ঢাকা, ২৪ নভেম্বর রোববার, ২০২৪ || ১০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৫১৯

নভেল করোনাভাইরাস

শিগগির গতি পাচ্ছে না অর্থনীতি

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১২:০৮ ১৭ জানুয়ারি ২০২১  

মানুষের জীবনযাত্রা হয়তো স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরলেও বিশ্বে অর্থনীতির গতি ফিরতে সময় লাগবে। লাখো মানুষ এখন বেকার জীবনের ঘানি টানছে। সেসব দেশ, যাদের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি হচ্ছে ভোক্তা ব্যয়, তাদের জন্য এটি একটি বিশাল সমস্যা। অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এবং জনজীবন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসা এখন অনেকাংশে নভেল করোনাভাইরাসের বিস্তৃত বিতরণের সঙ্গে জড়িত। খবর সিএনএন বিজনেস।

 

বেশিরভাগ মানুষের এটি পেতে ২০২১ সালের অনেকটা সময় পার হয়ে যাবে। কেউ কেউ হয়তো আরো পরে গিয়ে পাবে, যার অর্থ অসংখ্য মানুষ ও তাদের পরিবারের জীবন শিগগির স্বাভাবিক হতে যাচ্ছে না। ভাইরাসকে থামানোর জন্য আরোপ করা নানা ধরনের বিধিনিষেধ ভোক্তাব্যয়কে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছে। যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির দুই-তৃতীয়াংশই চালিত হয় এ খাত থেকে। এর কারণ অবশ্য বেশ সরল, আপনি যখন বেশির ভাগ সময় ঘরে বসে থাকবেন, তখন আপনি নিশ্চিতভাবেই কম অর্থ খরচ করবেন।

 

সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য ভ্যাকসিনের বিস্তৃত বিতরণের পর স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরার যে প্রত্যাশা, সেটি পূরণ হওয়ার আগে আরো একটু খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হবে। ক্যাপিটাল ইকোনমিকসের সিনিয়র অর্থনীতিবিদ সাইমন ম্যাকাডাম বলেন, দুর্বল অর্থনৈতিক কার্যক্রম ২০২১ সালের প্রথম প্রান্তিকেও অব্যাহত থাকবে। 

 

এইচএসবিসির অর্থনীতিবিদ জেমস পোমেরোই ও হেনরি ওয়ার্ডের মতে, এমনকি এই অর্থনৈতিক দুরবস্থার সময়ে যেসব সৌভাগ্যবান মানুষ তাদের চাকরি বাঁচিয়ে রাখতে পেরেছেন, তারা এ পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত অর্থ খরচ করার পরিবর্তে জমানোর দিকে অধিক মনোযোগ দিয়েছেন।

 

তবে তারা বলছেন, ভ্যাকসিন ছাড়াও আরো বেশি ব্যয় হয়তো ২০২১ সালে বৈশ্বিক অর্থনীতির মূল চালক হয়ে উঠবে। চাকরির বাজারের জন্যও এটা একটা চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি। যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশগুলো এ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যকর ভোক্তা ব্যয় ছাড়া নিজেদের অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার করতে পারবে না। কিন্তু চাকরি সংকটের এমন বিরুদ্ধ পরিস্থিতিতে মানুষ তাদের সব অর্থ খরচ করে ফেলতে পারবে না।

 

মহামারীতে লাখো শ্রমিক তাদের জীবিকা হারিয়েছেন। এখন টিকে থাকার জন্য তাদের দৃষ্টি সরকারি সহায়তার দিকে। পাশাপাশি অনেক লোকের কর্মঘণ্টা এখন ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীন থেকে করোনাভাইরাস বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। এতে কয়েক লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। এখনো ভাইরাসটি দমনে প্রতিষোধক আবিস্কারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ।