনো পণ্য রফতানি বন্ধ করার আগে জানালে বাংলাদেশ পণ্য সংকট মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি নিতে পারে।
ভারতের রপ্তানি বন্ধের পর বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম দ্রুতই বেড়ে যায়। এতে সমস্যায় পড়ে যান বাংলাদেশের মানুষ। ফলে রপ্তানি বন্ধের মত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ভারত যেন প্রতিবেশীদের আগে থেকে জানিয়ে প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ করে দেয়, সেই আহ্বান জানান বাংলাদেশের নেতা। 

বক্তব্যের এক পর্যায়ে রসিকতা করে হেসে হেসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হিন্দি ভাষায় বলেন, ‘পেঁয়াজ মে থোড়া দিক্কত হো গ্যায়া হামারে লিয়ে। মুঝে মালুম নেহি, কিউ আপনে পেঁয়াজ বন্ধ কর দিয়া! ম্যায়নে কুক কো বোল দিয়া, আব সে খানা মে পেঁয়াজ বন্ধ কারদো। (পেঁয়াজ নিয়ে আমাদের সামান্য সমস্যা হয়ে গেলো। আমি জানি না, কেন আপনারা পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছেন! আমি আমার রাঁধুনিদের বলে দিয়েছি, এখন থেকে আমার রান্নায় পেঁয়াজ বন্ধ করে দাও।)

অনুষ্ঠানে উপস্থিত দুই দেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা করতালির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তৃতায় সাড়া দেন।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির উন্নয়নশীল দেশ।’ স্বাধীনতার পর থেকে ভারত বাংলাদেশকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে সহযোগিতা করেছে সে কথাও বলেন শেখ হাসিনা।

উল্লেখ্য, ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দিলে তা বিক্রি হতে থাকে ১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকায়। সরকার টিসিবির মাধ্যমে ৪৫ টাকা প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করলেও তেমন কমেনি দাম।

ঢাকার কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১০০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত কয়েক দিন আগের থেকে অবশ্য কিছুটা কম। তবে কোনা কোন জায়গায় খুচরা দোকানে পেঁয়াজ বেশি দামেই বিক্রি হতে দেখা গেছে।

উল্লেখ্য, প্রতিবেশী দেশ ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দিয়ায় হঠাৎ করে রাজধানীসহ সারাদেশে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। ৪০ টাকার পেঁয়াজ বিক্রি হতে থাকে ১১০ থেকে ১২০ টাকায়। সরকার টিসিবির মাধ্যমে ৪৫ টাকা প্রতি কেজিতে বিক্রি করলেও চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। ফলে টিসিবির ট্রাকসেলের সামনে বিপুল সংখ্যক মানুষকে ২-১ কেজি পেঁয়াজ কেনার জন্য দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সব সময় জিরো টলারেন্স দেখাচ্ছে। তাই দেশে বিনিয়োগের সুন্দর পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ভারতের দুটি ব্যবসায়ী গ্রুপের সমঝোতা স্মারক সই হয়।