ঢাকা, ০৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার, ২০২৪ || ২১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
১৯৯

শিক্ষক মুরাদের শাস্তির দাবিতে ভিকারুননিসায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০১:৩০ ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  

যৌন হয়রানির অভিযোগে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের আজিমপুর শাখার গণিত শিক্ষক মুরাদ হোসেন সরকারকে চাকরিচ্যুত করে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। আজ রবিবার দুপুরে লালবাগের পিলখানা রোডে আজিমপুর শাখার সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে এসব দাবি জানায় তারা।

 

মুরাদ হোসেন সরকার ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের আজিমপুর ক্যাম্পাসের দিবা শাখার গণিতের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক। ২০১০ সাল থেকে তিনি এখানে পড়াচ্ছেন। পাশাপাশি আজিমপুর এলাকার একটি ফ্ল্যাটে কোচিং সেন্টার খুলে ছাত্রী পড়াতেন।

 

এ সময় শিক্ষার্থীরা মুরাদ হোসেন সরকার, জেলে যাওয়া দরকার, মুরাদের আস্তানা, ভিকারুননিসায় থাকবে না, মুরাদ তুই জেলে যাবি, এক দফা এক দাবি, উই ওয়ান্ট জাস্টিস, উই ওয়ান্ট জাস্টিস, মুরাদের চামড়া, তুলে নেব আমরা ইত্যাদি স্লোগান দেয়।

 

বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থীরা জানায়, মুরাদ হোসেন তাদের সহপাঠীদের যৌন হয়রানি করে আসছেন বছরের পর বছর ধরে। কেউ ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পেত না। তারা এই শিক্ষককে তাদের স্কুলে দেখতে চায় না। তারা নিরাপদ স্কুল চায়।

 

এ সময় অভিভাবকরা বলেন, মুরাদ হোসেনের মতো শিক্ষকের কাছে আমাদের সন্তানেরা নিরাপদ নয়। এই শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া প্রয়োজন। অথচ তাকে মূল শাখায় সংযুক্ত করা হয়েছে। তাকে অবিলম্বে বরখাস্ত করতে হবে। একইসঙ্গে তাকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

 

সামিহা নামের এক সাবেক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের দাবি, মুরাদ হোসেনকে সম্পূর্ণভাবে বরখাস্ত করা। অথচ তাকে প্রধান শাখায় ফেরত পাঠানো হয়েছে। যেন এই শিক্ষক কোনোভাবেই ক্যাম্পাসে ফেরত আসতে না পারে। তার শাস্তি চাওয়ায় অনেককে হুমকি, ধামকি দেওয়া হয়েছে।

 

বিক্ষোভ কর্মসূচির এক পর্যায়ে সেখানে উপস্থিত হন স্কুলের আজিমপুর শাখার (দিবা) ভারপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ শাবনাজ সুলতানা কামাল। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমাদের দাবি স্কুল কর্তৃপক্ষ মেনে নিয়েছে। মুরাদ হোসেন সরকারকে প্রিন্সিপালের দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

পরে শাবনাজ সুলতানা কামাল সাংবাদিকদের বলেন, আমাকে স্কুল কর্তৃপক্ষ এক চিঠিতে জানিয়েছে, মুরাদ হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়াতে এবং স্কুলের পরিবেশ শান্ত রাখতে তাকে এই শাখা থেকে সরিয়ে প্রিন্সিপালের অফিসে সংযুক্ত করা হয়েছে।

 

গত ৭ ফেব্রুয়ারি কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে মুরাদ হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়। এ বিষয়টি নিয়ে একটি সংবাদপত্র অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করলে শোরগোল পড়ে যায়। এরপর শনিবার কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে মুরাদ হোসেন সরকারকে আজিমপুরের ক্যাম্পাসের দিবা শাখা থেকে প্রত্যাহার করে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়।