ঢাকা, ২৩ নভেম্বর শনিবার, ২০২৪ || ৯ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
২০৭

যে ছয় খাবারে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১২:৪৭ ৬ মার্চ ২০২২  

বিশ্বজুড়ে দিন দিন বেড়েই চলেছে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা। এই রোগ থেকে পরিপূর্ণ আরোগ্যলাভ সম্ভব নয়, তবে একে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। নারীরা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রেখে সহজেই এ রোগটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

 

ডায়াবেটিস মূলত দুই প্রকারের হয়ে থাকে। একটি হলো টাইপ ১ অন্যটি টাইপ ২। আক্রান্তে মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ রোগীই টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ইনসুলিনের অভাবেই ডায়াবেটিস রোগটি আমাদের শরীরে বাসা বাঁধে। ডায়াবেটিস থেকে বিভিন্ন ধরনের গুরুতর রোগ যেমন অন্ধত্ব, কিডনির সমস্যা, হৃদরোগ, ডিপ্রেশন, ইউটিআই এবং বন্ধ্যাত্বের সমস্যা হতে পারে। কখনও কখনও এই ডায়াবেটিসই প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে আপনার জীবনে।



সাধারণত পুরুষদের মধ্যে ডায়াবেটিস রোগটি বেশি হতে দেখা গেলেও নারীরাও এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্য জটিলতা এড়াতে নারীদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন। এর জন্য নারীরা দৈনন্দিন ডায়েটে রাখতে পারেন বিশেষ কিছু খাবার। এসব সুপার ফুড আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে সহায়তা করবে।
 

ফ্যাটি ফিস

বিভিন্ন ধরনের ফ্যাটি ফিস যেমন স্যালমন, ম্যাকারেল, সার্ডিন, টুনার মতো মাছগুলো ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ডিএইচএ এবং ইপিএ ভালো এর উৎস। এই ফ্যাটি ফিসগুলো ইনসুলিন এবং লিপিডের মাত্রা উন্নত করার পাশাপাশি হরমোনের কার্যকারিতা পুনরুদ্ধার করতে পারে। নিয়মিত এইসব মাছ খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণ, হৃদরোগ এবং স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়।
 

আদা

নারীদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে আদা দুর্দান্ত কার্যকর। আদাতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান থাকায় এটি রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি ইনসুলিন সেনসিটিভিটি উন্নত করে। তাছাড়া আদা হার্ট, থাইরয়েড এবং পাচনতন্ত্রের জন্যও অত্যন্ত উপকারি।
 

হলুদ

বহুগুণ সম্পন্ন হলুদ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে বিশেষভাবে কার্যকরী। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি সমৃদ্ধ হলুদ রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং শরীরে নানা রোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে। তাছাড়া হলুদে থাকা কারকিউমিন যৌগটি অগ্ন্যাশয়ের কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি শরীরে ইনসুলিনের ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে।
 

সবুজ শাকসবজি

পালং শাকের মতো শাকসবজিতে পুষ্টি, ভিটামিন এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে যা বিভিন্ন দীর্ঘস্থায়ী রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। কম ক্যালরিযুক্ত সবুজ শাকসবজিগুলোতে ফাইবার থাকে যা রক্তের শর্করার মাত্রা বাড়ায় না। তাছাড়া সবুজ শাকসবজিতে উপস্থিত ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, শরীরের প্রদাহ কমায় এবং সেলুলার ড্যামেজ নিরাময় করতে পারে।
 

জাম

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অন্যতম সেরা ফল হলো জাম। জাম ইনসুলিন সেনসিটিভিটি উন্নত করতে দুর্দান্ত কার্যকর। আয়ুর্বেদ অনুসারে, জাম হজমের সমস্যা দূর করে এবং জামের বীজের গুঁড়ো রক্তের উচ্চ শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।


আখরোট

ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখতে আখরোট দারুণ কার্যকর। আখরোটে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড ভালো কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়ায়। সেইসঙ্গে ক্ষতিকারক কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে আমাদের হার্টকে রক্ষা করে। গবেষকদের মতে, প্রতিদিন আখরোট খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকে এবং স্থূলতার ঝুঁকিও কমে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং সুস্থ থাকার জন্য দিনে দু'টি করে আখরোট খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।