ঢাকা, ২৩ নভেম্বর শনিবার, ২০২৪ || ৯ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৩৩০

রোজায় ঘরোয়া উপায়ে গ্যাস্ট্রিক সমস্যার সমাধান

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৩:৫৪ ১৪ এপ্রিল ২০২২  

রমজানে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সবার মধ্যেই দেখা দেয়। এর কারণ হলো- দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকার পর ইফতারে অপুষ্টিকর খাবার কিংবা অতিরিক্ত খাওয়া।

 

রোজা রাখার কারণে যেহেতু এ সময় সারাদিন খাওয়া হয় না, তাই ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত অনেকেই এটা সেটা ভুল খাবার খেয়ে থাকেন। আর ভুল খাবার নির্বাচনের কারণেই গ্যাস্ট্রিক বা বদহজমের সমস্যা দেখা দেয়। রোজায় গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নিম্নলিখিত উপায়গুলো প্রয়োগ করে দেখতে পারেন-

 

# ইফতারিতে অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার কিংবা তেলে ডুবিয়ে যেসব খাবার তৈরি করা হয়- পেঁয়াজু, আলুর চপ, বেগুনি, চিকেন ফ্রাই, জিলাপি ইত্যাদি যতটুকু সম্ভব পরিহার করতে হবে।

 

# একসঙ্গে অনেক বেশি খাবার খেয়ে ফেলা যাবে না। অনেকে ইফতারিতে বসেই খেতে খেতে ইসোফেগাস তথা গলবিল পর্যন্ত খেয়ে ফেলে তা কখনোই করা যাবে না।

 

# ইফতারিতে ইসুপগুলের শরবত, ডাবের পানি, ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে। আর শর্করা জাতীয় খাবার- খেজুর, পেয়ারা, ছোলা, সেমাই ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে।

 

# ইফতারি হতে হবে লাইট মিল কিংবা অল্প পরিমাণ খাবার। তারপর মাগরিবের নামাজ পড়ে রাতের খাবার খেয়ে নেওয়া ভালো। সম্ভব হলে তারাবির নামাজের আগেই খেয়ে নিতে হবে। তাহলে খাবারের পরে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে নামাজ পড়তে গেলে নামাজের সময় এক প্রকার ব্যায়াম হয়ে যাবে এবং সেটা খাবার পরিপাকের ক্ষেত্রে সহায়ক। সেইসঙ্গে এসিডিটি হওয়ার ঝুঁকি কমে যাবে।

 

# টক জাতীয় ফলে যদিও প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি থাকে তথাপি টক জাতীয় ফলে সাইট্রিক এসিডও থাকে। তাই রোজার সময় টক ফল সাবধানতার সঙ্গে খেতে হবে। ভালো হয় রাতের খাবার শেষ করে খেলে।

 

# টমেটো ইফতারির সময় অনেকের প্রিয় খাবার। তবে টমেটোতে প্রচুর পরিমাণ সাইট্রিক এসিড ও ম্যালিক এসিড থাকে এবং এটা পাকস্থলীতে ইরিটেশন করে তাই টমেটো বেশি পরিমাণ না খাওয়াই উত্তম।

 

# ঝাল খাবার পাকস্থলীতে এসিডিটির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। তাই কাঁচা মরিচ কিংবা অতিরিক্ত ঝাল খাবার পরিহার করে চলতে হবে।

 

# গরম খাবার- চা, কফি ইত্যাদি পাকস্থলিতে হাইড্রোক্লোরিক এসিড ক্ষরণের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। তাই রোজার সময় চা, কফি ইত্যাদি পরিহার করে চলা উচিত।