ঢাকা, ২৪ নভেম্বর রোববার, ২০২৪ || ১০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৪১৯

লাল আটার এত গুণ?

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৩:৫৬ ১৯ মে ২০২২  

আটা বিভিন্ন খনিজ উপাদানে ভরপুর একটি খাদ্য উপাদান। ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য আটার তৈরি খাবার খুবই উপকারী। লাল আটা, সাদা আটা যেটাই বলি না কেন এর সবই আসে গম থেকে।

 

গম পরিশোধন করে খোসা ফেলে দিয়ে ভাঙানো হলে সাদা আটা পাওয়া যায়। আর পরিশোধন না করে খোসাসমেত গম ভাঙালে পাওয়া যায় লাল আটা। মূলত গমের উপরিভাগের আবরণের কারণেই আটা দেখতে লালচে হয়।

 

এই লালচে আবরণই মূলত উপকারি। এতে থাকা বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান আমাদের দেহের ৩০০ রকমের এনজাইমের কাজ করে। গমের লাল আবরণে প্রচুর পরিমাণ ম্যাগনেসিয়াম থাকে। লাল আটায় প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেড ও আঁশ বেশি থাকে। উল্টো দিকে আবার ক্ষতিকর ফ্যাট ও ক্যালরি কম। লাল আটায় থাকা উল্লেখযোগ্য উপাদানগুলোর মধ্যে রয়েছে ফসফরাস, ফলিক এসিড, জিংক, কপার, ভিটামিন বি১, বি২ ও বি৩।

 

সাধারণত পুষ্টিকর খাবারে পাঁচ ধরনের উপাদান থাকে—শর্করা, প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন এবং মিনারেল। যেকোনো ধরনের শস্যদানায় এই উপাদানগুলো থাকে, যেগুলো আমাদের দেহে জ্বালানি হিসেবে কাজ করে অর্থাত্ শক্তি জুগিয়ে থাকে এবং কাজ করার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।

 

ডায়াবেটিস প্রতিরোধে

ডাক্তাররা ডায়াবেটিক রোগীদের লাল আটার রুটি খাওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কারণ লাল আটা দিয়ে তৈরি রুটিতে শর্করা বাড়ানোর গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্স কম থাকে। যার ফলে লাল আটা খুব অল্প পরিমাণে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায়। ফলে আটায় তৈরি রুটি পরিমাণমতো খাওয়া যায়। বেশি খাওয়ারও আলাদা ঝুঁকি কম।

 

ওজন কমাতে

ওজন কমানোর জন্য খাদ্য তালিকা করলে অবশ্যই প্রথম সারিতে থাকবে লাল আটার রুটি। কারণ এটা আমাদের ক্ষুধা প্রশমিত করে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।

 

রোগ প্রতিরোধে

রোগ প্রতিরোধে আমাদের অনেক খাবার ভালো ভূমিকা পালন করে। তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো লাল আটা। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট। বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

 

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে

লাল আটায় খাদ্য আঁশ রয়েছে যা আমাদের শরীরের হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

 

ত্বকের সুস্থতায়

লাল আটা ত্বকের সুস্থতায় ভালো কাজ করে। লাল আটায় থাকা খাদ্য আঁঁশ শরীর থেকে টনিক জাতীয় উপাদান বের করে দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। যার ফলে ত্বক সুস্থ এবং সুন্দর থাকে।   

 

কর্মক্ষম রাখতে

লাল আটায় প্রচুর শর্করা জাতীয় খাদ্য উপাদান রয়েছে, যা মানব শরীরকে কর্মক্ষম রাখতে সাহায্য করে।

 

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ

লাল আটায় খাদ্য আঁশ রয়েছে, যা রক্তের কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। ফলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

 

মাংসপেশি গঠনে

লাল আটায় ভিটামিন ‘ই’ রয়েছে, যা শরীরের মাংসপেশি গঠনে ভূমিকা রাখে। ফলে লাল আটার খাবার খেলে সুঠাম দেহের অধিকারী হওয়া যায়।

 

অ্যান্টিবডি তৈরিতে

লাল আটায় প্রোটিন রয়েছে, যা দেহের রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণুকে প্রতিরোধ করে অ্যান্টিবডি হিসেবে কাজ করে।