ঢাকা, ২৫ নভেম্বর সোমবার, ২০২৪ || ১১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৭৬৯

রোজায় নিত্যপণ্যের দাম যেন না বাড়ে: প্রধানমন্ত্রী

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৮:৪৬ ৩ এপ্রিল ২০১৯  

ছবি -  ইয়াসিন কবীর জয়

ছবি - ইয়াসিন কবীর জয়

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসন্ন রমজানে তেল, চিনিসহ বিভিন্ন ভোগ্যপণ্যের দাম না বাড়াতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। 

তিনি বলেন, সামনে রোজা। এসময় তেল, ছোলা, চিনিসহ নিত্যপণ্যের দাম যাতে না বাড়ে, সেজন্য আমি আপনাদের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি। একইসঙ্গে পর্যাপ্ত সরবরাহ যেন থাকে, সেই বিষয়টিও আপনাদের দেখতে হবে।
বুধবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে ৬৫টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কতৃর্পক্ষ (বেজা) আওতাধীন রয়েছে প্রকল্পগুলো।

অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে ফসলি জমি নষ্ট না করার ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, যাদের জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে তাদের ক্ষতিপূরণ সঙ্গে সঙ্গে দিতে হবে। একইসঙ্গে বিকল্প জায়গার ব্যবস্থাও করতে হবে সংশ্লিষ্টদের। 

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুই প্রথমে বিসিক শিল্পনগরী গড়ে তুলেছেন। এজন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করেন। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, বাঙালিদের কেউ দাবায়ে রাখতে পারবা না। আজ বাঙালিদের কেউ দাবিয়ে রাখতে পারে নাই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের তরুণ সমাজ দেশে বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থানের উদ্যোগ গ্রহণ করে যেভাবে কাজ করে যাচ্ছে আমি তাদের প্রশংসা করি। 

সরকারপ্রধান বলেন, আমরা সারাদেশে ডিজিটাল সেন্টার করে দিয়েছি। ফলে এখন ক্রয়-বিক্রয় থেকে শুরু করে সবকিছু ঘরে বসেই মানুষ অনলাইনে সারতে পারছে। সেদিকে লক্ষ্য রেখে দেশের পোষ্ট অফিসগুলোকেও সরকার আধুনিকায়ন করছে উল্লেখ করেন তিনি।

এসময় আঞ্চলিক কানেকটিভি জোরদারে ক্ষমতাসীন সরকারের বিবিআইএন (বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, নেপাল) এবং বিসিআইএন-ইসি (বাংলাদেশ, চীন,ভারত, মিয়ানমার) পদক্ষেপসমূহও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। পায়রায় নতুন সমুদ্রবন্দর তৈরীতে সরকারের উদ্যোগও তুলে ধরেন তিনি।

বেসরকারী খাতে বিনিয়োগে এগিয়ে আসা উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকারের কাজ হচ্ছে অবকাঠামোগত যে সুযোগগুলোর একান্ত প্রয়োজন সেই সুযোগটা সৃষ্টি করে দেয়া। ফলে দেশের মানুষের কর্মসংস্থান হচ্ছে। দারিদ্র বিমোচনের পাশাপাশি জনগণের জীবনমানের উন্নয়ন হচ্ছে।এদেশে কোনো তরুণ বেকার থাকবে না।

সারাদেশে ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা সম্পর্কে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, এর আগে আমি ১০টি অর্থনৈাতক অঞ্চল করে দিয়েছি। আজকে আরো ১১টি করা হলো। ১৩টির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হলো। বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের জন্য সাহস করে যারা বাংলাদেশে এসেছেন তাদের আমি ধন্যবাদ জানাই। 

উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার বিষয়ে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ইনশাল্লাহ বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে।