যেভাবে বিদেশে অর্থ পাচার করেন বাংলাদেশিরা
লাইফ টিভি 24
প্রকাশিত: ১৩:১৬ ২৯ নভেম্বর ২০২০
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ.কে আব্দুল মোমেন সম্প্রতি বলেছেন, কানাডায় অর্থ পাচারের ২৮টি ঘটনার তথ্য পেয়েছে সরকার। তার এই বক্তব্যের পর বাংলাদেশ থেকে বিদেশে টাকা পাচারের বিষয়টি আবারো আলোচনায় এসেছে।
প্রতিবছর কত টাকা বিদেশে পাচার হয়, সেই সংক্রান্ত তথ্য কোথাও নেই। তবে চলতি বছরের শুরুর দিকে ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা সংস্থা গ্লোবাল ফিনান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটি বলছে, ২০১৫ সালে বাণিজ্য কারসাজির মাধ্যমে প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ বিদেশে পাচার হয়েছে।
পাচারের তথ্য কতটা পাওয়া যায়?
ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট এক সময় যুবলীগের প্রভাবশালী নেতা ছিলেন। দলীয় পদ হারিয়ে এবং বেশ কয়েকটি মামলায় গত এক বছর তিনি কারাগারে। এর মধ্যে একটি মামলা হচ্ছে , বিদেশে টাকা পাচারের। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) দায়ের করা সেই মামলায় বলা হয়েছে- যুবলীগের সাবেক এই নেতা সিঙ্গাপুর এবং মালয়েশিয়ায় প্রায় ২০০ কোটি টাকা পাচার করেছেন।
তিনি ছাড়া বাংলাদেশে বর্তমানে ডজন-খানেক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের মামলা চলছে। যেখানে দুর্নীতি দমন কমিশন সম্পৃক্ত আছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী খুরশিদ আলম বলেন, বিভিন্ন দেশ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে সেগুলো আদালতে উপস্থাপন করা হয়।
তিনি বলেন, মিউচুয়াল লিগাল অ্যাসিসট্যান্স’র মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন দেশের সরকারের কাছে সহায়তা চাইতে পারি। আমাদের দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে অন্য আরেকটি দেশের কাছে এ সংক্রান্ত সহায়তা চাওয়া হয়। তখন সংশ্লিষ্ট দেশ আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে তথ্য দেয়। এরপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হয়ে সেই তথ্য দুর্নীতি দমন কমিশনের কাছে আসে। পরে সেই তথ্য আমরা আদালতে দাখিল করি।
বাণিজ্য কারসাজি
অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংকাররা বলছেন, বাংলাদেশ থেকে বিদেশে টাকা পাচারের যেসব ঘটনা আদালতে আসছে, সেগুলো সিন্ধুতে বিন্দুর মতো। অর্থাৎ বেশিরভাগ ঘটনা কেউ জানেই না। বাংলাদেশ থেকে বিদেশে অর্থ পাচার কয়েকভাবে হয়ে থাকে। এর একটি বড় উপায় হচ্ছে বাণিজ্য কারসাজি।
আরেকটি উপায় হচ্ছে হুন্ডি
বাণিজ্য কারসাজির মাধ্যমে যখন কোনও পণ্য আমদানি করা হয়, তখন কম দামের পণ্যকে বেশি দাম দেখানো হয়। ফলে অতিরিক্ত অর্থ দেশের বাইরে থেকে যায়। একইভাবে রপ্তানির ক্ষেত্রে বেশি দামের পণ্যকে কম দাম দেখিয়ে অতিরিক্ত অর্থ দেশে আনা হয় না।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা বলেন, এগুলো ওভার এবং আন্ডার ইনভয়েসিং হিসেবে পরিচিত।
তিনি বলেন, টাকা পাচারের পুরো বিষয়টা যেহেতু অবৈধ পন্থায় হয়ে থাকে, সেজন্য এর সঠিক তথ্য-উপাত্ত পাওয়া মুশকিল। খুব প্রচলিত হচ্ছে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠানো। আমদানির ক্ষেত্রে যেটা করা হয়, কোনও একটি পণ্যের দাম যত হওয়ার কথা সেটার চেয়ে বেশি দাম দেখিয়ে টাকা পাচার করে দেয়া হয়।
অর্থ পাচারের বিষয়গুলোর উপর নজরদারির জন্য বাংলাদেশ সরকার একটি ইউনিট গঠন করেছে অনেক আগেই। এর নাম ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট। এই ইউনিটের প্রধান আবু হেনা মো. রাজী হাসান জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সরকারের আইন অনুযায়ী বিদেশে টাকা পাঠানো এতো সহজ নয়। কোনও কোনও ক্ষেত্রে রীতিমতো অসম্ভব।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের বাইরে ভ্রমণের সময় একজন ব্যক্তি প্রতিবছর ১২ হাজার ডলার পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারেন। এছাড়া এডুকেশন এবং ট্রিটমেন্টের জন্য শর্তসাপেক্ষে অর্থ নেয়া যায়। তবে বিদেশে সম্পদ কেনার জন্য অর্থ নেয়া নিষিদ্ধ।
