ঢাকা, ২২ নভেম্বর শুক্রবার, ২০২৪ || ৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
২৮০

রোজায় ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ বশে রাখতে যা খাবেন

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০০:১৪ ৩১ মার্চ ২০২৩  

রমজান মাসে রোজা রাখতে চাইলে যারা ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন অবশ্যই তাদের রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। এজন্য শুধু ওষুধ নয়, ভরসা রাখুন বিশেষ খাবারের ডায়েট লিস্টের ওপরও। কর্মব্যস্ত জীবন, অত্যধিক মানসিক চাপ, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস আর অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনে এই দুটি রোগ বাসা বেঁধেছে ঘরে ঘরে। সারা জীবন ধরে বয়ে চলা এই রোগটিকে জীবন থেকে বাদ দিতে না পারলেও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন নিয়মিত সঠিক শরীরচর্চা আর ডায়েটের মাধ্যমে।

 

ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে রমজান মাসে আপনার খাবারের তালিকায় রাখুন জাম, বিট, কুমড়ার বীজ ও রসুন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই চারটি খাবারই একসঙ্গে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সক্ষম।

 

পুষ্টিবিদদের মতে, গরমে জাম একটি অতি পরিচিত ফল। এই ফল রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়। যদিও এখন জামের মৌসুম নয়, তবুও আগে থেকে সংরক্ষণে থাকা জামের ওপর ভরসা রাখতে পারেন। জামে পটাশিয়ামে ভরপুর, যা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন এমন রোগীদের জন্য বেশ উপকারী। সেই সঙ্গে ঝুঁকি কমায় হৃদ্‌রোগেরও। শুধু তাই নয়, জাম শরীরে ইনসুলিন হরমোনের সক্রিয়তা বাড়ায়, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাই রোগীর ডায়েট লিস্টে এ মৌসুমি ফলটি প্রাধান্য দিন।

 

জামের পাশাপাশি বিটও ভালো কার্যকরী ভূমিকা রাখে এ ক্ষেত্রে। বিটের মধ্যে থাকা ফোলেট রক্তবাহিকা ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করে। এতে থাকা নাইট্রিক অক্সাইড রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। বিটে উপস্থিত বেটালাইন এবং নিও বেটানিন যৌগ রক্তে শর্করার মাত্রা হ্রাস করে এবং ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়ায়। তাই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্যও এই সবজি দারুণ কার্যকরী।

 

এ ছাড়া কুমড়ার বীজে থাকা ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। সেই সঙ্গে এতে থাকা ম্যাগনেশিয়াম ও জিঙ্কের মতো খনিজ উপাদান রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।

 

এ দুই ধরনের রোগীদের ক্ষেত্রে খাবারে রসুনের প্রাধান্যও থাকা উচিত বলে মনে করেন গবেষকরা। কারণ, রসুনে থাকা অ্যালিসিন নামক যৌগ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাই ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা এ চারটি খাবার খেয়ে সহজেই রমজান মাসে এই দুটি রোগকে বশে রাখুন এবং রোজা রাখার মত ফরজ ইবাদতে সামিল হন।