ঢাকা, ২৫ নভেম্বর সোমবার, ২০২৪ || ১০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৫৪৬

সদ্য মা হয়েছেন, যা করবেন ও খাবেন

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২০:০৯ ৬ অক্টোবর ২০২০  

করোনাকালে মা হয়েছেন তিন্নি। সন্তানের বয়স মাত্র ৫ মাস। মা হওয়ার পর থেকে বেড়েছে তার ব্যস্ততা। বাচ্চা ঠিকমতো খাচ্ছে কি না, কীভাবে রাতে ঘুম পাড়াবে-এসব নিয়ে জেরবার জীবন। কীভাবে ২৪ ঘণ্টা কেটে যাচ্ছে নিজেও বুঝতে পারছেন না। 

 

আর মাত্র ১ মাস পর আবার অফিসে যোগ দেবেন তিন্নি। এখন অবশ্য বাড়ি থেকেই কাজ করছেন। কিন্তু মা হওয়ার পর নিজের জন্য সময় বের করতে পারছেন না তিনি। এ নিয়ে বেজায় মন খারাপ তার। প্রধান কারণ অবশ্য বেবি ওয়েট। 

 

বরাবরই নিজের শরীরের প্রতি খুবই যত্নবান তিন্নি। শরীরে মেদের ছিটেফোঁটা ছিল না। কিন্তু এখন মুখে, হাতে, পেটে বেশ ফ্যাট জমেছে। তা দেখে আলমারির দিকে তাকাতেই কান্না পায় তার। কীভাবে আবার আগের অবস্থায় ফিরে যাবেন, সেই ভাবনাতে ঘুম উড়ে গেছে।  

 

যদিও চিকিৎসক জানিয়েছেন, কিছুদিনের মধ্যে সঠিক ডায়েট, সাঁতার, ব্যায়াম শুরু করলে আবার আগের ওজনে ফিরতে পারবেন তিনি।

 

সম্প্রতি মা হয়েছেন অভিনেত্রী কোয়েল মল্লিক ও শুভশ্রী গাঙ্গুলি। মা হওয়ার পর ফ্লোরে ফিরতে ফিট থাকতে জুম্বাকে বেছে নিয়েছেন কোয়েল। নিজের ফিটনেস ট্রেনিংয়ের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেছেন তিনি।

 

আর শুভশ্রী আগের ফ্ল্যাট বেলি, প্রেগন্যান্ট বেলির ছবি দিয়ে লিখেছেন, টোনড বেলি টু প্রেগন্যান্ট বেলি। দেখা যাক এরপর কি হয়! তাই চিন্তা না করে দেখে নিন টিপস। এর আগে জানুন বেবি ওয়েট কী?

 

গর্ভাবস্থায় প্রত্যেক নারীর ১১.৫-১৬ কেজি পর্যন্ত ওজন বাড়ে। কারণ হিসেবে চিকিৎসকরা বলেন, বেবির ওজন, প্লাসেন্টা, অ্যামনিয়োটিক ফ্লুইড, স্তনের কোশ, রক্ত, ইউটেরাসের আয়তন বৃদ্ধি, অতিরিক্ত ফ্যাট জমা ইত্যাদি। এসময়ে অতিরিক্ত যে ফ্যাট জমা হয় তা সঞ্চিত থাকে জন্ম দেয়া এবং স্তন্যদানের সময় শক্তির উৎস হিসেবে।

 

শরীর সুস্থ হলে ডায়েট শুরু করুন
চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ডায়েট শুরু করুন। আপনার শরীর তখনও এ ডায়েটের জন্য প্রস্তুত কি না তা দেখে নিন। মাথায় রাখবেন, আপনি ব্রেস্টফিডিং করান। তাই ইচ্ছামতো ডায়েট করা যাবে না। এ চার্টও চিকিৎসকের থেকে নিন। তবে সন্তান জন্মের দুই মাস পর পর্যন্ত এসব করবেন না।

 

খাদ্যতালিকায় যা রাখবেন

# কোল্ড ড্রিংক খাদ্যতালিকা থেকে একদম বাদ দিন। কারণ, এতে চিনি ছাড়া আর কিছু তেমন থাকে না।

# ফাইবার যুক্ত খাবার বেশি রাখুন। কেননা পুষ্টি আপনি এখান থেকেই পাবেন।

# খাদ্যতালিকায় কার্বস রাখুন। কারণ কার্বোহাইড্রেট আপনাকে শক্তি জোগাবে।

 

# দিনে অন্তত ৪ লিটার পানি খান। এসময় শরীরে আর্দ্রতা বজায় রাখা জরুরি। পানি বেশি খেলে অন্যান্য স্ন্যাকস খাওয়ার ইচ্ছা কমে যায়। অর্থাৎ খাওয়া সময়মতো হয়।

# সব ফ্যাটই শরীরের জন্য খারাপ নয়। তাই ওজন কমাতে এটি একেবারেই বন্ধ করবেন না। বাদাম অবশ্যই খাবেন। এতে থাকা ফ্যাট মাতৃদুগ্ধ উৎপাদনে সাহায্য করে। এছাড়া হার্ট ভালো রাখে।

 

# খাবার অল্প করে খান। কিন্তু বারবার খান। খাওয়ার মাঝে বেশি গ্যাপ রাখবেন না।

# ব্রেকফাস্ট অবশ্যই করবেন। বাদাম, গাজর, ফল-এসব দিয়ে সকালের নাস্তা তৈরির চেষ্টা করুন। চিপস, পেস্ট্রি, চকোলেট থেকে লোভ সংবরণ করুন।

# প্রয়োজনে ডায়াটেশিয়ানের পরামর্শ নিন। নিজের মতো করে কোনও ডায়েট প্ল্যান তৈরি করবেন না। এতে হিতে বিপরীত হবে।

 

এছাড়া আর যা যা করবেন

 

ওয়ার্কআউট: অবশ্যই ওয়ার্কআউট করুন। কিন্তু তা নিয়ম মেনে। কি কি ব্যায়াম করতে পারেন, সেগুলো ট্রেনারের কাছ থেকে জেনে নিন। ওয়েট ট্রেনিং এখনই করবেন না।

 

বিশ্রাম: ডায়েট বা ব্যায়ামের রুটিন নির্বিশেষে বিশ্রামই হলো মূল যা আপনার দেহকে পুনরুদ্ধার করতে এবং নতুন নিয়মের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে সাহায্য করবে। খেয়াল রাখবেন যেন বেশি ক্লান্তি না আসে।

 

ঘুম: পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান। আপনি যখন ঘুম পাড়েন, তখন আপনার দেহ শান্ত হয়। শক্তির পুনঃনির্মাণে সাহায্য করে এটি।