কানাডায় অর্থপাচারকারীদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশিদের বিক্ষোভ হয়েছিলো চলতি বছরের শুরুর দিকে। বাংলাদেশ থেকে বিদেশে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে সরকারের আইন যতই কঠোর হোক না কেন, বাস্তবতা হচ্ছে অর্থ পাচার থেমে নেই। পাচারকারীরা নিত্যনতুন কৌশলও খুঁজে বের করছেন।
দুর্নীতি দমন কমিশন এবং ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের কর্মকর্তারা বলছেন, পাচার করা টাকা দিয়ে বিদেশ হয়তো বাড়ি ও সম্পদ ক্রয় করা হচ্ছে নতুবা ব্যবসায় বিনিয়োগ করা হচ্ছে।
অনেক বাংলাদেশি কানাডায় বাড়ি কিনেছেন। কানাডায় রিয়েল এস্টেট আইনজীবী হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করছেন বাংলাদেশি চয়নিকা দত্ত। তিনি ব্যাখ্যা করেন, কানাডায় যেকোনও ব্যক্তি বাড়ি ক্রয় করতে পারেন। সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কানাডার নাগরিক না হলেও কোনও সমস্যা নেই।
তিনি বলেন, যারা কানাডায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন না তাদের বাড়ির ক্রয়মূল্যের উপর ১৫ শতাংশ অতিরিক্ত ট্যাক্স দিতে হয়। যারা পুরোপুরি নগদ টাকা দিয়ে বাড়ি ক্রয় করেন, তাদের অর্থের উৎস সম্পর্কে কোনও প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় না।
কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশের ভেতরে দুর্নীতির মাধ্যমে যে অর্থ উপার্জন করা হয়, সেটি মূলত হুন্ডির মাধ্যমেই পাচার হয়। অভিযোগ রয়েছে, অনেক ব্যবসায়ী যে রপ্তানি করেন, সেখান থেকে অর্জিত অর্থের একটি বড় অংশ বিদেশের ব্যাংকে রাখছেন। সেই টাকা বাংলাদেশে আসছে না।
দেশে গত তিন দশকের বেশি সময় ব্যাংকে কাজ করেছেন নূরুল আমিন। বেসরকারি এনসিসি ব্যাংকসহ একাধিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন তিনি। আমিন বলছেন, একটি দেশ থেকে টাকা তখনই পাচার হয়, যখন সেখানে ব্যবসা ও বিনিয়োগ নিয়ে মানুষের আস্থা কম থাকে।
তিনি বলেন, এখানে বিষয়টি হলো আস্থার। ঠিক আছে, আমি যেকোনোভাবে টাকা কামাই করলাম, এখন এটাকে সেইফ রাখতে হবে। এটা হচ্ছে একটা বিষয়। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, এখানে ইনভেস্টমেন্টের সুযোগ নেই। বাইরে পাঠিয়ে দিলে নিরাপদ। সর্বসাকুল্যে বুঝতে হবে এখানকার সিস্টেমের উপর তার কোনও আস্থা নাই।
সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ বছরের মাঝামাঝি যে বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, ২০১৯ সালে সেখানে ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশিদের জমা রাখা অর্থের পরিমাণ ৫ হাজার ৩৬৭ কোটি টাকা। সেসব ব্যাংকে কারা টাকা রেখেছেন সেই সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট তথ্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে নেই। শুধু সুইজারল্যান্ডেই নয়, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া এবং কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে অর্থ পাচার হয়েছে বলে কর্মকর্তারা বলছেন।
বিদেশে অর্থ পাচার হলে দেশের অর্থনীতির উপর যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। ঢাবি অর্থনীতির অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা বলেন, দেশের বাইরে যখন টাকা পাচার হয়, তখন কৃত্রিমভাবে ডলারের দাম বেড়ে যায়। দেশের মুদ্রা অস্থিতিশীল হয়ে উঠে। যে টাকাটা দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে, সেটা দেশে বিনিয়োগ হচ্ছে না। যদি দেশে বিনিয়োগ হতো তাহলে কর্মসংস্থান বাড়তো।
ব্যাংক কর্মকর্তা এবং আইনজীবীরা বলছেন, টাকা পাচার হয়ে গেলে সেটি আবার দেশের ভেতরে ফিরিয়ে আনা বেশ কঠিন কাজ।সেই নজিরও খুব একটা নেই। ২০১২ সালে সিঙ্গাপুর থেকে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমানের ২১ কোটি টাকা ফেরত আনা হয়েছিল।
