ঢাকা, ২৪ নভেম্বর রোববার, ২০২৪ || ১০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৩৯০

রহনপুর দিয়ে ট্রেনে পণ্য যাবে ভারতে

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২৩:৪৬ ২৮ মে ২০২২  

দু বছরের বেশি সময় ধরে ট্রেনযোগে পণ্য ভারতে পাঠানোর বিষয়ে ঢাকা-দিল্লির মধ্যে আলোচনা চলছিলো। এই বিষয়ে দুদেশ একমত হয়েছে আর তাড়াতাড়ি এ বিষয়ে পরীক্ষামূলক চলাচলের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

 

বর্তমানে দর্শনা-গেদে ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে(টিএআর) রুট-১, রহনপুর-সিংগাবাদ টিএআর-২ রুট হিসেবে পরিচিত। ওই দুটি রুট ব্যবহার করেই ট্রেনযোগে ভারতীয় পণ্য বাংলাদেশে রপ্তানি হয়ে থাকে। ফলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের প্রাচীন সীমান্তবর্তী রেলস্টেশন রহনপুর দিয়ে পণ্যবাহী ট্রেন ভারতে যাবে।

 

গত মার্চে অনুষ্ঠিত বাণিজ্য সচিব পর্যায়ের বৈঠকে এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সেই আলোচনাতেই পণ্য রপ্তানির দরজা উন্মুক্ত হয়। মার্চের বৈঠকে উভয়পক্ষ রেলওয়ে অবকাঠামো, বন্দর অবকাঠামো ও ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তির ওপর একটি যৌথ সমীক্ষা চালানোর ব্যাপারে একমত হয়।

 

গত ১৭ মে ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ ট্যাক্স অ্যান্ড কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে একটি অধ্যাদেশ জারি করে। এই অধ্যাদেশে বলা হয়, দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান রেল পরিষেবার আওতায় ভারতীয় পণ্য খালাসের পর খালি হওয়া কনটেইনারগুলো দু’দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে তাদের পণ্য পরিবহন করতে পারবে।

 

বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ক্রমউন্নতির ধারাবাহিকতায় এই রেল যোগাযোগ চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়। বর্তমানে দর্শনা-গেদে, বেনাপোল-পেট্রাপোল, চিলাহাটি-হলদিবাড়ি ও বিরল-রাধিকাপুর পুরোপুরি চালু রয়েছে। এর মধ্যে দর্শনা-গেদে ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে(টিএআর) রুট-১, রহনপুর-সিংগাবাদ টিএআর-২ রুট হিসেবে পরিচিত। ওই দুটি রুট ব্যবহার করেই ট্রেনযোগে ভারতীয় পণ্য বাংলাদেশে রপ্তানি হয়ে থাকে।

 

নতুন আদেশের ফলে এখন ভারতীয় পণ্য খালাসের পর ফিরতি ট্রেনে বাংলাদেশি পণ্যও এই দুটি রুটে ভারতে রপ্তানি হবে। ভারতের সেন্ট্রাল বোর্ড অব ইনডাইরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস ইতিমধ্যেই একটি নির্দেশনা জারি করেছে। তবে তাদের শর্ত হচ্ছে, বাংলাদেশ থেকে রেলপথে সিল করা কনটেইনারে পণ্য পাঠাতে হবে। এই আদেশে আরো বলা হয়েছে, শুল্ক স্টেশনে ইলেক্ট্রনিক ট্র্যাকিং সিস্টেমের মাধ্যমে পণ্য এবং ট্রেনের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হবে। যাতে কোনো অবৈধ পণ্য প্রবেশ করতে না পারে।

 

উল্লেখ্য, ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি ১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। তবে এতদিন বাংলাদেশে আসা কনটেইনারগুলো খালি অবস্থাতেই ফিরে যেত। করোনা মহামারিকালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে কনটেইনার ট্রেন সার্ভিস জোরদার হতে শুরু করে। কর্মকর্তারা বলছেন, ভুটান ও নেপালের সঙ্গে বাণিজ্যকে চাঙ্গা করতে ক্রস বর্ডার রেলপথ সংযোগ চালু করার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।