ঢাকা, ২৫ নভেম্বর সোমবার, ২০২৪ || ১০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৪৪৬

শীতে খুকখুকে কাশি, ১ রাতেই আরাম দেবে ঘরোয়া টোটকা

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২২:২০ ৩০ নভেম্বর ২০২০  

শীত আসতেই বাতাসে দানা বেঁধেছে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া। ঠাণ্ডা লাগা, গলা খুসখুস, কাশি, জ্বরে প্রায় সবাই কাবু। একে ঠাণ্ডা হাওয়া, অন্যদিকে দূষণ। ফলে খুসখুসে কাশি স্বাভাবিক বিষয় হয়ে গেছে। তাই গলা ঠিক রাখতে, কাশি থেকে মুক্তি পেতে এসময় বাড়িতেই কিছু টোটকা ব্যবহার করুন।

 

মাত্র এক রাতেই কাশি সারাতে পারে হানি প্যাচ। এটি অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও অ্যান্টিবায়োটিক। বুকে জমে থাকা কফ সহজে বের করে আনে মধু।

 

ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটে। মানুষের শরীর ওই পরিবর্তনশীল আবহাওয়ার সঙ্গে তাড়াতাড়ি সামঞ্জস্য গড়ে তুলতে পারে না। ফলে যেকোনও ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে মানুষের শরীরে নানা রোগ বা ব্যাধি দেখা দেয়। 

 

তেমনই শীতকাল পড়তেই মানুষ ঠাণ্ডায় আক্রান্ত হন। ঠাণ্ডা লাগা, সর্দি, কাশি, জ্বর হাঁচি পড়া ইত্যাদি নানা ছোটখাট ব্যাধি বেশ ভোগায়। বিশেষ করে ছোটদের।

 

যা লাগবে
খাঁটি মধু, ভেজিটেবিল অয়েল, ময়দা, গজ কাপড়, টেপ

 

কীভাবে বানাবেন

• এক টেবিল চামচ মধু ও এক টেবিল চামচ ময়দা একসঙ্গে ঘন করে মিশিয়ে নিন।

• এর সঙ্গে এক টেবিল চামচ ভেজিটেবিল অয়েল মেশান।

• গজ কাপড় চৌকো করে কেটে নিন।

• এ কাপড়ের মাঝখানে মধু, ময়দা, তেলের মিশ্রণ রাখুন। চামচ দিয়ে সমানভাবে কাপড়ের উপর ছড়িয়ে নিন। ধারে যেন না লাগে।

• বুকের যেদিকে কফ জমেছে, সেদিকে এ কাপড়ের টুকরো টেপ দিয়ে লাগিয়ে নিন। বেশি ভালো ফল পেতে বুকের উল্টো দিকেও লাগান।

 

শিশুদের ক্ষেত্রে দু’তিন ঘণ্টা রেখে গজ সরিয়ে ফেলুন। বড়দের ক্ষেত্রে সারারাত রাখতে পারেন। অনেক সময় একবার হানি প্যাচ লাগালেই কাশির সম্পূর্ণ উপশম হতে পারে। না হলে আরও দু’এক দিন রাতে তা লাগাতে পারেন।

 

তবে এক্ষেত্রে কিছু সাবধানতা রয়েছে

• ৬ মাসের নীচে শিশুদের ক্ষেত্রে হানি প্যাচ ব্যবহার করবেন না।
• ত্বকে কোনোরকম কাটাছেঁড়া থাকলে তা লাগাবেন না।
• মধুতে অ্যালার্জি থাকলে এ থেকে দূরে থাকুন।
• জ্বর থাকলে ব্যবহার করবেন না।