ঢাকা, ২৫ নভেম্বর সোমবার, ২০২৪ || ১১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৩৯৭

লিচুতে রঙ মেশানো কি না, কীভাবে বুঝবেন?

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২২:৪৪ ৭ জুন ২০২১  

গ্রীষ্মকালীন রসালো মিষ্টি ফল লিচু। সব বয়সীদেরই প্রিয় এটি। বিশেষ করে ছোটরা খুব পছন্দ করে। বিভিন্ন জাতের ও রঙভেদে লিচু হয়ে থাকে। লাল, কমলা বা হালকা বাদামি রঙেরও পাওয়া যায়। তবে লাল টুকটুকেগুলোই সবাইকে বেশি আকৃষ্ট করে। 


কিন্তু অনেক সময় লিচু মুখে দেয়ার পর টক লাগে, প্রকৃত স্বাদ পাওয়া যায় না। আকারে বড় অথচ টক, পানসে, রস কম, গন্ধহীন এ ধরনের লিচু খেয়ে অসুস্থ হয়েছে এমন নজিরও আছে। বেশি বেশি ফ্রেশ দেখাতে এতে মেশানো হয় লাল কেমিক্যাল। যা ক্যান্সারেরও অন্যতম কারণ। 


পাকা ও ফরমালিনমুক্ত লিচু খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন। কিছু কৌশল আছে, যার মাধ্যমে তা চিনে কিনতে পারবেন। তাহলে জেনে নেয়া যাক সেই উপায়গুলো-


১. কেনার সময় অবশ্যই খোসার দিকে লক্ষ্য রাখা উচিত। ভালো মানের লিচুগুলো সবসময় উজ্জ্বল রঙের হয়ে থাকে।
২. কেনার সময় হাতে নিয়ে চাপ দিয়ে যদি দেখা যায় বেশি নরম, তাহলে দরদাম না করাই উচিত। কারণ এগুলো বেশি পাকা এবং এসব লিচুর বেশিরভাগই নষ্ট হয়ে থাকে। 


৩. কেনার সময় ভালো কি-না তা পরীক্ষা করতে একটি লিচুর খোসা ছড়িয়ে দেখতে পারেন। যদি খোসা সহজেই খুলে আসে, তাহলে সেটি পাকা ও মিষ্টি। আর যদি সহজে খোসা না ছাড়ানো যায় অথবা  ভেতরের অংশে বাদামি দাগ দেখা যায়, তাহলে সেটি নষ্ট হওয়ার সম্ভবনা বেশি।


৪. পাকা লিচু দিয়ে সবসময় মিষ্টি গন্ধ বের হয়। নাকের কাছে ধরলেই টের পাবেন সেগুলো ভালো না-কি ফরমালিন দেয়া। যদি কেমিক্যাল দেয়া থাকে, তাহলে মিষ্টি গন্ধ পাবেন না।


৫. ক্রেতা আকৃষ্ট করতে লিচুর গায়ে লাল রঙ মেখে রাখেন বিক্রেতারা। যদি দেখেন হাতে রঙ লাগছে বা লাল রঙ ফ্যাকাশে হয়েছে তাহলে বুঝবেন সেই লিচু পাকা নয় এবং শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তাই কেনার পর ঘণ্টাখানেক পানিতে ভিজিয়ে রাখবেন। রঙ মাখানো থাকলে পানি লালচে হয়ে যাবে।


৬. সবসময় গাঢ় রঙের লিচু কিনবেন এবং এর সাইজ যেন অন্তত এক ইঞ্চি হয়। এমন লিচুগুলো পরিপক্ক হয়ে থাকে।

৭. লিচুটি নষ্ট বা পচা কি-না সেটা সহজেই বুঝতে পারবেন, যদি এর খোসা বাদামি বা দাগযুক্ত হয়ে যায়। এছাড়া গায়ে ফাটল ধরা বা পচা গন্ধযুক্ত হলে কিনবেন না।


৮. মুখ দেখে কেনা উচিত। সাধারণত পচা লিচুগুলোর মুখও পচা থাকে। যদি মুখটি ডালযুক্ত থাকে, তাহলে সেটি কিনতে পারেন। আর ভুলেও কখনো লিচুর বীজ খাবেন না। কারণ, এটি বিষাক্ত হয়ে থাকে।