ঢাকা, ২৫ নভেম্বর সোমবার, ২০২৪ || ১১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
১৩৭১

শিম খেলে রোগ থাকবে দূরে

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২১:২৬ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১  

শিম অতি পরিচিত একটি শীতকালীন সবজি। অবশ্য বর্তমানে প্রায় সারাবছরই এটি পাওয়া যায়। শিম সবারই প্রিয়। শীতকালে দানাদার শিমের স্বাদই আলাদা। এ দিয়ে ভাজি, ভর্তা, তরকারি-সবই রান্না করা যায়। তাই তো গ্রাম্য প্রবাদ আছে মাছের মধ্যে কৈ আর তরকারির মধ্যে ছৈ। শিমকে অনেক এলাকায় ছৈ বলা হয়। 

 

বাংলাদের সব এলাকায় এ সবজি পাওয়া যায়। এর অনেক জাত রয়েছে। শিম শুধু স্বাদেই নয়, দারুণ উপকারীও। শীতকালে এটিসহ অনেক সবজি সবচেয়ে বেশী পাওয়া যায়। গবেষণায় জানা যায়, শিমের পুষ্টিগুণ শুধু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাই বাড়ায় না, শরীরে বাসা বাঁধা রোগও নিরাময় করে। 

 

যে সবজি যেসময় বেশী পাওয়া যায়। সেসময়ের বিভিন্ন রোগও সেই সবজি প্রতিরোধ করে। যেসময় যে সবজি বাজারে বেশী থাকে, তখন তা সবার ক্রয়সীমার মধ্যেও থাকে। তাই প্রত্যেকের মৌসুম অনুযায়ী শাকসবজি খাওয়া উচিত। শিমের দানার তরকারি যেমন সুস্বাদু, তেমনি পুষ্টিকর। এর তুলনা শুধু শিমই। এটি শুধু সুস্বাদুই নয়, এর মধ্যে অনেক উপকারিতাও রয়েছে। আমরা একনজরে শিমের উপকারিতা জেনে নিতে পারি-

 

# শিমে অনেক খাদ্য আঁশ রয়েছে। নিয়মিত তা খেলে কোষ্টকাঠিন্য থাকে না। এমনকি নিয়মিত খেলে কোলন ক্যান্সারও ভালো হয়ে যায়।

# এতে এমাইনো এসিড, হাইড্রোসায়নিক এসিড, ভিটামিনসহ অনেক উপাদান রয়েছে। এসব উপাদান বমি বমি ভাব, পেট ব্যথা নিরাময় করে। ডায়রিয়া সারাতেও তা ভালো কাজ করে। এসব সমস্যায় ১০০-১৫০ গ্রাম শিম দিয়ে ঝোল রান্না করে খেলে উপকার পাওয়া যায়।

# শিমের বীজে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন রয়েছে। যারা মাছ, গোস্ত খেতে পছন্দ করেন না, তারা এর বীজ খেলে শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ হবে।

#গর্ভবর্তী মা ও শিশুর পুষ্টি ঘাটতি পূরণেেএ সবজিরর জুড়ি নেই। তাই গর্ভবর্তী মায়েদের বেশী পরিমাণ শিম খাওয়া উচিত।

 

# শীতে শরীরের ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। ফলে ত্বককে খসখসে প্রাণহীন মনে হয়। তেল বা প্রসাধনী ব্যবহার না করলে অনেকের ত্বক ফেটে যায়। নিয়মিত শিম খেলে ত্বক মোলায়েম থাকবে এবং ত্বক রোগবালাই থেকে বেঁচে থাকবে।

# শিমের বীজে এ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও এ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান বিদ্যমান। এ উভয় উপাদানই হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণ করে।

# শিম পুষ্টি জোগায় আবার নিয়মিত খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায়। শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণ রাখে এবং হৃদরোগের ঝুকি কমায়।

 

#  এটি খনিজ উপাদান সমৃদ্ধ সবজি। শিম চুল পড়া কমিয়ে দেয় এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।

# চোখ উঠলে এর পাতার রস ১-২ ফোঁটা করে প্রতি চোখে দিলে উপকার পাওয়া যায়।

# যেকোনও সাময়িক কারণে বা রক্ত পিত্তের কারণে নাক দিয়ে রক্ত পড়লে ৫০০ মিঃগ্রাম শিম বীজ গুঁড়া পানিসহ সকাল বিকাল খেলে উপকার পাওয়া যায়।

 

# শিমের বীজের বাকল ফেলে দিলে আমাদের মস্তিস্কের মতো দেখায়। এর দানায় ভিটামিন বি৬ উৎকৃষ্ট পরিমাণে রয়েছে। তাই বীজ আমাদের স্মরণ শক্তি বৃদ্ধি করে।

# কিডনির জটিলতায় এটি ভীষণ উপকারী।

# গলা ফোলে গেছে এমতাবস্থায় ২০-৩০ ফোঁটা শিম পাতার রস পানিতে মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।