ঢাকা, ২৪ নভেম্বর রোববার, ২০২৪ || ১০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৮২০

মেয়ের প্রথম পিরিয়ড, মায়ের করণীয়

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২২:২৮ ২৬ ডিসেম্বর ২০২০  

প্রথম যেদিন পিরিয়ড হয়, সেই দিনের কথা ভুলতে পারেন না কোনও মেয়েই। জীবনের অনেক মানেই ওই দিন বদলে যায় তার কাছে। মেনস্টুয়াল খুব স্বাভাবিক ঘটনা। তবু এখন তা নিয়ে খোলাখুলি কথা বলতে আমরা অস্বস্তি বোধ করি। 

 

গ্রামে তো বটেই শহরেও পিরিয়ড নিয়ে ট্যাবু কাজ করে। কিন্তু তা শুরুর আগে সেই বিষয়ে মেয়েকে জানিয়ে রাখা খুব দরকার। না হলে অন্য জায়গা থেকে বিকৃত তথ্য শুনে কিশোরী মনের ওপর চাপ পড়তে পারে।

 

তাই বাবা মা হিসেবে কর্তব্য পিরিয়ড ও পিউবার্টি সম্পর্কে ছেলেমেয়েকে জানানো। তা কেন হয়, কখন হয়, কীভাবে হয়-এ শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া কৈশোরে পা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মেয়েকে জানিয়ে রাখা। পিরিয়ডের বিষয়ে কন্যা সন্তানকে কোন কোন কথা অবশ্যই জানানো উচিত, তা দেখে নিন-

 

# হঠাৎ একদিন জামাকাপড়ে রক্তের ছাপ দেখতে পেলে তা মেয়ের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে পারে। সেই সঙ্গে শারীরিক কষ্ট মিলে তার মনে হতে পারে খুব ভয়াবহ কিছু হচ্ছে। কিন্তু এটা যে খুব সাধারণ ব্যাপার। সব মেয়ের জীবনেই এরকম ঘটে সেটা তাকে বোঝানো জরুরি। ওকে বোঝান পিরিয়ড হওয়া মানে প্রতিমাসে কয়েক দিনের জন্য জীবন থমকে যাওয়া নয়। এটা কোনও অসুখ নয়। তার আশপাশের সব নারী পিরিয়ড নিয়ে সব কাজই স্বাভাবিকভাবে করছেন। 


# পিরিয়ডের সঙ্গে পেটে ও কোমরে তীব্র ব্যথার একটা সম্পর্ক আছে, সেটাও তাকে বুঝিয়ে রাখুন। অনেকের তা শুরু হওয়ার আগে থেকেই এ যন্ত্রণা হয়। একে বলে প্রিমেনস্ট্রুয়াল সিনড্রোম। এসময় মুড স্যুইং এবং অ্যাকনে দেখা দিতে পারে। হরমোনের তারতম্যের কারণে এটা হয়, সেটা তাকে বুঝিয়ে বলুন। তদুপরি কীভাবে সে এ দিনগুলোর জন্য প্রস্তুতি নেবে, তাও জানিয়ে দিন।


# অনেক জায়গাতেই এখনও পিরিয়ড নিয়ে ট্যাবু আছে। কন্যার সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলে তাকে স্বাভাবিক করে তুলুন।

 

# প্রতিমাসে পিরিয়ডের সময় কাছে এলেই মেয়ে যেন ভয়ে অস্থির হয়ে না ওঠে, সেদিকে খেয়াল রাখুন। সেসময়ের রক্তপাত আর কেটে গেলে বা আঘাত লাগলে যে রক্তপাত হয়, দুটি এক নয়, তা তাকে বোঝান। পিরিয়ড কোনও অভিশাপ নয়, লজ্জার বিষয় নয়; সেটা বুঝিয়ে বলুন। যাতে পিরিয়ড হলেই মেয়ে লুকানোর জন্য ঘরের কোণ না খোঁজে।

 

# প্রথম পিরিয়ড যেকোনও সময় হতে পারে। তাই মেয়ে কৈশোরে পা দিলে তার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলুন। পাশাপাশি ঘরে স্যানিটারি ন্যাপকিন, ট্যামপুন বা মেনস্ট্রুয়াল কাপ মজুত রাখুন। যাতে যেকোনও সময় প্রয়োজন পড়লে বিপদে না পড়তে হয়। কীভাবে এগুলো ব্যবহার করতে হয়, তা তাকে বুঝিয়ে দিন। মেয়ের ব্যাগে সবসময় একটা অন্তত প্যাড রাখুন। যাতে রাস্তাঘাটে প্রয়োজন পড়লে অসুবিধা না হয়।