ঢাকা, ০৯ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার, ২০২৫ || ২৬ পৌষ ১৪৩১
good-food
৩৩

শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়ালো ভারত

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৪:০৩ ৮ জানুয়ারি ২০২৫  

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে ভারত। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান তিনি। সেই থেকে এখন পর্যন্ত দেশটিতেই থাকছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। বুধবার (৮ জানুয়ারি) ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রের বরাত দিয়ে হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ আরো বাড়ানো হয়েছে। 

 

জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের চেষ্টা চালাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। ভারত সরকারের কাছে তাকে প্রত্যর্পণের অনুরোধও জানিয়েছে তারা।

 

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিচারকাজ চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে দুই দফা গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে তারা। এছাড়া গুম, জুলাই-আগস্টে গণহত্যা ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশি পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে।

 

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। তবে কবে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, তা উল্লেখ করা হয়নি। ভিসার মেয়াদ কতদিনের জন্য বৃদ্ধি করা হয়েছে, তাও জানা যায়নি।

 

শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিল ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিস (এফআরআরও)। এর আগে তাকে রাজনৈতিক আশ্রয় (অ্যাসাইলাম) দেয়া নিয়ে গুঞ্জন ছিল। তবে মন্ত্রণালয়ের সূত্র এ ধরনের কোনো সম্ভাবনার কথা অস্বীকার করেছে। কারণ, ভারতে শরণার্থী বা রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়া নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো আইন নেই।

 

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়। এরপর সারাদেশে বিভিন্ন স্থানে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যা, গুমসহ বিভিন্ন অভিযোগে শতাধিক মামলা হয়েছে।

 

গত অক্টোবরে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। গত সোমবার (৬ জানুয়ারি) একই আদালত জোরপূর্বক গুমের অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। তাদের গ্রেফতার করে ১২ ফেব্রুয়ারি হাজির করার নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

 

শেখ হাসিনার বিচারকাজ এগিয়ে নিতে এরই মধ্যে ভারতের কাছে প্রত্যর্পণের অনুরোধ জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। গত ২৩ ডিসেম্বর নয়াদিল্লিকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জানায় তারা। তবে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।

 

গত ৩ জানুয়ারির হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারত সম্ভবত শেখ হাসিনাকে ফেরত দেবে না। দিল্লি সরকারের একটু সূত্র জানায়, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারত সরকারকে জানানো হলেও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়নি।

 

২০০৯ সালের পিলখানা হত্যাকাণ্ড নিয়ে গঠিত স্বাধীন তদন্ত কমিশনও কাজ শুরু করেছে। কমিশন প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) আ ল ম ফজলুর রহমান জানান, অন্তর্বর্তী সরকার অনুমতি দিলে তদন্তের অংশ হিসেবে শেখ হাসিনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ভারতে যেতে চান তারা।

বিশ্ব বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর