ঢাকা, ২৪ নভেম্বর রোববার, ২০২৪ || ১০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৮৮৪

যেভাবে ঢেঁড়সের বাম্পার ফলন পাবেন

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২১:৩২ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০  

বাংলাদেশের জনপ্রিয় সবজি ঢেঁড়শ। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি সি রয়েছে। এছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়োডিন, ভিটামিন এবং বিভিন্ন খনিজ পদার্থ রয়েছে। ঢেঁড়শ নিয়মিত খেলে গলাফোলা রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। এটা হজমশক্তি বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে।

 

মাটি

ঢেঁড়শ চাষের জন্য সবচেয়ে উপযোগী দোআশ বেলে দোআশ মাটি। পানি নিষ্কাশনের সুবিধা  থাকলে এঁটেল মাটিতেও চাষ করা যায় এটি।

 

জাত

আমাদের দেশে শাউনি, পারবনি কানি, বারী, পুশা সাওয়ানী, পেন্তা গ্রিন, কাবুলি ডোয়ার্ফ, জাপানি প্যাসিফিক গ্রিন জাতের ঢেঁড়শ চাষ উপযোগী। শেষের দুটি জাত সারাবছর চাষ করা যায়।

 

সময়
গোটা বছরই ঢেঁড়শ চাষ করা যায়। তবে সাধারণত, গ্রীষ্মকালে এর চাষ করা হয়। ফাল্গুন-চৈত্র আশ্বিন-কার্তিক মাস বীজ বোনার উপযুক্ত সময়।

 

বীজের পরিমাণ

চাষের জন্য প্রতি শতকে  ২০ গ্রাম, হেক্টর প্রতি - কেজি বীজ লাগে।
 

 

বীজ বপন

বীজ বোনার আগে ২৪ ঘন্টা ভিজিয়ে নিতে হয়। গভীরভাবে চাষ মই দিয়ে মাটি ঝুরঝুরে করে চাষের জমি তৈরি করতে হয়। মাটি থেকে সারির দুরত্ব হবে ৭৫ সেমি. সারিতে ৪৫ সেমি. দূরে দূরে -৩টি করে বীজ বুনতে হয়। জাত অনুযায়ী চারা থেকে চারা এবং সারি থেকে সারির দুরত্ব ১৫ সেমি. কমানো বা বাড়ানো যেতে পারে। শীতকালে গাছ ছোট হয় বলে দূরত্ব কমানো যেতে পারে। গজানোর পর প্রতি গর্তে একটি করে সুস্থ সবল চারা রেখে বাকিগুলো উঠিয়ে ফেলতে হবে।
 

 

সারের পরিমাণ
সার               এক শতকে              হেক্টর প্রতি           
গোবর            ৭৫ কেজি               ১৮ টন   
সরিষার খৈল      .৭৫ কেজি            ৪২৫ কেজি          
ইউরিয়া          ২৩০ গ্রাম গ্রাম         ৫৫-৬০ কেজি      
টিএসপি          ৩৫০ গ্রাম গ্রাম         ৮৫-৯০ কেজি      
এমও পি         ২৩০ গ্রাম গ্রাম          ৫৫-৬০ কেজি      


 

সার প্রয়োগের নিয়ম
জমি তৈরি করার সময় ইউরিয়া বাদে বাকি সব সার মাটির সঙ্গে ভালভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। সার মেশানের ১০-১৫ দিন পর জমিতে ঢেঁড়শ বীজ বপন করতে হয়। ইউরিয়া সমান দুকিস্তিতে উপরি প্রয়োগ করতে হয়। প্রথম কিস্তিতে চারা গজানোর ২০-২৫ দিন পর এবং দ্বিতীয় কিস্তিতে দিতে হবে চারা গজানোর ৪০-৫০ দিন পর।


 

পরিচর্যা
নিড়ানী দিয়ে মাটির উপরিভাগ মাঝে মাঝে আলগা করে দিতে হবে। জমি সবসময় আগাছামুক্ত রাখতে হবে। মাটির প্রকারভেদ অনুযায়ী ১০/১২ দিন পর পর সেচ দেয়া প্রয়োজন। প্রতি কিস্তিতে সার প্রয়োগের পর জমিতে সেচ দিতে হবে।
 

 

পোকামাকড় ব্যবস্থাপনা
ঢেঁড়শের ফল ছিদ্রকারী পোকাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে। এছাড়া জাব পোকা, সাদা মাছি, ছাতরা পোকা, লাল গান্ধি ইত্যাদিও ক্ষতি করে।


 

রোগ ব্যবস্থাপনা
হলদে শিরা স্বচ্ছতা ঢেঁড়শের প্রধান ক্ষতিকর রোগ। এছাড়া মোজেইক পাতায় দাগ রোগও দেখা যায়।
 

 

ফসল সংগ্রহ
বীজ বোনার - সপ্তাহের  মধ্যে এবং ফুল ফোটার - দিনের মধ্যে ফল আসা শুরু হয়। জাতভেদে ফল -১০  সেমি. লম্বা হলেই সংগ্রহ করতে হয়।

এ প্রক্রিয়ায় চাষ করলেই মিলবে ঢেঁড়সের বাম্পার ফলন।