ঢাকা, ২৪ নভেম্বর রোববার, ২০২৪ || ১০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৮৮০

সেন্টমার্টিনে ফের বিজিবি মোতায়েন

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২১:৩৩ ৭ এপ্রিল ২০১৯  

মিয়ানমারের সীমান্ত ঘেঁষা কক্সবাজারের টেকনাফের সেন্টমার্টিন দ্বীপে বর্ডার র্গাড বাংলাদেশের (বিজিবি) চৌকি স্থাপন করা হয়েছে। রোববার সকাল থেকে দ্বীপের বিভিন্ন জায়গায় বিজিবির টহল শুরু হয়েছে।

 

সকালে টেকনাফের দমদমিয়া পর্যটক জাহাজ ঘাট থেকে কেয়ারী ডাইন ক্রুস করে বিজিবির সদস্যরা সেন্টমার্টিনে যান। পরে সেখান থেকে অস্থায়ী কার্যালয়ে মালামাল ও সরঞ্জাম নিয়ে যাওয়া হয়।

 

মূলত সীমান্ত সুরক্ষায় ও চোরাচালান রোধে নতুন করে বিজিবির এই স্থাপনা করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন টেকনাফস্থ ২ ব্যাটলিয়ান বিজিবির ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক লে. কর্নেল সরকার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান।

 

তিনি জানান, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত দ্বীপে বিজিবির কার্যক্রম অব্যাহত ছিল। এরপর দ্বীপে কোস্ট গার্ড কাযক্রম চালিয়ে আসছিল। রোববার থেকে কোস্ট গার্ডের পাশাপাশি বিজিবিও সেখানে নিয়মিত টহল দেবে। সীমান্তের সুরক্ষা ও চোরচালান রোধে সরকার দ্বীপে বিজিবির একটি চৌকি স্থাপনার উদ্যোগ নিয়েছে। ওই চৌকি একজন কোম্পনি কমান্ডারের নেতৃত্বে চলবে। সেখানে বিজিবি সদস্যরা ভারী অস্ত্র নিয়ে টহল দেবেন।

 

দ্বীপের এক বাসিন্দা বলেন, রোববার একটি পর্যটকবাহী জাহাজে করে শতাধিক বিজিবি সদস্য টেকনাফে থেকে সেন্টমার্টিনে আসেন। শুনেছি নতুন করে বিজিবির একটি চৌকি স্থাপন হচ্ছে দ্বীপে। তবে আপাততে তারা দ্বীপের আবহাওয়া অফিস কার্যালয়ে উঠেছেন বলে জানা গেছে।  

 

সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান নূর আহাম্মদ বলেন, এর ফলে দ্বীপের পর্যটকের পাশাপাশি স্থানীয় মানুষের নিরাপত্তা আরও জোরদার হবে।

 

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিউল হাসান বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপে নতুন করে বিজিবি কাজ শুরু করেছে। সেখানে আগে থেকে কোস্টগার্ড ও পুলিশ কাজ করছিল। এখন পুরোদমে সীমান্তের সুরক্ষায় কাজ করবে বিজিবি।

 

উল্লেখ্য , ২০১৮ সালের অক্টোবরের দিকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনকে নিজেদের অংশ বলে মিয়ানমার দাবি করেছিল। মিয়ানমার সরকারের জনসংখ্যা বিষয়ক বিভাগের ওয়েবসাইট সম্প্রতি তাদের দেশের যে মানচিত্র প্রকাশ করেছে, তাতে সেন্টমার্টিনকে তাদের ভূখণ্ডের অংশ বলে দেখানো হয়। গত ৬ অক্টোবর বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিয়ানমারের তৎকালীন রাষ্ট্রদূত উ লুইন ওকে তলব করে এর প্রতিবাদ জানায়। এরপর মিয়ানমারের মানচিত্র পরিবর্তন করা হয়।