ঢাকা, ২২ নভেম্বর শুক্রবার, ২০২৪ || ৭ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
২৪১৮

সবার প্রিয় নাট্যজন মমতাজ উদ্দীন

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২০:২৭ ২ জুন ২০১৯  

খ্যাতিমান নাট্যকার অধ্যাপক মমতাজ উদ্দীন আহমেদ মারা গেছেন। রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার বিকাল পৌনে ৪টায়  মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।
মমতাজ উদদীন আহমেমের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের ।

অধ্যাপক মমতাজউদদীন রচিত নাটক ‘কী চাহ শঙ্খচিল’ এবং ‘বিবাহ’ নাটক দু’টি পশ্চিমবাংলার রবীন্দ্রভারতী এবং নেতাজী সুভাষ বোস বিশ্বদ্যিালয়ে এম.এ শ্রেণিতে বাংলাদেশের সাহিত্য হিসেবে পাঠ্য তালিকাভুক্ত। মঞ্চ, বেতার ও চলচ্চিত্রের জন্য শতাধিক নাট্য রচনা ও অভিনয় করেছেন। টেলিভিশনে শ্রেষ্ঠ নাট্যরচনা এবং চলচ্চিত্রে চিত্রনাট্যের এবং অভিনয়ের জন্য পেয়েছেন পুরস্কার।

বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে উল্লেখযোগ্য নাটকঃ এবারের সংগ্রাম-স্বাধীনতার সংগ্রাম, স্বাধীনতা আমার স্বাধীনতা, বর্ণচোরা, কী চাহ শঙ্খচিল, বিবাহ, এখন মধু মাস, এই সেই কন্ঠস্বর।

মঞ্চ নাটকের মধ্যে রয়েছেঃ  দুইবোন, রাক্ষুসী, জমিদার দর্পণ, ক্ষতবিক্ষত, ওহে তঞ্চক, খামকাখামকা, বাদশাহী বণ্টনামা, অর্ণবের মাতাপিতা, লাবণি আর তার ছেলে এবং সাতঘাটের কানাকড়ি।

তার স্বৈরাচারবিরোধী সাহসী নাটক সাতঘাটের কানাকড়ি সম্পর্কে বেগম সুফিয়া কামাল বলেছেন, থিয়েটার অভিনীত মমতাজউদদীনের সাতঘাটের কানাকড়ি নাটক দেখলাম। বাংলা মায়ের আর্তকান্না শুনলাম। আরো দেখলাম সমাজের পরগাছা, দেশ ও জাতির মূর্ত লোভী ভণ্ডের ভণ্ডামী। সে মুখোশ খুলে দিতে সাহসী সংগ্রামী, সত্যনিষ্ঠ বাংলার সন্তানদের শপথভরা মুখ। থিয়েটারের এ নাট্যকর্ম মানুষ মনে রাখবে।

ড. নীলিমা ইব্রাহিম বলেছেন, যে এক বুক আশা নিয়ে মানবাধিকারের দায়িত্বে ৭১-এ বাঙালিরা রক্ত দিয়েছে তা আজ হতাশায় নিমজ্জিত। সাতঘাটের কানাকড়ি আমাদের পূর্ব জীবনের পথে এগিয়ে যাবার প্রেরণা যুগিয়েছে। মমতাজউদদীন আহমদ ও থিয়েটার কর্মীদের আলোর ইশারা জ্বলন্ত মশালে জাগরিত হোক, এই আমার কামনা এবং বিশ্বাস।

প্রফেসর শওকত ওসমান বলেছেন, সাতঘাটের কানাকড়ি যে মুদ্রামাণে পূর্ণ, তাতে অভিভূত হওয়া যায়। আমি আশা করবো, মুদ্রাস্ফীতির যুগে এ কানাকড়ি বহুকাল এদেশে আপন মূল্যে বিকশিত হবে।

প্রফেসর আহমদ শরীফ বলেছেন, এ নাটক অনন্য, অসামান্য। জীবনের সঙ্গে বুদ্ধির, সাহসের সঙ্গে শক্তির, অঙ্গীকারের সঙ্গে উদ্যোগের ও আয়োজনের এমন সমাবেশ সমাজে রাজনীতি দুষ্টু, দুর্জন, দুর্বৃত্ত, দুস্কৃতির এমন বাস্তব সামষ্টিক সামাজিক চালচিত্র একাধারে ও যুগপৎ আর কখনো দেখেছি বলে মনে পড়ে না। ধন্য নাট্যকার, ধন্য অভিনেতারা ও প্রযোজক। আমি মুগ্ধ ও কৃতজ্ঞ দেখে ও শুনে। 

শিল্প-সাহিত্য বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর