ঢাকা, ৩০ অক্টোবর বুধবার, ২০২৪ || ১৫ কার্তিক ১৪৩১
good-food
৭৮৭

বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

সুনামগঞ্জে  লাখো মানুষ পানিবন্দি

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১১:৩৯ ১১ জুলাই ২০১৯  

ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকায় সুনামগঞ্জ জেলার বন্যা পরিস্থিতির  অবনতি হয়েছে। বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাহিরপুর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলাবাসী।

জেলার বেশির ভাগ উপজেলার রাস্তাঘাট, হাট-বাজার, বসতবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মাদ্রাসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ সরকারি ভবনগুলোতেও পানি ঢুকে পড়েছে।

তাহিরপুর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার রাস্তাঘাট, হাট-বাজার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্য ও আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতেও পানি ঢুকে পড়েছে। সড়ক যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে এ দুই এলাকার প্রায় ৮০ শতাংশই এখন পানির নিচে।

 সদর উপজেলার গৌরারং, জাহাঙ্গীরনগর, সুরমা, রঙ্গারচর কোরবাননগর ইউনিয়ন, দোয়ারাবাজার ও ছাতক উপজেলার বেশকিছু ইউনিয়নেও ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

এ ছাড়া ধর্মপাশা, জামালগঞ্জ, দিরাই ও শাল্লা উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে দুই দফা বাড়িঘর পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার পরও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি কিংবা প্রশাসনের কেউ কোনো ধরনের খোঁজখবর বা সহায়তা দিচ্ছে না বলে অভিযোগ জেলাবাসীর।

সদর উপজেলার লালপুর গ্রামের মো. দেলোয়ার হোসেন (৩৫) জনপ্রতিনিধিদের প্রতি অভিযোগ জানিয়ে বলেন, এই লইয়া টানা দুইবার বন্যার পানির নিচে আছি। পরিবার লইয়া খাইয়া না খাইয়া থাকলেও মেম্বার, চেয়ারম্যান কোনো খবর নিছে না।

মো. আলী আকবর (৫৫) নামে বয়স্ক এক ব্যক্তি বলেন, এতো কম সময়ে এতো দ্রুত পানি বৃদ্ধির ঘটনা তিনি এ যাবত দেখেননি। দুই-তিন ঘণ্টার ব্যবধানে দুই ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

আগে পরিবারকে নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে গেলেও এখন আর তিনি এগুলোতে যান না। কারন  আশ্রয়কেন্দ্রে কেউ কোনো সহায়তা করে না।


এদিকে বন্যা  দুর্গতদের সহায়তার আশ্বাস জানিয়ে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সমীর বিশ্বাস বলেন, পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিপাতে উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। আরো বৃষ্টিপাত হলে বন্যার সৃষ্টি হবে।

পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে আমরা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে শুকনো খাবার ও জিআর চাল বরাদ্দ রাখা হয়েছে। প্রয়োজনমতো ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে সে সব বিতরণ করা হবে।

জনদুর্ভোগ বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর