ঢাকা, ২১ ডিসেম্বর শনিবার, ২০২৪ || ৭ পৌষ ১৪৩১
good-food
২৭২

রমজানে স্কুলে পাঠদান নিয়ে নতুন নির্দেশনা

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০২:৫৪ ১৩ মার্চ ২০২৪  

রমজানে দুই শিফটের মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদানের বিষয়ে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব মোসাম্মৎ রহিমা আক্তারের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে নির্দেশনাগুলো তুলে ধরা হয়।

 

এতে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের শিক্ষাপঞ্জি সংশোধনের কারণে ১১ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত ১৫ দিন সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে শ্রেণি কার্যক্রম চালু রাখার বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল।

 

এর পরিপ্রেক্ষিতে যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডাবল শিফট চালু রয়েছে, সেসব প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা প্রভাতি ও দিবা শিফটে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে নিজেদের সুবিধাজনক উপায়ে সময়সূচি নির্ধারণ বা সমন্বয় করতে পারবেন। সংশ্লিষ্ট সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এ মর্মে নির্দেশনার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

 

এদিকে, রোজায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রমও চলবে নতুন সময়সূচিতে। নতুন সূচি অনুযায়ী, সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস চলবে। আগামী ১০ রমজান অর্থাৎ ২১ মার্চ পর্যন্ত এ নিয়মে নিয়মিত পাঠদান কার্যক্রম চালু থাকবে।

 

রমজানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রথম ১০ দিন ও সরকারি/বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম প্রথম ১৫ দিন চালু থাকার নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে ১০ মার্চ পুরো রমজানজুড়ে স্কুল বন্ধ রাখার আদেশ দেন হাইকোর্ট। এই আদেশের বিরুদ্ধে সোমবার আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। 

 

সোমবার বিকেলে শুনানিতে স্কুল খোলা রাখার বিষয়ে সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের কথা জানান রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা এ এম আমিন উদ্দিন। এ সময় চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম প্রশ্ন রাখেন, এই কদিন বিদ্যালয় বন্ধ থাকলে কী এমন অসুবিধা হবে? পরে উচ্চ আদালতের আদেশ স্থগিত না করে মঙ্গলবার আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির দিন ধার্য করা হয়। পরে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন।

 

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এ এম) আমিন উদ্দিন। অন্যদিকে রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ কে এম ফয়েজ।