অনেক সময় পাচার করা অর্থের তথ্য পাওয়াও কঠিন হয়ে যায়। সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে কোন্ বাংলাদেশির টাকা আছে সেই সংক্রান্ত তথ্য জোগাড় করার চেষ্টা করেও এক বছরেও কোনও অগ্রগতি হয়নি।
- কারামুক্ত হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবর
- দেশে এইচএমপিভিতে প্রথম আক্রান্ত নারী মারা গেছেন
- শীতে অলসতা ঘিরে ধরেছে, সক্রিয় থাকতে যা করবেন
- ছুরিকাঘাতে আহত অভিনেতা সাইফ আলি খান
- সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশে যা যা আছে
- ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হামাস
- কুকুর পরিচালনা শিখতে ইতালি যাচ্ছেন ৫ জন
- সংবিধান সংস্কার প্রতিবেদন: তিনটি মূলনীতি বাদ নতুন চারটি প্রস্তাব
- জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা: খালেদা জিয়ার সঙ্গে খালাস পেলেন তারেক
- সালমান এফ রহমানের ৬৮০০ কোটি টাকার শেয়ার জব্দ
- শীতের সন্ধ্যায় মিষ্টিমুখ করুন বাদামের হালুয়ায়
- রাতের খাবারের পর যেসব অভ্যাস ওজন বাড়ায়
- শীতে সংক্রমণ থেকে বাঁচতে চান? রোজ যেসব অভ্যাস বাড়াবে ইমিউনিটি
- জুলাই-আগস্টে অভ্যুত্থান ঘটেছে, বিপ্লব নয়
- টিউলিপের পদত্যাগপত্রের জবাবে যা লিখলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী
- পদত্যাগ করলেন টিউলিপ সিদ্দিক
- ভোটার হালনাগাদ নিয়ে ইসির বিশেষ ১৬ নির্দেশনা
- প্লট দুর্নীতি: শেখ হাসিনা ও জয়ের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা
- পিএসএলে লিটন-রিশাদের দ্বিগুণ আয় করবেন নাহিদ রানা
- শীতে জমুক হাঁসের ঝাল খিচুড়ি
- বায়ুদূষণে বাড়ছে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি
- এইচএমপিভি: কী কী উপসর্গ দেখলে সতর্ক হবেন? বিস্তারিত জানালো হু
- পিএসসির ৬ সদস্যের নিয়োগ বাতিল
- লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানল ভয়াবহ আকার নিয়েছে
- ১ ফেব্রুয়ারি জাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা
- বিশ্বকাপ ক্রিকেটের আম্পায়ার হলেন জেসি
- চোখ রাঙাচ্ছে এইচএমপিভি, রইলো শিশুদের নিরাপদ রাখার বিশেষ টিপস
- দুধে খেজুর মিশিয়ে খান, ১ মাসেই দেখবেন আশ্চর্যজনক উপকারিতা
- মোবাইল ইন্টারনেট নিয়ে সুসংবাদ
- গেস্টরুমে ডেকে নবীনদের শাস্তি, ২৭ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
- পার্লামেন্ট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি হারুন সেক্রেটারী শওকত
- ক্র্যাবের সভাপতি তমাল, সাধারণ সম্পাদক বাদশা
- বিয়ের ছবিতে বাজিমাত তাহসান-রোজার
- শৈত্যপ্রবাহ আসছে, থাকবে কতদিন? কোন কোন জেলায় শীত বেশি পড়বে?
- পুতিনের সঙ্গে আমার সাক্ষাতের আয়োজন চলছে: ট্রাম্প
- পিএসসির ৬ সদস্যের নিয়োগ বাতিল
- বিদেশি নম্বর থেকে ফোন পাচ্ছেন, সাবধান না হলে বিপদ
- শীতে সুস্থ থাকতে ভরসা ৯ মশলা
- শিগগিরই নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
- প্লট দুর্নীতি: শেখ হাসিনা ও জয়ের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা
- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হাতাহাতি, আহত ৩
- পাঠ্যবই থেকে সাকিব-সালাউদ্দিন আউট, জামাল-রানী হামিদ-নিগার ইন
- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’
- ইত্যাদির শুটিংয়ে কী ঘটেছিল, জানালেন হানিফ সংকেত
- ৮ হাজার ক্লাবে প্রথম বাংলাদেশি তামিম
- শীতে বাড়ে একাধিক স্বাস্থ্য ঝুঁকি, প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
- সৌদি আরবে নজিরবিহীন বন্যা, মক্কা ও মদিনায় রেড অ্যালার্ট
- দহগ্রামে শূন্যরেখায় বেড়া দিলো বিএসএফ, সীমান্তে উত্তেজনা
- টিউলিপের পদত্যাগপত্রের জবাবে যা লিখলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী
- ৪৩তম বিসিএস থেকে বাদ পড়া বেশিরভাগই যোগ দিতে পারবেন