ঢাকা, ১৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার, ২০২৫ || ৩ মাঘ ১৪৩১
good-food
৫১১

মেয়ে হত্যার বিচার আল্লাহর কাছে দিলাম: প্রীতির বাবা

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৩:০৬ ২৫ মার্চ ২০২২  

রাজধানীর শাহজাহানপুরে ইসলামিয়া হাসপাতালের সামনে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপুকে হত্যার সময় দুর্বৃত্তদের ফাঁকা গুলিতে নিহত বদরুন্নেছা সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী সামিয়া আফরিন ওরফে প্রীতি হত্যার বিচার আল্লাহর কাছে দিয়েছেন তারা বাবা। তিনি সরকারের কাছে কোনো বিচার চান না। 

 

আজ শুক্রবার (২৫ মার্চ) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মেয়ের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে আসলে তখন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এ কথা বলেন। 

 

প্রীতির বাবা জামাল উদ্দিন বলেন, পথচারী হিসেবে দুর্বৃত্তদের গুলিতে আমার মেয়ে নিহত হয়েছে। আমি কার কাছে এর বিচার চাইব। আল্লাহ হয়ত আমাদের মেয়ের মৃত্যু এভাবেই লিখেছিলেন। তাই আমি কারো কাছে বিচার চাই না।

 

মেয়ে হত্যার জন্য মামলা করা হবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, কোনো মামলা করা হবে না। কেই আমাকে হুমকি দেয় নাই। আমি কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছি না, তাই আমাকে হুমকি দেওয়ার কিছু নেই। 

 

তিনি আরো বলেন, সরকার যদি আমার মেয়ের হত্যার ঘটনায় কোনো সহযোগিতা করতে চায় তাহলে আমি সেটা নিতে রাজি আছি। কারণ আমার আর্থিক অবস্থা ভালো না। 

 

সামিয়া আফরিন ওরফে প্রীতি বদরুন্নেছা সরকারি মহিলা কলেজের এইচএসসি পরীক্ষা ছিলেন। তার ভাই এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী।

 

এদিকে, মতিঝিলের উপ-পুলিম কমিশনার মো. আহাদ বলেন, কয়েকদিন আগে একটা নম্বর থেকে ফোন করে কয়েকদিন আগে টিপুকে হুমকি দিয়েছিল। তারা সেটা পুলিশকে জানায়নি। একজন বাইকে ছিল, আরেকজন খুব কাছ থেকে গুলি করেছে, খুবই শার্প শ্যুটার। মাত্র ৩০ সেকেন্ডে ১০টি গুলি করেছে। 

 

তিনি আরও বলেন, পালানোর সময় যে ফাঁকা গুলি করছিল, তাতে প্রীতি নিহত হয়েছে। টিপুর স্ত্রী কমিশনার ডলি বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে, আমরা তদন্ত করে দেখছি। প্রীতির পরিবার থানায় আসেনি। ডলির মামলাতেই প্রীতির বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত আছে।

 

প্রসঙ্গত, গতকাল রাজধানীল শাহজাহানপুর এলাকায় যানজটে আটকে ছিল জাহিদুলকে বহন করা মাইক্রাবাসটি। হঠাৎ সড়কের উল্টো দিক থেকে (সড়ক বিভাজকের ফাঁকা অংশ দিয়ে) মুখোশধারী (কেউ বলছেন হেলমেট পরা) দুই দুর্বৃত্ত এসে জাহিদুলের মাইক্রোবাস লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে। মাইক্রোবাসের কাচ ভেঙে জাহিদুলের শরীরে একাধিক গুলি লাগে।

 

চালক মুন্নাও গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনার আকস্মিকতায় সড়কে থাকা লোকজন এদিক–ওদিক ছোটাছুটি শুরু করে। ভয়ে দোকানিরা ঝাঁপ ফেলে দোকান বন্ধ করে দেন। তখনো দুর্বৃত্তরা গুলি ছোড়া বন্ধ করেনি। একপর্যায়ে তারা সড়ক বিভাজকের ফাঁকা অংশ দিয়ে অন্য পাশে চলে যায়।

 

দুর্বৃত্তরা চলে যাওয়ার পর অনেকে খেয়াল করেন, রক্তাক্ত অবস্থায় এক তরুণীও (সামিয়া) রাস্তায় পড়ে আছেন। এ সময় কয়েকজন এগিয়ে এসে জাহিদুল, মুন্না ও সামিয়াকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।

অপরাধ বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর