ঢাকা, ২১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার, ২০২৪ || ৭ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৫২

শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আইজিপির কাছে

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৩:৪৩ ২৩ অক্টোবর ২০২৪  

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গণহত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পুলিশের মহাপরিদর্শকের কাছে পাঠানো হয়েছে।ট্রাইব্যুনালের প্রধান কৌঁসুলি মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বুধবার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

 

আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল এবং শিল্প ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এদিন প্রধান কৌঁসুলিকে সঙ্গে নিয়ে ট্রাইব্যুনাল ভবনের সংস্কার কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, “গণহত্যায় সহযোগীদের বিরুদ্ধে খুব দ্রুত আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। ৪৬ জনের বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আইজিপির কাছে পাঠানো হয়েছে।”

 

সংস্কার কাজ শেষে আগামী ১ থেকে ৩ নভেম্বরের মধ্যে ট্রাইব্যুনালের মূল ভবনে বিচারকাজ শুরু করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন আইন উপদেষ্টা। গত জুলাই-অগাস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনের চেষ্টায় ‘গণহত্যার’ দুই অভিযোগে গত ১৭ অক্টোবর শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

 

ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ পরোয়ানা জারির ওই আদেশ দেয়। বেঞ্চের অপর দুই বিচারক হলেন– বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

 

এর মধ্যে একটি মামলায় শেখ হাসিনা এবং আরেকটি মামলায় ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে ট্রাইব্যুনাল। শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা, শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, শেখ হাসিনার ফুপাতো ভাই সাবেক এমপি শেখ ফজলুল করিম সেলিম, তার দুই ভাতিজা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ফজলে নূর তাপস, যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের নামও রয়েছে ওই ৪৫ জনের মধ্যে।

 

পরোয়ানা জারি হয়েছে সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী দীপু মনি, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত এবং সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকের বিরুদ্ধেও।

 

শেখ হাসিনার সাবেক উপদেষ্টা তারেক আহমেদ সিদ্দিক, এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক জিয়াউল আহসান, আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক জাফর ইকবালের নামেও জারি হয়েছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা।

 

এছাড়া সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল মামুন, র্যাবের সাবেক ডিজি হারুন অর রশিদ, সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হারুন অর রশিদ, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, অতিরিক্ত উপ মহাপরিদর্শক প্রলয় কুমার জোয়ার্দারের নাম রয়েছে ওই তালিকায়।

অপরাধ বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর