ঢাকা, ২৫ নভেম্বর সোমবার, ২০২৪ || ১১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৬৪৬

শীতে রোগমুক্ত থাকতে খাদ্যতালিকায় রাখুন ফুলকপি

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২২:০৪ ২৩ নভেম্বর ২০২০  

চলছে শীত মৌসুম। বাজারে আসছে নানারকম শীতকালীন সবজি। এর মধ্যে অন্যতম ফুলকপি। সবজিটি সবাই পছন্দ করেন। রান্না, সিদ্ধ, ভাজি, ভাজা-নানাভাবে এটি খাওয়া যায়। এতে খুবই কম পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট থাকে। তবে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি, কে, সি, ফলিক অ্যাসিড, খনিজ পদার্থ যেমন- ম্যাঙ্গানিজ ও পটাশিয়াম থাকে। পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ ফুলকপি ওজন কমাতে বেশ কার্যকর। যারা ওজন কমাতে চান খাদ্যতালিকায় তা রাখতে পারেন।


চিকিৎসাশাস্ত্রের তথ্য অনুযায়ী, ১০০ গ্রাম ফুলকপিতে মাত্র ২৫ গ্রাম ক্যালরি থাকে। এটি দিয়ে তৈরি খাবার খেলে ওজন বাড়ে না। প্রতি ১০০ গ্রাম সবজিটিতে ২ গ্রাম ফাইবার থাকে। যে কারণে এটি খেলে পেট ভরা অনুভূত হয়। বারবার খাওয়ার প্রবণতা কমে। 

 

শীত মানেই সুস্বাদু ফুলকপির সমাহার। সবজির আধিক্যে এর নিজস্ব অবস্থান ভিন্নতর। নানাগুণে গুণান্বিত এটি রোগ প্রতিরোধক হিসেবে দারুণ উপকারী। তাই খাওয়ার আগে জেনে নিন ফুলকপির পুষ্টিগুণ। 

 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন,িএতে দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় দুই ধরনের ফাইবার থাকে, যা হজমশক্তি ঠিক রাখে। আর হজম পদ্ধতি ঠিক থাকলে ওজনও বাড়ে না। প্রতি ১০০ গ্রাম ফুলকপিতে ৯২ গ্রাম পানি থাকে। ফলে এটি শরীরের আর্দ্রতা বজায় রেখে ওজন কমাতে ভূমিকা রাখে। প্রতি ১০০ গ্রাম সবজিটিতে ৪৮ গ্রাম ভিটামিন সি থাকে। এ উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দারুণ কার্যকরী। শরীর যখন রোগমুক্ত হয় তখন ওজন কমাতেও ভূমিকা রাখে।

 

ক্যানসার প্রতিরোধ
ফুলকপি ক্যান্সারের জীবাণুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে সক্ষম। স্তন ক্যানসার, কোলন ও মূত্রথলির ক্যানসারের জীবাণুকে ধ্বংস করে এটি। ক্যান্সারের জীবাণু দেহ থেকে বের করে দেয়ার জন্যিএর রয়েছে যথেষ্ট অবদান।


ফুসফুস সুস্থ রাখে
ফুলকপি খাওয়ার অন্যতম উপকারিতা হলো ফুসফুস রক্ষা করা। এর রোগ বৃদ্ধির জন্য দায়ী ভয়াবহ জীবাণুগুলো সবজিটি খাওয়ার মাধ্যমে সহজেই ধ্বংস করা যায়। তাই ফুসফুস ভালো রাখতে এটি খেতে ভুলবেন না।


রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে
শীতের সুস্বাদু সবজি ফুলকপির গুণের একটি হলো রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা। যারা ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপজনিত সমস্যায় ভুগেন, তারা এটি খাবারের তালিকায় রাখতে দ্বিধা করবেন না।


খনিজ ও ভিটামিনের অন্যতম উৎস
ফুলকপিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, প্রোটিন, থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, নিয়াসিন, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, ফাইবার ভিটামিন বি৬, ফলেট, পটাশিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজ।িএগুলো মানবশরীরে পুষ্টি ঘাটতি পূরণ করতে সক্ষম। যারা নিয়মিত শারীরিক দুর্বলতার শিকার হন, তারা এটি বেশি বেশি করে খেতে পারেন।


মস্তিষ্ক তীক্ষ্ণ রাখে
ফুলকপির ভিটামিন বি ও ছোলিন উপাদান মস্তিষ্ক ভালো রাখতে ভীষণ উপকারী। বিশেষ করে যদি গর্ভবতী মায়েরা নিয়ম করে তা খান, তাহলে নবজাতকের মস্তিষ্কের সম্পূর্ণ বিকাশ সাধন ঘটে।


বাড়তি ওজন কমে
ফুলকপি বাড়তি মেদ কমিয়ে শরীর সুন্দর গঠনে আনতে সাহায্য করে। যারা বাড়তি ওজন নিয়ে চিন্তিত এবং ডায়েট করার কথা ভাবছেন, তারা নির্দ্বিধায় ডায়েট লিস্টে এর নাম অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।


হজমে সাহায্য করে
ফুলকপির উচ্চ ফাইবার খাদ্য হজম প্রক্রিয়াতে খুব সহায়ক। যদি শীতের সময়ে প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় সামান্য করে হলেও এর কোনও পদ রাখা যায়, তাহলে খাবারে হজম নিয়ে কোনও সমস্যা হবে না।


চোখের জ্যোতি বাড়ায়
এর যত্নে ফুলকপির কোনও তুলনা হয় না। কারণ সবজিটির ভিটামিন এ উপাদান চোখের সঠিক দেখভাল করার জন্য যথেষ্ট। তাইিএকে সুস্থ ও সুন্দর রাখতে এটি বেশি বেশি করে খাওয়া উচিত। শুধু সুস্থ দেহের জন্যই নয়, চুল, ত্বক ও সাধারণ কাঁটা-ছেঁড়া এবং ইনফেকশন প্রতিরোধে ফুলকপির তুলনা হয় না।