ঢাকা, ২৪ নভেম্বর রোববার, ২০২৪ || ১০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৫৪৯

শীতে বাড়ে হৃদরোগের ঝুঁকি, হার্ট সুস্থ রাখতে করণীয়

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০০:১৮ ৮ জানুয়ারি ২০২১  

শীতকালে স্বাভাবিকভাবেই অ্যাজমা, বাতের সমস্যা বাড়ে। বেড়ে যায় হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও। সমীক্ষায় দেখা গেছে, পারদ নামতে থাকার সঙ্গে সঙ্গেই বাড়তে থাকে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা। গরমকালের তুলনায় শীতকালে হার্ট অ্যাটাকের হার বেড়ে যায় বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। 


তাপমাত্রা, হাওয়ার গতিবেগ, আপেক্ষিক আর্দ্রতা বাড়তে থাকলেও হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে থাকে। প্রতি মৌসুমেই কমবেশি বাড়তে-কমতে থাকে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা। গরমকালের চেয়ে বর্ষাকালে হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি থাকে। তবে এই ঝুঁকি সবচেয়ে বাড়ে শীতকালে।


শীতের সঙ্গে মানিয়ে নিতে শরীরের রক্তনালী সঙ্কুচিত হয়। যা ত্বকের তাপমাত্রা কমিয়ে ধমনীতে রক্তচাপ বাড়ায়। ফলে কাঁপুনি, মেটাবলিক রেট বেড়ে যায়। এমনকি হার্ট অ্যাটাকের সমস্যাও হতে পারে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। 

 

তারা বলছেন, শীতকালে আবহাওয়া পরিবর্তনের জেরে আমাদের শরীরেও নানা পরিববর্তন হয়। তাপমাত্রা কমার সঙ্গে সঙ্গে হৃদযন্ত্রে অক্সিজেনের চাহিদা ও রক্ত সংবহনের বিষয়টিতেও রদবদল হয়। অনেক সময় আমাদের হৃদযন্ত্র পর্যাপ্ত অক্সিজেন পায় না। পাশাপাশি রক্তচাপ, কোলেস্টেরলসহ একাধিক সমস্যাও মাথাচাড়া দেয়। তাই এসময়ে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি থেকে বাঁচতে সুস্থ ও নিয়ন্ত্রিত জীবনশৈলীর খুব প্রয়োজন।


যাদের হৃদযন্ত্র দুর্বল, শীতের সময় তাদের অতিরিক্ত যত্নবান হতে হবে। ওদের নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে। চরম আবহওয়া অর্থাৎ ভোরের ঠাণ্ডা বা কুয়াশা এড়িয়ে যাওয়ার জন্য নিজেদের রুটিনে অল্পবিস্তর বদল আনতে হবে। হার্ট ভালো রাখতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার অর্থাৎ ফল ও সবজি খেতে হবে। পানি পান ও লবণ খাওয়ার ক্ষেত্রেও নজর দিতে হবে। কারণ অতিরিক্ত পরিমাণে লবণ ও পানি খেলে সমস্যা হতে পারে।


ধূমপান বন্ধ করা, নিয়মিত শরীরচর্চা করা, ফল খাওয়া, সুগার, রক্তচাপ, কোলেস্টেরলের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। এগুলো মেনে চললে হার্টের অসুখ হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমানো যায়। যাদের বংশগত হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা রয়েছে, তাদের নিয়মিত চেকআপ করানো খুব জরুরি। কারণ, বংশগত হার্টের অসুখও অন্যতম ভয়ের কারণ। 

 

ওজন বেশি থাকলে কমান। জীবনযাত্রার এই কয়েকটা পরিবর্তন করলেই রক্তচাপ খানিকটা কমবে, হার্ট সুস্থ থাকবে। সাম্প্রতিক ‘হাইপার টেনশন গাইডলাইন্স’ অনুযায়ী, রক্তচাপের ঊর্ধসীমা ১৪০/৯০ থেকে পরিবর্তিত হয়ে ১৩০/৮০ হয়েছে। যাদের রক্তচাপ এর বেশি তারা জীবনযাত্রার পরিবর্তন করে বা চিকিৎসক দেখিয়ে ওষুধ খেয়ে নিজের হার্টকে সুস্থ রাখুন।