ঢাকা, ০৯ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার, ২০২৫ || ২৬ পৌষ ১৪৩১
good-food
২০

সাধারণ জ্বর, সর্দি-কাশি নাকি এইচএমপিভি? নির্ণয় করবেন কীভাবে

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৫:০০ ৮ জানুয়ারি ২০২৫  

বিশ্বজুড়ে কোভিড ১৯-এর আতঙ্ক এখনও পুরোপুরি কাটেনি। মাঝখানের দুই বছরের বিরতির পরে আবারও এক নতুন আতঙ্কের ছায়া! চীন আবারও একটি নতুন ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সম্মুখীন হয়েছে। ক্রমশ বাড়ছে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। এই ভাইরাস মূলত শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ সৃষ্টি করে। 

 

চিকিৎসকদের মতে, এইচএমপিভি যেকোনও বয়সের মানুষের মধ্যেই দেখা দিতে পারে। তবে উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে বয়স্ক, শিশু ও শ্বাসযন্ত্রে দুর্বলতা রয়েছে এমন ব্যক্তিরা। মৌসুম বদলের সময়ে বিশেষ করে শীত ও বসন্তে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে। এইচএমপিভি অর্থাৎ হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস, যা চীনে ছড়িয়ে পড়েছিল, এখন ভারতেও প্রবেশ করেছে। তবে এটি কোনও নতুন ভাইরাস নয় বলেই জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। 

 

চিকিৎসকদের মতে, যদি সিওপিডি রোগীরা সংক্রামিত হয়; তাহলে শ্বাসকষ্ট বাড়তে পারে। সঙ্গে ব্রঙ্কাইটিসের লক্ষণ দেখা দিতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে সতর্কতার পাশাপাশি সঠিক তথ্য থাকা খুবই জরুরি। তাই আজকের প্রতিবেদনে আসুন জেনে নিই এইচএমপিভি’র চিকিৎসা ও ভ্যাকসিন সম্পর্কে-

 

এইচএমপিভির কী কোনও চিকিৎসা আছে? 

চিকিৎসকরা বলছেন, এইচএমপিভি’র জন্য কোনও নির্দিষ্ট অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ নেই। যত্ন ও সচেতনতা এর মূল চিকিৎসা বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। যথেষ্ট বিশ্রাম, হাইড্রেশন, গুরুতর ক্ষেত্রে জ্বর কমানোর ওষুধ এবং অক্সিজেন থেরাপির সাহায্যে এর লক্ষণগুলো উপশম হয়। উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের যেমন- শিশু, বয়স্ক বা যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল তাদের হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। এটি এড়াতে হাত পরিষ্কার করা এবং সংক্রামিত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে আসা এড়ানো গুরুত্বপূর্ণ। 

 

কীভাবে এটি বর্তমানে চিকিৎসা করা যেতে পারে? 

বর্তমানে এইচএমপিভি-এর চিকিৎসার জন্য যত্ন ও সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন। কারণ, এর কোনো নির্দিষ্ট অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ নেই। এমন পরিস্থিতিতে, বিশ্রাম ও হাইড্রেশনের সাহায্যে এর লক্ষণগুলো নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। এছাড়া গুরুতর ক্ষেত্রে অক্সিজেন থেরাপি সহায়তারও প্রয়োজন হতে পারে। 

 

করোনার ভ্যাকসিন কি এতে কার্যকর হতে পারে? 

চিকিৎসকরা বলেছেন, করোনা ভ্যাকসিন এর ওপর কার্যকর নয়। মনে রাখতে হবে, এই দুই ভাইরাসই আলাদা। তাই এইচএমপিভির নিজস্ব বিশেষ ভ্যাকসিন অবশ্যই প্রয়োজন। যার ওপর ইতোমধ্যেই গবেষণা চলছে। এমন পরিস্থিতিতে, এটি প্রতিরোধ করার কার্যকর উপায় হলো ভালো স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখা এবং সংক্রামিত ব্যক্তিদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা। 

 

এইচএমপিভি শনাক্ত করার জন্য কোন পরীক্ষা করবেন? 

বিশেষ পরীক্ষা যেমন পিসিআরের মাধ্যমে এইচএমপিভি শনাক্ত করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। এই পরীক্ষাটি শ্বাসযন্ত্রের নমুনায় ভাইরাসের উপস্থিতি নির্ধারণ করে। এই ভাইরাস শনাক্তকরণের জন্য এই টেস্ট কার্যকরী। এতে ফল আসে সঠিক ও সুনিশ্চিত। এছাড়া দ্রুত অ্যান্টিজেন পরীক্ষাও রোগ নির্ণয়ের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।

স্বাস্থ্য বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর