ঢাকা, ০৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার, ২০২৫ || ২৬ মাঘ ১৪৩১
good-food
১০

শিশুদের সামনে যেসব কথা ভুলেও বলবেন না

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২৩:৫৮ ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫  

ছোটবেলা সবার জন্যই বিশেষ। প্রত্যেক মা-বাবারই দায়িত্ব শিশুর সঠিক লালন-পালন এবং তাদের ভালো পরিবেশ দেয়া। ছোটবেলাতেই শেখাতে হবে, কীভাবে মানুষের সঙ্গে কথা বলতে হয়, সবার সঙ্গে মিশতে হয়। শিশুর যাবতীয় আচরণ সবই মা-বাবার কছ থেকেই শেখে। কিন্তু অনেক বাবা-মায়ের কারণে শিশুদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হতে পারে। মনে রাখবেন, অভিভাবকত্ব একটি দায়িত্বশীল কাজ। যেখানে শিশুদের শারীরিক, মানসিক বিকাশের যত্ন নিতে হয়।

 

শিশু বিশেষজ্ঞদের মতে, শিশুরা বাবা-মাকে আদর্শ হিসেবে বিবেচনা করে। তাদের প্রতিটি কথা এবং আচরণ গভীরভাবে গ্রহণ করার চেষ্টা করে। এমন পরিস্থিতিতে, বাবা-মায়ের কথা ও কাজে সতর্ক থাকা উচিত। কিছু জিনিস আছে, যা শিশুদের সামনে বললে মনে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। আসুন জেনে নিই সেই কথাগুলি সম্বন্ধে, যা বাবা-মায়ের শিশুদের সামনে কখনই বলা উচিত নয়

 

তুমি কখনই ঠিকমতো কিছু করতে পারবে না

বাবা-মায়েরা প্রায়ই শিশুদের তিরস্কার করার সময় এই কথাটি বলে থাকেন। এতে তাদের মনে হীনমন্যতার অনুভূতি তৈরি হতে পারে। শিশুরা ভুল থেকে শেখে এবং তাদের বুঝতে সাহায্য করা গুরুত্বপূর্ণ, ভুল করা খারাপ কিছু নয়। ওদের উৎসাহিত করুন এবং প্রচেষ্টার প্রশংসা করুন। এতে শিশুদের আত্মবিশ্বাস বাড়বে এবং তারা আরও ভালো পারফর্ম করবে।

 

তুমি ঠিক তোমার বাবা/মায়ের মতো

অনেক সময় বাবা-মা রাগের বশে এই কথাটি বলে থাকেন। বিশেষ করে যখন তারা সঙ্গীর ওপর রেগে থাকেন। এতে শিশুদের মনে বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে। তারা অনুভব করতে শুরু করে যে তাদের মধ্যে কিছু ভুল আছে বা কারো চোখে যথেষ্ট ভালো নয়। এই ধরনের মন্তব্য শিশুদের মনে নেতিবাচক অনুভূতি তৈরি করতে পারে।

 

তোমার কারণে আমার জীবন নষ্ট হয়ে গিয়েছে

শিশুদের সামনে এই ধরনের কথা বললে মনে অপরাধবোধ তৈরি হতে পারে। শিশুরা ভাবতে শুরু করে যে তারা বাবা-মায়ের বোঝা। এতে তাদের আত্মবিশ্বাস দুর্বল হয়ে পড়ে এবং তারা নিজেদেরকে নিকৃষ্ট ভাবতে শুরু করে। শিশুদের এমনটা অনুভব করানো উচিত যে, তারা আপনার জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান অংশ, কোনো সমস্যা নয়।

 

আমি তোমাকে ছেড়ে চলে যাবো

শিশুদের ভয় দেখানোর জন্য অনেক সময়ই এই কথাটি বলা হয়। এতে মনে নিরাপত্তাহীনতার অনুভূতি তৈরি করতে পারে। শিশুরা সম্পূর্ণরূপে বাবা-মায়ের উপর নির্ভরশীল এবং এই ধরনের কথা শুনে তাদের মনে হয় যে একা ছেড়ে দেয়া হবে। এটি শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে এবং তারা চাপ বা ভীত বোধ করতে শুরু করতে পারে।

 

তোমার বন্ধুরা তোমার চেয়ে ভালো

অন্য শিশুদের সঙ্গে নিজের শিশুর তুলনা করলে তাদের মনে ঈর্ষা এবং হীনমন্যতা তৈরি হতে পারে। প্রতিটি শিশুই আলাদা এবং তার নিজস্বতা রয়েছে। তাদের তুলনা করার পরিবর্তে, ওদের ভালো গুণাবলী চিনুন এবং এগিয়ে যাওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করুন। এতে শিশুদের মনে হবে যে তারাও বিশেষ।